আনিসুল হক আকন্দ
আনিসুল হক আকন্দ (১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩ – ১৫ আগস্ট ২০০৮) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অসীম সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করেন।[১][২]
আনিসুল হক আকন্দ | |
---|---|
জন্ম | আনিসুল হক আকন্দ (সঞ্জু) ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩ |
মৃত্যু | ১৫ আগস্ট ২০০৮ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
পরিচিতির কারণ | মুক্তিযোদ্ধা, বীর প্রতীক |
দাম্পত্য সঙ্গী | মোছা. নুরুননাহার |
সন্তান | ৪ কন্যা ও ৬ পুত্র |
পিতা-মাতা | আব্দুল আজিজ আকন্দ মোসলিমা |
পুরস্কার | বীর প্রতীক |
১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বরের গেজেটে বীর প্রতীকের তালিকায় ৩৯২ নম্বরে লেখা আছে মো. আনিসুর রহমান (সঞ্জু) এবং ৩৯৮ নম্বরে লেখা আছে আনিসুল হক আকন্দ। মো. আনিসুর রহমান (সঞ্জু) নামের কেউ বীর প্রতীক খেতাব দাবি করেননি। এ দুই নাম সম্ভবত একই ব্যক্তির।
প্রাথমিক জীবন
আনিসুল হক আকন্দ ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩ সালে ময়মনসিংহের নান্দাইলের চন্ডীপাশার লংপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আব্দুল আজিজ আকন্দ ও মাতার নাম মোসলিমা।[১]
তবে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি স্ত্রীকে নিয়ে থেকেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার খড়মপুর গ্রামে।[৩]
মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা
আনিসুল হক আকন্দ মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করে ভারতের লোহার বনে প্রশিক্ষণ শেষে ১১ নম্বর সেক্টরে যোগদান করেন। তিনি নিজে কোম্পানি কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন। সিলেটের শমসেরনগর, বারমারী, ময়মনসিংহের ধানুয়া কামালপুর, বকশিগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি সৈন্য ও তাদের তাবেদার বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা ও সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে সাহসিকতার পরিচয় দেন। তিনি ২ নভেম্বর ১৯৭১ সালে শেরপুরের শ্রীবরদীর ধানুয়া কামালপুরে পাকিস্তানি সেনাদের শেলের আঘাতে আহত হন। তিনি এবং তার সহযোদ্ধা বশীর আহমেদ কামালপুর ক্যাম্পে দূতিয়ালী করে ১২৬ জন পাকসেনাকে আত্মসমর্পন করাতে সক্ষম হন।[১][৪]
তার গেজেট নং ৬৪৮, সেক্টর-১১ এফ এফ।[১] ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত গেজেটে বীরপ্রতীকের নামের তালিকায় ৩৯৮ নম্বরে আনিসুল হক আকন্দের (সঞ্জু) নাম লিপিবদ্ধ রয়েছে।[৫]
মুক্তিযুদ্ধের সময় জামালপুর জেলার ঐতিহাসিক ধানুয়া-কামালপুর যুদ্ধে সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করেন।[১][৫]
পুরস্কার ও সম্মাননা
পারিবারিক জীবন
আনিসুল হক আকন্দের স্ত্রী মোছা. নুরুননাহার, এই দম্পতীর ৪ কন্যা ও ৬ পুত্র।[১][৩]
মৃত্যু
আনিসুল হক আকন্দ ১৫ আগস্ট ২০০৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন। ময়মনসিংহের নান্দাইলের চন্ডীপাশার লংপুরে তার ছোটভাই হারিছ উদ্দিন আকন্দের জমিতে তাকে দাফন করতে হয়েছে।
তথ্যসূত্র
পাদটীকা
- এই নিবন্ধে দৈনিক প্রথম আলোতে ১৩-০২-২০১২ তারিখে প্রকাশিত তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না প্রতিবেদন থেকে লেখা অনুলিপি করা হয়েছে। যা দৈনিক প্রথম আলো ক্রিয়েটিভ কমন্স অ্যাট্রিবিউশন-শেয়ার-এলাইক ৩.০ আন্তর্জাতিক লাইসেন্সে উইকিপিডিয়ায় অবমুক্ত করেছে (অনুমতিপত্র)। প্রতিবেদনগুলি দৈনিক প্রথম আলোর মুক্তিযুদ্ধ ট্রাস্টের পক্ষে গ্রন্থনা করেছেন রাশেদুর রহমান (যিনি তারা রহমান নামেও পরিচিত)।