আবদুল আজিজ হুতাক

শাহ আবদুল আজিজ হুতাক (মৃত্যু ১৭১৭) (পশতু: عبد العزیز هوتک) ছিলেন আফগানিস্তানের হুতাক রাজবংশের দ্বিতীয় শাসক। ১৭১৫ খ্রিষ্টাব্দে তার ভাই মীরওয়াইস হুতাক মারা যাওয়ার পর তিনি ক্ষমতা লাভ করেন। তিনি চতুর্থ হুতাক শাসক আশরাফ হুতাকের পিতা। ১৭১৭ খ্রিষ্টাব্দে ভ্রাতুষ্পুত্র মাহমুদ হুতাকের হাতে তিনি নিহত হন।

আবদুল আজিজ হুতাক
বৃহত্তর কান্দাহারের আমির
রাজত্বহুতাক সাম্রাজ্য: ১৭১৫–১৭১৭
রাজ্যাভিষেক১৭১৫
পূর্বসূরিমীরওয়াইস হুতাক
উত্তরসূরিমাহমুদ হুতাক
মৃত্যু১৭১৭
কান্দাহার
পূর্ণ নাম
আবদুল আজিজ হুতাক
রাজবংশহুতাক রাজবংশ
পিতাসালিম খান
মাতানাজু তুখি
ধর্মইসলাম (সুন্নি)

প্রারম্ভিক জীবন

আবদুল আজিজ হুতাক কান্দাহারের একটি ধনী ও রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ছিলেন সালিম খান ও নাজু তুখির পুত্র। তিনি কারুম খানের নাতি, ইসমাইল খানের প্রপৌত্র এবং প্রাচীন হুতাকি প্রধান মালিকইয়ারের বংশধর ছিলেন। হুতাক বংশ ছিল অন্তর্গত প্রধান পশতুন গোত্র গিলজির শাখা। হাজি আমানউল্লাহ হুতাক তার গ্রন্থে লিখেছেন যে গিলজি গোত্রের আদি নিবাস ঘুর বা গির্জ‌ অঞ্চলে। পরবর্তীতে ভূমি লাভের জন্য তারা আফগানিস্তানের দক্ষিণপূর্বে চলে আসে।[১]

সাফাভিমুঘল যুগে বৃহত্তর কান্দাহার।

মুঘল ও সাফাভি সাম্রাজের মধ্যে লড়াইয়ের কারণে ১৭০৭ খ্রিষ্টাব্দে কান্দাহারে বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করছিল। প্রভাবশালী উপজাতীয় নেতা মীরওয়াইস খানকে পারস্যদেশীয় প্রশাসক গুরগিন খান বন্দী করে পারস্যের ইসফাহান পাঠিয়ে দেন। পরে মীরওয়াইস খান মুক্তি পান এবং শাহ সুলতান হুসাইনের সাথে নিয়মিতভাবে সাক্ষাতের অনুমতি পান। আস্থাভাজন হওয়ার পর তিনি হজ্জের জন্য মক্কা যাওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করেন। পারস্যে অবস্থানকালে তিনি সাফাভি সাম্রাজ্যে সামরিক দুর্বলতাগুলো পর্যবেক্ষণ করেছিলেন।[২][৩]

১৭০৯ খ্রিষ্টাব্দে মীরওয়াইস খান ও আবদুল আজিজ তার দেশবাসীকে সংগঠিত করা শুরু করেন। শহরের পারস্যদেশীয় ঘাঁটির একটি বড় অংশ অভিযানে যাওয়ার পর মীরওয়াইস ও আবদুল আজিজের অনুসারীরা ঘাঁটির উপর হামলা চালায়। এতে গুরগিন খানসহ প্রতিপক্ষের অধিকাংশ নিহত হন।[৩]

সাফাভি শাসনের সময় পশতুনদেরকে শিয়া মতবাদ গ্রহণে বাধ্য করা হত।[২] গুরগিন খান ও তার বাহিনীর পরাজয়ের পর হুতাক গোত্র শহর ও প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ লাভ করে।[৪] এরপর অঞ্চল পুনরুদ্ধারের জন্য পাঠানো একটি বৃহদাকার বাহিনীকে হুতাকরা পরাজিত করে।

মৃত্যু

আবদুল আজিজ হুতাক পারস্যের সাথে একটি শান্তিচুক্তি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার দেশবাসী এতে আপত্তি জানায়। ফলশ্রুতিতে ১৭১৭ খ্রিষ্টাব্দে মীরওয়াইস খানের পুত্র মাহমুদ হুতাক তাকে হত্যা করেন। এরপর মাহমুদ হুতাক নতুন শাসক হন।

আফগানিস্তানের কান্দাহারের কুকরান অংশে তার ভাইয়ের সমাধির পাশে আবদুল আজিজ হুতাককে দাফন করা হয়েছে।[৫]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

পূর্বসূরী
মীরওয়াইস হুতাক
আফগানিস্তানের আমির
১৭১৫–১৭১৭
উত্তরসূরী
মাহমুদ হুতাক
🔥 Top keywords: প্রধান পাতাবিশেষ:অনুসন্ধানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপকাজী নজরুল ইসলামবাংলাদেশ ডাক বিভাগশেখ মুজিবুর রহমানএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশছয় দফা আন্দোলনক্লিওপেট্রাবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪আবহাওয়ামুহাম্মাদব্লু হোয়েল (খেলা)বাংলা ভাষাইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাভারতভূমি পরিমাপবাংলা ভাষা আন্দোলনমহাত্মা গান্ধীমিয়া খলিফামৌলিক পদার্থের তালিকাবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলপহেলা বৈশাখপদ্মা সেতুলোকসভা কেন্দ্রের তালিকামাইকেল মধুসূদন দত্তসুনীল ছেত্রীবাংলাদেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তালিকাবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহআসসালামু আলাইকুমপশ্চিমবঙ্গবাংলাদেশে পালিত দিবসসমূহশেখ হাসিনাবাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রীজয়নুল আবেদিন