আবদুস সাত্তার ভূঞা
উকিল আবদুস সাত্তার ভূঞা (১৬ জানুয়ারি ১৯৩৯ - ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩) ছিলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী। তিনি ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও তৎকালীন কুমিল্লা-১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি।[১]
উকিল আবদুস সাত্তার ভূঞা | |
---|---|
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০০১ – ৭ এপ্রিল ২০০৩ | |
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ২২ মে ২০০৩ – ৬ মে ২০০৪ | |
ভূমি প্রতিমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ৬ মে ২০০৪ – ৩ অক্টোবর ২০০৬ | |
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ৩ অক্টোবর ২০০৬ – ২৯ অক্টোবর ২০০৬ | |
কুমিল্লা-১ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ – ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২ | |
পূর্বসূরী | মোহাম্মদ ছায়েদুল হক |
উত্তরসূরী | হুমায়ূন কবির |
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ – ২৭ অক্টোবর ২০০১ | |
পূর্বসূরী | হুমায়ূন কবির |
উত্তরসূরী | জিয়াউল হক মৃধা |
কাজের মেয়াদ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ – ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | |
পূর্বসূরী | জিয়াউল হক মৃধা |
উত্তরসূরী | শাহজাহান আলম সাজু |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | পরমানন্দপুর, অরুয়াইল, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে বাংলাদেশ) | ১৬ জানুয়ারি ১৯৩৯
মৃত্যু | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ এভারকেয়ার হাসপাতাল ঢাকা | (বয়স ৮৪)
সমাধিস্থল | পরমানন্দপুর গ্রাম, অরুয়াইল, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (১৯৭৯–২০২৩) |
সন্তান | ১ ছেলে ও ২ মেয়ে |
পিতামাতা | মকসুদ আলী ভূঞা (পিতা) রহিমা খাতুন (মাতা) |
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার তিনি সাবেক উপদেষ্টা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। ২ জানুয়ারি ২০২৩ সালে তিনি বিএনপি থেকে বহিষ্কার হন।[১][২]
প্রাথমিক জীবন
আব্দুস সাত্তার ভূঞা ১৯৩৯ সালের ১৬ জানুয়ারি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের আরুয়াইল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামের মকসুদ আলী ভূঞা ও রহিমা খাতুনের সংসারে জন্মগ্রহণ করেন। বিবাহিত জীবনে তার এক ছেলে মাইনুল হাসান তুষার ও দুই মেয়ে।[১]
কর্মজীবন
আবদুস সাত্তার ভূঞা ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের আইনজীবী ছিলেন।
রাজনৈতিক জীবন
আবদুস সাত্তার ভূঞা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি।
তিনি ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন কুমিল্লা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাত্তার।[৩] পরবর্তিতে ১৯৯১ সালের পঞ্চম[৪] ও ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারির ষষ্ঠ[৫] ও ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৬]
২০০১ সালের নির্বাচনে তৎকালীন ৪ দলীয় জোট সরকার থেকে টেকনোক্রেট কোঁটায় তিনি ১০ অক্টোবর ২০০১ থেকে ৭ এপ্রিল ২০০৩ সাল পর্যন্ত আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পালন করেন।[১]
২২ মে ২০০৩ থেকে ৬ মে ২০০৪ পর্যন্ত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পালন করেন।[৭]
৬ মে ২০০৪ থেকে ৩ অক্টোবর ২০০৬ সাল পর্যন্ত ভূমি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পালন করেন।
৩ অক্টোবর ২০০৬ থেকে ২৯ অক্টোবর ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পালন করেন।[৮]
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে তিনি নিষ্ক্রিয় ছিলেন।[৯][১]
২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আবারো ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য হন।[১০]
২ জানুয়ারি ২০২৩ সালে তিনি বিএনপি থেকে বহিষ্কার হয়ে সংসদ সদস্য পদ হারালেও ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখের উপ-নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে পুনঃনির্বাচিত হন।[১১][১]
মৃত্যু
আবদুস সাত্তার ভূঞা ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ভোর ৩ টায় ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।[১][৯]