আলমগীর কুমকুম
আলমগীর কুমকুম একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী চলচ্চিত্রকার, প্রযোজক, এবং পরিচালক। [১]
আলমগীর কুমকুম | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২ | (বয়স ৭০)
সমাধি | বনানী কবরস্থান, ঢাকা, বাংলাদেশ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
পেশা | প্রযোজক, পরিচালক |
কর্মজীবন | ১৯৬৮–২০১০ |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | আমার জন্মভূমি, মায়ের দোয়া |
সন্তান | ১ মেয়ে, ১ ছেলে |
আত্মীয় | ইআর খান (মামা) |
কর্মজীবন
আলমগীর কুমকুম ১৯৬৮ সালে তার মামা পরিচালক ইআর খানের সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন। সহকারী পরিচালক হিসেবে তার প্রথম চলচ্চিত্র চেনা অচেনা। এরপর তিনি রূপবানের রূপকথা এবং মধুবালা চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৬৯ সালে আলমগীর কুমকুম চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তার নির্মিত চলচ্চিত্রসমূহের মধ্যে স্মৃতিটুক থাক, আমার জন্মভূমি, গুন্ডা, মায়ের দোয়া অন্যতম।[২] তিনি চিত্রনায়ক আলমগীরকে নায়ক হিসেবে চলচ্চিত্রে নিয়ে আসেন। আলমগীর কুমকুম নির্মিত সর্বশেষ ছায়াছবি জীবন চাবি।[৩]
রাজনৈতিক জীবন
আলমগীর কুমকুম ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন এবং ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।[৪] তিনি বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটেরও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং দীর্ঘদিন এ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছিলেন। চলচ্চিত্র নির্মাণের পাশাপাশি তিনি পাকিস্তান আমল থেকে তিনি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আন্দোলনেও ভূমিকা রাখেন।
চলচ্চিত্র তালিকা
- স্মৃতিটুকু থাক
- আমার জন্মভূমি
- গুন্ডা
- মমতা
- আগুনের আলো
- কাপুরুষ
- সোনার চেয়ে দামি
- রাজবন্দি
- ভালোবাসা
- রাজার রাজা
- কাবিন
- শমসের
- রকি
- মায়ের দোয়া
- অমর সঙ্গী
- জীবন চাবি
মৃত্যু
তিনি দীর্ঘ দিন ডায়াবেটিস ও কিডনির সমস্যায় ভুগে ২০১২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। রামপুরা ওয়াপদা রোড জামে মসজিদে প্রথম নামাজে জানাজা, বাংলাদেশ টেলিভিশনে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা, এফডিসিতে তৃতীয় নামাজে জানাজা এবং সর্বশেষ আওয়ামী লীগের গুলশানস্থ পার্টি অফিসে চতুর্থ নামাজে জানাজা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।[৫]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে আলমগীর কুমকুম (ইংরেজি)
- বাংলা মুভি ডেটাবেজে আলমগীর কুমকুম