ইকবাল কাশিম

পাকিস্তানী ক্রিকেটার

মোহাম্মদ ইকবাল কাশিম (উর্দু: محمد اقبال قاسم‎‎; জন্ম: ৬ আগস্ট, ১৯৫৩) সিন্ধু প্রদেশের করাচি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও প্রশাসক। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৮ সময়কালে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ইকবাল কাশিম
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
মোহাম্মদ ইকবাল কাশিম
জন্ম (1953-08-06) ৬ আগস্ট ১৯৫৩ (বয়স ৭০)
করাচি, সিন্ধু, পাকিস্তান
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনস্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স
ভূমিকাবোলার, প্রশাসক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৭৫)
২৪ ডিসেম্বর ১৯৭৬ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট৭ অক্টোবর ১৯৮৮ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ২৪)
৩০ ডিসেম্বর ১৯৭৭ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ ওডিআই২৯ অক্টোবর ১৯৮৮ বনাম বাংলাদেশ
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতাটেস্টওডিআইএফসিএলএ
ম্যাচ সংখ্যা৫০১৫২৪৬৯৫
রানের সংখ্যা৫৪৯৩৯২৪৩২৩২৯
ব্যাটিং গড়১৩.০৭৬.৫০১৪.৪৭১০.৬১
১০০/৫০-/১-/--/৩-/-
সর্বোচ্চ রান৫৬১৩৬১২৩
বল করেছে১৩০১৯৬৬৪৫৫৩৮৭৪২২৩
উইকেট১৭১১২৯৯৯১১৯
বোলিং গড়২৮.১১৪১.৬৬২০.৪৮২০.৫৪
ইনিংসে ৫ উইকেট৬৮
ম্যাচে ১০ উইকেট-১৪-
সেরা বোলিং৭/৪৯৩/১৩৯/৮০৬/২৫
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং৪২/-৩/-১৭২/-২৭/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৫ জানুয়ারি ২০২০

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানি ক্রিকেটে করাচি, পাকিস্তান ন্যাশনাল ব্যাংক ও সিন্ধু দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে বামহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করেছেন ইকবাল কাশিম

খেলোয়াড়ী জীবন

১৯৭১-৭২ মৌসুম থেকে ১৯৯২-৯৩ মৌসুম পর্যন্ত ইকবাল কাশিমের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পঞ্চাশটি টেস্ট ও পনেরোটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন ইকবাল কাশিম। ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৭৬ তারিখে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৭ অক্টোবর, ১৯৮৮ তারিখে লাহোরে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৮৭ সালে ভারত গমন করেন। ব্যাঙ্গালোরে সিরিজের পঞ্চম টেস্টে দূর্দান্ত খেলে দলকে স্মরণীয় জয় এনে দেন। এরফলে ভারতের মাটিতে পাকিস্তানের প্রথম সিরিজ বিজয় নিশ্চিত হয়। খেলায় তিনি ১২১ রান খরচায় নয় উইকেট পান। তন্মধ্যে, ৯৬ রান সংগ্রহকারী সুনীল গাভাস্কারের উইকেট লাভ করেছিলেন তিনি।

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবন শেষে অংশগ্রহণকৃত ৫০ টেস্টে ১৭১ উইকেট লাভ করেছেন। খেলা প্রতি উইকেট সংগ্রহের হার প্রায় ৩.৫। নিখুঁতভাবে বোলিং করতেন। ফলশ্রুতিতে প্রতি ওভারে ২.২১ গড়ে রান দিয়েছিলেন তিনি।

খেলার ধরন

ধীর স্বভাব ও কৌণিক ভঙ্গীমায় আম্পায়ার ও স্ট্যাম্পের মাঝামাঝি এলাকা পাড়ি দিয়ে বোলিং কর্মে অগ্রসর হতেন ইকবাল কাশিম। বলকে তিনি দ্রুতলয় থেকে সাধারণের দিকে নিয়ে যেতেন। বিরাটভাবে বাঁক খাওয়াতে না পারলেও ব্যাটসম্যানকে বলে পেস আনয়ণের মাধ্যমে বিভ্রান্তিতে ফেলে দিতেন। ধীরগতিসম্পন্ন পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে আবদুল কাদিরই কেবল তার তুলনায় অধিক টেস্টে অংশগ্রহণ করতে পেরেছিলেন। দলীয় সঙ্গী আবদুল কাদিরের সাফল্যে প্রায়শঃই তার সফলতা ম্লান হয়ে পড়তো। তবে, গড় ও স্ট্রাইক রেটে তার তুলনায় এগিয়ে ছিলেন তিনি।

ছোটখাটো গড়নের অধিকারী ছিলেন তিনি। বলে ফ্লাইট আনয়ণের চেয়ে নিখুঁততার দিকে অধিক মনোনিবেশ ঘটাতেন। ওভারে দুইয়ের অধিক বলে ফ্লাইট দিতেন না। এক দশকের অধিক সময়ে পাকিস্তান দলের নিয়মিত সদস্যের মর্যাদা পেয়েছেন। ব্যাটিংয়ে মোটেই সুবিধে করতে পারেননি। তবে, কাছাকাছি এলাকায় ফিল্ডিং করে মাঝে-মধ্যেই দর্শনীয় ভাব সৃষ্টি করতেন।

অবসর

ক্রিকেট খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর গ্রহণের পর প্রশাসনের দিকে ঝুঁকে পড়েন। ২০১২ সালে পাকিস্তান দল নির্বাচকমণ্ডলীর প্রধান হিসেবে মনোনীত হন।[১]

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: প্রধান পাতাবিশেষ:অনুসন্ধানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপকাজী নজরুল ইসলামবাংলাদেশ ডাক বিভাগশেখ মুজিবুর রহমানএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশছয় দফা আন্দোলনক্লিওপেট্রাবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪আবহাওয়ামুহাম্মাদব্লু হোয়েল (খেলা)বাংলা ভাষাইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাভারতভূমি পরিমাপবাংলা ভাষা আন্দোলনমহাত্মা গান্ধীমিয়া খলিফামৌলিক পদার্থের তালিকাবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলপহেলা বৈশাখপদ্মা সেতুলোকসভা কেন্দ্রের তালিকামাইকেল মধুসূদন দত্তসুনীল ছেত্রীবাংলাদেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তালিকাবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহআসসালামু আলাইকুমপশ্চিমবঙ্গবাংলাদেশে পালিত দিবসসমূহশেখ হাসিনাবাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রীজয়নুল আবেদিন