ইয়ান গ্রেগ
ইয়ান আলেকজান্ডার গ্রেগ (ইংরেজি: Ian Greig; জন্ম: ৮ ডিসেম্বর, ১৯৫৫) কুইন্সটাউন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮২ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১]
ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ইয়ান আলেকজান্ডার গ্রেগ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কুইন্সটাউন, দক্ষিণ আফ্রিকা | ৮ ডিসেম্বর ১৯৫৫||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | ওয়াশিস, গ্রেগি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি (১.৮০ মিটার) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার, কোচ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | টনি গ্রেগ (ভ্রাতা), উইল হডসন (ভাইপো) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৪৯৬) | ২৯ জুলাই ১৯৮২ বনাম পাকিস্তান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১২ আগস্ট ১৯৮২ বনাম পাকিস্তান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৬ নভেম্বর ২০১৯ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সাসেক্স ও সারে এবং দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে বর্ডার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিং করতেন ‘ওয়াশিস’ ডাকনামে পরিচিত ইয়ান গ্রেগ।
শৈশবকাল
দক্ষিণ আফ্রিকার ইস্টার্ন কেপে ইয়ান গ্রেগের জন্ম। এডিনবরার জর্জ ওয়াটসন্স কলেজ, কুইন্সটাউনের কুইন্স কলেজ ও কেমব্রিজের ডাউনিং কলেজে অধ্যয়ন করেছেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকান হলেও পিতা স্কটল্যান্ডীয় হবার সুবাদে ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলার সুযোগ পেয়েছেন।
কেমব্রিজে অবস্থানকালে ইয়ান গ্রেগ রাগবি ইউনিয়ন ও ক্রিকেট খেলায় অংশ নিতেন। ১৯৭৭ ও ১৯৭৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলায় কেমব্রিজের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৭৭, ১৯৭৮ ও ১৯৭৯ সালে ক্রিকেট খেলায় ব্লুধারী হন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
১৯৭৪-৭৫ মৌসুম থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ইয়ান গ্রেগের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৭৯ সালে সাসেক্সের পক্ষে অল-রাউন্ডার হিসেবে একদিনের ক্রিকেটে অংশ নেন। এরপর ১৯৮০ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত সাসেক্সের পক্ষে খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেন। ১৯৮১ সালে সাসেক্সের পক্ষে সেরা সময় পাড় করেন। ৩০.৩৬ গড়ে ৯১১ রান ও ১৯.৩২ গড়ে ৭৬ উইকেট পান তিনি।
১৯৮৫ সালে সাসেক্স কর্তৃপক্ষ ব্যয় সঙ্কোচন নীতির অংশ হিসেবে গ্রেগ ও অন্যান্যদেরকে দলের বাইরে রাখে। ফলশ্রুতিতে, অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসিত হন তিনি। ১৯৮৭ সালে অস্ট্রেলিয়া থেকে ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন। পুনরায় তিনি সারে দলে অন্তর্ভুক্ত হন ও ১৯৮৭ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। অধিনায়ক থাকা অবস্থায় গ্রাহাম থর্প ও মার্টিন বিকনেলের ন্যায় প্রতিভাবান তরুণেরা দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন।
১৯৯০ সালে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৯১ রান তুলেন। ওভালে এ পর্যায়ে তার দল ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে ৭০৭ রান তুলেছিল। এর বিপরীতে প্রতিপক্ষ দল নীল ফেয়ারব্রাদারের ৩৬৬ রানের সুবাদে ৮৬৩ রান তুলেছিল।[২] এটিই ওভালে দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল।[৩]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ইয়ান গ্রেগ। ২৯ জুলাই, ১৯৮২ তারিখে বার্মিংহামে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ১২ আগস্ট, ১৯৮২ তারিখে লর্ডসে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৮২ সালে পাকিস্তান দল ইংল্যান্ড গমন করে। আঘাতপ্রাপ্ত ডেরেক প্রিঙ্গলের পরিবর্তে দুই টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ লাভ করেন।[৪]
জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা টনি গ্রেগের সাথে তুলনান্তে বেশ ম্রিয়মান ছিল তার ভূমিকা। ইংল্যান্ড দলের অল-রাউন্ডার হিসেবে তিনি কখনো ইয়ান বোথামের বিকল্প হিসেবে আবির্ভূত হতে পারেননি। সৌভাগ্যবশতঃ ইংল্যান্ডের প্রথম একাদশে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু, দুই টেস্টে অংশগ্রহণের পর পুনরায় তাকে কাউন্টি ক্রিকেটে ফিরে আসতে হয়।
ব্যক্তিগত জীবন
ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ও ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার টনি গ্রেগের কনিষ্ঠ ভ্রাতা তিনি ও ডারহাম ইউসিসিইয়ের খেলোয়াড় উইল হডসন সম্পর্কে তার ভাইপো।[৫] বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনভিত্তিক অ্যাঙ্গলিকান চার্চ গ্রামার স্কুলের প্রথম একাদশ দলে কোচের দায়িত্ব পালন করছেন।
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ইয়ান গ্রেগ (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ইয়ান গ্রেগ (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)