এম. এস. সুব্বুলক্ষ্মী

ভারতীয় গায়িকা
(এম এস শুভলক্ষ্মী থেকে পুনর্নির্দেশিত)

এম. এস. সুব্বুলক্ষ্মী (ইংরেজি: M.S. Subbalakshmi) (১৬ সেপ্টেম্বর, ১৯১৬- ১১ ডিসেম্বর, ২০০৪) কর্ণাটকী শাস্ত্রীয় সংগীতের বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ছিলেন। তিনি ভারতীয় সংগীতকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রচার ও প্রসার করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। ১৯৯৮ সালে ভারত সরকার তাকে ভারতের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার ভারতরত্ন পুরস্কারে সম্মানিত করেন। শুভলক্ষ্মী একজন প্রখ্যাত অভিনেত্রীরূপেও বিখ্যাত ছিলেন।[১]


এম. এস. সুব্বুলক্ষ্মী
এম. এস. সুব্বুলক্ষ্মী
জন্ম১৬ সেপ্টেম্বর ১৯১৬
মৃত্যু১১ ডিসেম্বর,২০০৪
জাতীয়তাভারতীয়
নাগরিকত্ব ভারত
এম. এস. সুব্বুলক্ষ্মী স্মারক ডাকটিকিট ২০০৫, ভারত
এম. এস. সুব্বুলক্ষ্মী

জন্ম ও পরিবার

এম. এস. শুভলক্ষ্মীর জন্ম হয় ১৯১৬ সালে দক্ষিণ ভারতের মাদুরাই নামক স্থানে। ২৪ বছর বয়সে শুভলক্ষ্মী সেহ. টি. সদাশিবমর সাথে বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হন। তিনি সবসময় কপালে একটা বড় সিন্দুরের ফোঁটা আঁকতেন, নাকের দুপাশে নাকফুল পরতেন এবং তার হাতে সবসময় একটি বড় ফুলের মালা শোভা পেত। ছোটবেলায় তিনি বাড়ি থেকে একটি সংগীতের পরিবেশ লাভ করেছিলেন। শুভলক্ষ্মীর মা ছিলেন একজন প্রখ্যাত গায়িকা। মা নিজের মেয়েকে একজন সু-গায়িকা করতে কামনা করেছিলেন। তিনি ছোটবেলায় মায়ের থেকেই সংগীতের অনুপ্রেরণা লাভ করেন ও মায়ের থেকেই প্রয়োজনীয় সংগীতের শিক্ষা লাভ করেন। মীনাক্ষী মন্দির-এ শুভলক্ষ্মীর মা সংগীতানুষ্ঠানে যোগদান করেছিলেন ও মায়ের সাথে শুভলক্ষ্মীও মীনাক্ষী মন্দিরে গাইতে মাকে সহায়তা করেছিলেন।[১]

শিক্ষা ও সঙ্গীত সাধনা

শুভলক্ষ্মীর সতেরো বছর বয়সে তিনি মাদ্রাজ মিউজিক একাডেমীতে সংগীত পরিবেশন করার সুবিধা লাভ করেন ও দর্শকের ভূয়সী প্রশংসা লাভ করতে সমর্থ হন। একজন ভাল গায়িকা হিসাবে সমাজ থেকে স্বীকৃতি লাভ করেন। ১৯৪৩ সালে তিনি সর্বভারতীয় সংগীতানুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করাতে, সর্বভারতীয় স্তরে তার নাম-যশ বিয়পি পরে। তিনি একজন প্রখ্যাত অভিনেত্রী রূপেও বিখ্যাত ছিলেন। তিনি মীরা নামক একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করেছিলেন এবং সেই চলচ্চিত্রে তিনি নিজে সংগীত পরিবেশন করেছিলেন। তিনি ছিলেন কর্ণাটকী সংগীতের একজন নিপুণ গায়িকা। মহাত্মা গান্ধীর ৭৮ তম জন্মোত্সব উপলক্ষে শুভলক্ষ্মী হরি তুম হারো জান কী পীর নামক ভজন পরিবেশন করেছিলেন।[১]১৯৬৬ সালে তিনি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র কমন ওয়েলথ্-এর মহা সচিবের আমন্ত্রণে আমেরিকা যান ও সেখানে সংগীত পরিবেশন করে শ্রোতাদের মন জয় করতে সমর্থ হন। ১৯৫৪ সালে ভারত সরকার তাকে পদ্মভূষণ উপাধিতে বিভূষিত করে। তাকে সংগীত নাটক একাডেমীসংগীত কলানিধি পুরস্কারেও সম্মানিত করা হয়েছিল। ১৯৭৪ সালে তিনি সন্মানীয় রামণ ম্যাগসেসে পুরস্কার লাভ করেন।[১]

প্রাপ্ত পুরস্কার

  1. ভারতরত্ন পুরস্কার, (১৯৯৮)
  2. পদ্মভূষণ, (১৯৫৪)
  3. রামণ ম্যাগসেসে পুরস্কার, (১৯৭৪)

মৃত্যু

এই কিংবদন্তি শিল্পীর ২০০৪ সালে পরলোকপ্রাপ্তি ঘটে।

তথ্যসূত্র

বহিসংযোগ

🔥 Top keywords: প্রধান পাতাবিশেষ:অনুসন্ধানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপকাজী নজরুল ইসলামবাংলাদেশ ডাক বিভাগশেখ মুজিবুর রহমানএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশছয় দফা আন্দোলনক্লিওপেট্রাবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪আবহাওয়ামুহাম্মাদব্লু হোয়েল (খেলা)বাংলা ভাষাইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাভারতভূমি পরিমাপবাংলা ভাষা আন্দোলনমহাত্মা গান্ধীমিয়া খলিফামৌলিক পদার্থের তালিকাবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলপহেলা বৈশাখপদ্মা সেতুলোকসভা কেন্দ্রের তালিকামাইকেল মধুসূদন দত্তসুনীল ছেত্রীবাংলাদেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তালিকাবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহআসসালামু আলাইকুমপশ্চিমবঙ্গবাংলাদেশে পালিত দিবসসমূহশেখ হাসিনাবাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রীজয়নুল আবেদিন