কানা (প্রত্নক্ষেত্র)

কানা হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার কানা গ্রামে অবস্থিত একটি পুরা প্রস্তর যুগের একটি স্থান। মাইক্রোব্লেড প্রত্নবস্তু সম্বলিত প্রত্নক্ষেত্রটি কুমারী অববাহিকার মানবাজার গঠনের অন্তর্গত। এটি একটি বিচ্ছিন্ন শিলা পাহাড় পাদদেশে কানা গ্রামের প্রায় ৫০০ মিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত।

কানা
কানা (প্রত্নক্ষেত্র) পশ্চিমবঙ্গ-এ অবস্থিত
কানা (প্রত্নক্ষেত্র)
পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান
অবস্থানকানা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
স্থানাঙ্ক২৩°০৭′৪২″ উত্তর ৮৬°১২′৪৫.৫″ পূর্ব / ২৩.১২৮৩৩° উত্তর ৮৬.২১২৬৩৯° পূর্ব / 23.12833; 86.212639
ধরনবসতি
ইতিহাস
প্রতিষ্ঠিত৪২,০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ
সংস্কৃতিউচ্চ প্রাচীনপ্রস্তযুগ
স্থান নোটসমূহ
খননের তারিখ১৯৯৮–৯৯ ও ২০১২–১৩
অবস্থাধ্বংসাবশেষ
মালিকানাসরকারি
জনসাধারণের প্রবেশাধিকারহ্যাঁ

এটি ৪২০০০ বছর আগের পুরা প্রস্তর যুগের শারীরবৃত্তীয়ভাবে আধুনিক মানুষের সাংস্কৃতিক অবশেষের জন্য পরিচিত।[১]

প্রত্নতত্ত্ব

অযোধ্যা পাহাড়ে প্রথম পর্যায়ের খননকার্য ১৯৯৮-৯৯ খ্রিস্টাব্দে সেন্টার ফর আরকিওলজিক্যাল স্টাডিজ অ্যান্ড ট্রেনিং-এর অধীনে পরিচালিত হয়েছিল। এই খননকার্যে পুরা প্রস্তর যুগীয় কানা ও মহাদেববেরা প্রত্নক্ষেত্র দুটি আবিষ্কৃত হয়। প্রথম পর্যায়ের খননকার্য ২০১১-১২ খ্রিস্টাব্দে পরিচালিত হয়েছিল।[২]

প্রত্নতাত্ত্বিকরা দাবি করেন যে এই প্রত্নক্ষেত্রে আদিম মানুষের বসবাস ছিল। প্রাপ্ত নমুনার অপটিক্যালি স্টিমুলেটেড লুমিনেসেন্স (ওএসএল) ডেটিং-এর ফলাফল অনুযায়ী, কানা হল পশ্চিমবঙ্গে আবিষ্কৃত প্রত্নতাত্ত্বি বসতিগুলির মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীনতম। কানা থেকে পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে প্রাচীন পুরা প্রস্তর যুগীয় নমুনা পাওয়া গিয়েছে, যা ৪২,০০০ বছরের পুরাতন।[৩]

খননকৃত কানা

পাহাড়ের পাদদেশে প্রত্নক্ষেত্রটি ২২,৫০০ বর্গমিটার জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে। প্রত্নক্ষেত্রে ~৫-৬ মিটার লালচে-বাদামী মাটি-পলিমাটির আস্তরণ দেখা যায়। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহ নুড়িযুক্ত পলিময় বালির একটি আস্তরণে পাওয়া যায়, যার নীচে সবুজ-ধূসর কাদামাটি পলির একটি স্তর উন্মোচিত হয়েছে। প্রত্নক্ষেত্রের একটি অংশে ২.৪৭ মিটার গভীরতা পর্যন্ত মাটি অপসারণ করা হয়েছিল, এবং ১.৩৪-১.৬৩ মিটার গভীরতা থেকে প্রত্নবস্তুগুলি পাওয়া গিয়েছে। খননকার্যে প্রাপ্ত অস্ত্রসমূহের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন পাথরের খণ্ড ও লোহা-ম্যাঙ্গানিজের নরম ছোরা। প্রত্নবস্তু তৈরিতে যে সকল প্রধান কাঁচামাল ব্যবহৃত হয়েছিল সেগুলি হল চার্ট ও ফেলসিক টাফ, সামান্য শতাংশ অ্যামফিবোলাইট এবং এক ধরনের কালো আগ্নেয় শিলা।[২][৪]

তথ্যসূত্র

গ্রন্থপঞ্জি

🔥 Top keywords: প্রধান পাতাবিশেষ:অনুসন্ধানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপকাজী নজরুল ইসলামবাংলাদেশ ডাক বিভাগশেখ মুজিবুর রহমানএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশছয় দফা আন্দোলনক্লিওপেট্রাবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪আবহাওয়ামুহাম্মাদব্লু হোয়েল (খেলা)বাংলা ভাষাইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাভারতভূমি পরিমাপবাংলা ভাষা আন্দোলনমহাত্মা গান্ধীমিয়া খলিফামৌলিক পদার্থের তালিকাবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলপহেলা বৈশাখপদ্মা সেতুলোকসভা কেন্দ্রের তালিকামাইকেল মধুসূদন দত্তসুনীল ছেত্রীবাংলাদেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তালিকাবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহআসসালামু আলাইকুমপশ্চিমবঙ্গবাংলাদেশে পালিত দিবসসমূহশেখ হাসিনাবাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রীজয়নুল আবেদিন