ক্রিস প্রিঙ্গল
ক্রিস্টোফার প্রিঙ্গল (ইংরেজি: Chris Pringle; জন্ম: ২৬ জানুয়ারি, ১৯৬৮) অকল্যান্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও কোচ। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৫ সময়কালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ক্রিস্টোফার প্রিঙ্গল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ২৬ জানুয়ারি, ১৯৬৮ অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৭৩) | ১০ অক্টোবর ১৯৯০ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৮ মার্চ ১৯৯৫ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৬৯) | ২৩ মে ১৯৯০ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১ এপ্রিল ১৯৯৫ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৯–১৯৯৮ | অকল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৬ | নেদারল্যান্ডস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন ক্রিস প্রিঙ্গল।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
১৯৮৯-৯০ মৌসুম থেকে ১৯৯৫-৯৬ মৌসুম পর্যন্ত ক্রিস প্রিঙ্গলের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। মজবুত গড়নের অধিকারী ক্রিস প্রিঙ্গল চটপটে মিডিয়াম পেসার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তার পেস কখনো টেস্ট মানের উপযোগী হিসেবে গণ্য হয়নি। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৮ সময়কালে স্টেট চ্যাম্পিয়নশীপে অকল্যান্ডের পক্ষে খেলেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণের সূচনালগ্নে অন্যতম স্মরণীয় ঘটনার সৃষ্টি করেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট প্রতিযোগিতা শেল ট্রফিতে ছয়টিমাত্র খেলায় অংশ নেয়ার পর ইংল্যান্ডে চলে যান। ১৯৯০ সালে ইংল্যান্ডের ব্রাডফোর্ড লীগে ক্রিকেট খেলেন ক্রিস প্রিঙ্গল। লিডসের হেডিংলি স্টেডিয়ামে অনুশীলন চলাকালে তিনি আসন্ন ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ওডিআইয়ে অংশগ্রহণের আগ্রহ ব্যক্ত করেছিলেন। তবে, তিনজন বোলারের আঘাতপ্রাপ্তি কিংবা অনুপস্থিতিতে দুই খেলায় তার অংশগ্রহণ করার সুযোগ ঘটে।[১]
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চৌদ্দটি টেস্ট ও চৌষট্টিটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন ক্রিস প্রিঙ্গল। ১০ অক্টোবর, ১৯৯০ তারিখে করাচীতে স্বাগতিক পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৮ মার্চ, ১৯৯৫ তারিখে ডুনেডিনে সফরকারী শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
পাকিস্তান গমন
১৯৯০-৯১ মৌসুমে করাচীতে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে অভিষিক্ত হন। নিজস্ব তৃতীয় টেস্টে ১৫২ রান খরচায় ১১ উইকেট পান। তন্মধ্যে, প্রথম ইনিংসে ৭/৫২ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েছিলেন। এ খেলাসহ পুরো সিরিজটি বিতর্কের মুখে নিপতিত হয়। উভয় দলই বলে ক্ষত সৃষ্টির জন্যে অভিযুক্ত হয়। প্রিঙ্গল বোতলের ছিপি দিয়ে বলে ক্ষত সৃষ্টি করেন। অন্তর্বর্তীকালীন টেস্টে দলে অন্তর্ভূক্তি ঘটে তার। তবে, টেস্টের তুলনায় ওডিআইয়ে অধিক সফলতা পান। তেমন দর্শনীয় বোলিং ভঙ্গীমার অধিকারী না হলেও শেষেরদিকের ওভারগুলোয় চমৎকারভাবে ইয়র্কার মারতেন।
১৯৯০ সালে হোবার্টের বেলেরিভ ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন। প্রিঙ্গল দলের ৫০তম ওভারে বোলিং করতে আসেন। চূড়ান্ত ওভারে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন্যে প্রয়োজন ছিল মাত্র দুই রান। ব্রুস রিড রান আউটের শিকার হলে টাইয়ের স্বপ্ন ভেঙে যায় ও তিনি মেইডেন ওভার লাভ করলে নিউজিল্যান্ড দল নাটকীয়ভাবে এক রানে বিজয়ী হয়।[২]
১৯৯৪ সালে ১১ নম্বরে ব্যাটসম্যান হিসেবে ওডিআইয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকে পরিণত হন। নিউজিল্যান্ডের সংগৃহীত ১৭১/৯ রানের মধ্যে তার অবদান ছিল অপরাজিত ৩৪ রান।[৩][৪]
অবসর
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর কোচিং জগতের দিকে ধাবিত হন। নেদারল্যান্ডসে ক্রিকেট খেলেন ও কোচের দায়িত্ব পালন করতেন। তবে, ১৯৯৮ সালে পায়ের গোড়ালিতে আঘাতের কারণে ক্রিকেট খেলায় ইতি টানেন।
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ক্রিস প্রিঙ্গল (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ক্রিস প্রিঙ্গল (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)