খন্দকার আবদুর রশিদ
খন্দকার আবদুর রশিদ একজন বাংলাদেশী সাবেক সেনা কর্মকর্তা। তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা মামলার পলাতক আসামি।[১][২]
খন্দকার আবদুর রশিদ | |
---|---|
কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ – ১২ জুন ১৯৯৬ | |
পূর্বসূরী | রেদোয়ান আহমেদ |
উত্তরসূরী | আলী আশরাফ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | খন্দকার আবদুর রশিদ রেন্টু ১৯৪৬ ছয়গড়িয়া, চান্দিনা, কুমিল্লা জেলা |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ ফ্রিডম পার্টি |
পিতামাতা | আবদুল করিম খন্দকার |
সামরিক পরিষেবা | |
ডাকনাম | রেন্টু |
আনুগত্য | বাংলাদেশ |
শাখা | বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, |
পদ | লেফটেন্যান্ট কর্নেল |
জীবন বৃত্তান্ত
খন্দকার আবদুর রশিদ ১৯৪৬ সালে ব্রিটিশ ভারতের কুমিল্লা জেলার চান্দিনার ছয়গড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আবদুল করিম খন্দকার। তার বড় মেয়ে মেহনাজ রশিদ ফ্রিডম পার্টির নেতা। আরেক মেয়ে শেহনাজ রশিদ খান।
তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন এবং বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে পক্ষত্যাগ করে মুক্তিযোদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ স্বাধীনের পর তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে উন্নীত হন।
তিনি সৈয়দ ফারুক রহমানের সঙ্গে বাংলাদেশ ফ্রিডম পার্টি গঠন করেন। তিনি ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য হন।[৩]
হত্যার দায়
১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবের পতন ও হত্যার সময় তিনি একজন প্রধান অংশগ্রহণকারী ছিলেন।[৪] তিনি পুরো সময় খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছিলেন। ষড়যন্ত্রকারীরা ঢাকা সেনানিবাসে তার বাসভবনে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেন।[৫] হত্যার পর তিনি মেজর থেকে লেফটেন্যান্ট কর্নেলে পদোন্নত হন। তিনি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের শাসনামলে ঢাকায় ফিরে আসেন।
শাস্তি
শেখ মুজিবের হত্যার দায়ে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ২০১৬ সাল পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। বাংলাদেশ সরকার মার্কিন সরকারের সাথে কথা বলে তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছে।[৬] ২০১৬ সালে শেখ মুজিবের হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায়,তার সম্পত্তিগুলি জব্দ করার অনুমতি দিয়ে বাংলাদেশ সরকার একটি আইন পাস করে। কুষ্টিয়া ভিত্তিক জুবিলী ব্যাংক রশীদের শেয়ার বাংলাদেশ ব্যাংক জব্দ করার আদেশ দেয়।[৭] তার মেয়ে মেহনাজ রশিদ ফ্রিডম পার্টির বর্তমান নেত্রী এবং ২০০৯ সালে বাংলাদেশ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।[৮]