খেড়া জেলা
খেড়া জেলা হল পশ্চিম ভারতের গুজরাত রাজ্যের পূর্ব অংশের একটি জেলা। জেলার পশ্চিমাঞ্চলের খেড়া শহরটি হল প্রশাসনিক সদর দফতর। খেড়া জেলা ৭,১৯৪ বর্গ কিমি অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত। এটি গুজরাটের বৃহত্তম তামাক উত্পাদনকারী। ঐতিহাসিক স্থানটি পঞ্চম শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৮০৩ সালে ব্রিটিশরা এখানে একটি সামরিক ফাঁড়ি তৈরি করেছিল।
খেড়া জেলা খেড়া জেলা | |
---|---|
জেলা | |
গুজরাতে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: | |
দেশ | ভারত |
ভারতের রাজ্যসমূহ ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহ | গুজরাত |
সরকার | |
• সমাহর্তা (কালেক্টর) | শালিনী আগরওয়াল, আইএএস |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ২২,৯৯,৮৮৫ |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
যানবাহন নিবন্ধন | জিজে৭ |
ওয়েবসাইট | gujaratindia |
ইতিহাস
পূর্বে খেড়া জেলা, কাইরা জেলা হিসাবে পরিচিত ছিল। ১৯৯৭ সালে, এই জেলাটি দুটি অংশে বিভক্ত করা হয় এবং জেলার দক্ষিণ অংশ আনন্দ জেলা নাম পায়।[১] কাইরা জেলার চারোটার অঞ্চলটি, চারটি উপজেলা (উপ-জেলা) নিয়ে গঠিত: আনন্দ, বোর্সাদ, নদিয়াদ এবং পেটল্যাড।[২] যখন জেলাটি বিভক্ত করা হয়, নদিয়াদ তালা খেদা জেলায় এবং অন্য তিনটি আনন্দ জেলার সাথে যুক্ত করা হয়েছিল।[৩]
বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের তৎকালীন সময়, চরোটার অঞ্চল এবং কাইরাতে অন্যান্য অঞ্চলের পাটিদাররা ইংরেজদের বেশ কয়েকটি সময় প্রতিরোধ করেছিল, যেমন ১৯১৩ সালের কাইরা শুল্কবিরোধী প্রচার, ১৯১৮ সালের খেদা সত্যগ্রহ, ১৯২৩ সালের বোর্সাদ সত্যগ্রহ,[৪] এবং ১৯২৮ সালের বারদোলি সত্যাগ্রহ।[৫]
জনসংখ্যা
২০১১ সালের ভারতীয় জনগণনা অনুসারে খেড়া জেলা মোট জনসংখ্যা ছিল ২,২৯৯,৮৮৫ জন[৬] যা লাতভিয়া[৭] অথবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো রাজ্যের সমান।[৮]
জনসংখ্যার হিসাবে জেলাটি ভারতে ১৯৭তম স্থানে রয়েছে (মোট ৬৪০টির এর মধ্যে)।[৬] জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৫৪১ জন লোক বসবাস করে (প্রতি বর্গমাইলে ১,৪০০ জন)।[৬] ২০০১-২০১১ এর দশকে গোয়ালিয়র জেলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১২.৮১% শতাংশ।[৬] লিঙ্গ অনুপাত প্রতি ১০০০ জন পুরুষের বিপরীতে ৯৩৭ জন নারী রয়েছে।[৬] সাক্ষরতার হার ৮৪.৩১%।[৬]
২০১১ সালের ভারতীয় জনগণনার সময় খেড়া জেলার ৯৭.৩৫% জনগণ গুজরাটি ভাষায় কথা বলে, ২.০৩% হিন্দি তাদের প্রথম ভাষা হিসাবে ব্যবহার করে থাকে।[৯]
প্রধান দর্শনীয় স্থানগুলি
নদিয়াদ
খেড়া জেলার অন্যতম বৃহত্তম শহর এটি। এখানকার সন্ত্রাম মন্দির এবং শ্রী মাই মন্দিরের খুবই বিখ্যাত। এই দুটো মন্দির তাদের দুর্দান্ত কারুকার্যের জন্য পরিচিত। এই শহরেই জন্মগ্রহণ করেন সরদার বল্লভভাই প্যাটেল এবং গুজরাটি উপন্যাস সরস্বতী চন্দ্রের লেখক গোবর্ধনরাম ত্রিপাঠী। শহরে অনেকগুলি হাসপাতাল এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
মাতার তীর্থ
এটি একটি জৈন মন্দির এবং খেলা মেন রোডে অবস্থিত। ভগবান সুমতিনাথ উত্সর্গীকৃত মন্দির, এটির প্রবেশ দ্বার দ্বিতীয় আকর্ষণীয় বস্তু। এখানে যাত্রীদের থাকার উপযুক্ত ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে শ্রী খেদা মন্দির অবস্থিত।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
- Official site ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৮ নভেম্বর ২০২০ তারিখে
- Glorious India website.