চুল প্রতিস্থাপন

চুল প্রতিস্থাপন বা হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন(Hair transplantation) একটি সার্জারি প্রক্রিয়া,যাতে শরীরের কোন অংশ(দাতা সাইট) হতে হেয়ার ফলিকল তুলে অন্য কোন চুলবিহীন অংশে(গ্রহীতা সাইট) প্রতিস্থাপন করা হয়। এটি সাধারণভাবে পুরুষ মানুষের টাকের চিকিৎসায় প্রচলিত।এই প্রক্রিয়ায় জিনগতভাবে টাকবিহীন অঞ্চল যেমন মাথার পিছন হতে হেয়ার ফলিকল তুলে টাক অংশে লাগানো হয়।এছাড়াও চোখের ভুরু,দাড়ি,বুকের চুল এবং দুর্ঘটনায় সৃষ্ট চুলবিহীন অংশেও এটি ব্যবহৃত হয়।

চুল প্রতিস্থাপন
মাথার পিছনে একটি গ্রাফট প্রতিস্থাপন অপারেশন

বর্তমান যুগে চুল প্রতিস্থাপনের সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি হল "ফলিকুলার ইউনিট ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন"।[১]

প্রক্রিয়া

প্রাক-অপারেটিভ মূল্যায়ন এবং পরিকল্পনা

প্রথমত,সার্জন রোগীর স্কাল্প(Scalp) বা মাথার খুলি বিশ্লেষণ করেন,তাদের পছন্দ ও প্রত্যাশা নিয়ে আলোচনা করেন,তাদের কোন পদ্ধতিতে চুল প্রতিস্থাপন করলে ভাল হবে (যেমন একক বনাম একাধিক সেশন),তা নিয়ে পরামর্শ দেন এবং সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে আলোচনা করেন।প্রাক-অপারেটিভ folliscopy চুলের বিদ্যমান ঘনত্ব জানতে সাহায্য করবে, যাতে নতুন রূপান্তরিত চুল গ্রাফটের এর পোস্ট অপারেটিভ ফলাফল সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা যায়।কিছু রোগীর ক্ষেত্রে সাময়িক প্রাক অপারেটিভ minoxidil এবং ভিটামিন সঙ্গে উপকারী হতে পারে।

সার্জারির কয়েক দিন আগে রোগীর যে কোনও ওষুধ যার ফলে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হতে পারে,তা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।পোস্ট অপারেটিভ অ্যান্টিবায়োটিকগুলি সাধারণভাবে সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়।

চুল সংগ্রহ পদ্ধতি

প্রতিস্থাপন অপারেশনের আগে রোগীকে হালকা নিস্তেজকারি ঔষধ(সিডেটিভ) সঙ্গে এবং স্থানীয় এনেস্থেশিয়া ইনজেকশন দেওয়া হয়।এরপর স্কাল্পে শ্যাম্পু এবং অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল ঔষধ দিয়ে চুল প্রতিস্থাপনের জন্য প্রস্তুত করা হয়।

চুল প্রতিস্থাপনের অনেক পন্থা আছে,যেগুলোর প্রত্যেকেরই নিজস্ব সুবিধা-অসুবিধা আছে।যে পন্থাই অবলম্বন করা হোক না কেন,সঠিকভাবে হেয়ার ফলিকল সংগ্রহ করা প্রতিস্থাপিত চুলের স্থায়িত্ব রক্ষা করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।হেয়ার ফলিকল যেহেতু ত্বকের সাথে সামান্য কৌণিকভাবে অবস্থান করে,প্রতিস্থাপিত টিস্যুকেও সেই কোণ অনুযায়ী অপসারণ করা হয়।

বর্তমানে দুই উপায়ে চুল প্রতিস্থাপন করা হয় - স্ট্রিপ এক্সসিসন(Strip excision) এবং ফলিকুলার ইউনিট এক্সট্রাকশন (Follicular Unit Extraction) ।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

চুল পাতলা হয়ে যাওয়া হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্টেশনের সবচেয়ে প্রচলিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।কিন্তু এটি সাময়িক।অন্যান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে আছে মাথার ত্বক ও কপালের কিছু অংশ ফুলে যাওয়া।পাশাপাশি,মাথা চুলকালে রোগীকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে।এজন্য ময়েশ্চারাইজার বা শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে।

কার্যকরিতা

প্রতিস্থাপিত চুল কিছুদিন পড়েই ঝরে যায়,যা স্বাভাবিক ঘটনা।এর দুই তিন মাস পরেই চুল গজানো শুরু হয়।পুরোপুরি ফলাফল পেতে ৬ মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।

ইতিহাস

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: প্রধান পাতাবিশেষ:অনুসন্ধানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপকাজী নজরুল ইসলামবাংলাদেশ ডাক বিভাগশেখ মুজিবুর রহমানএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশছয় দফা আন্দোলনক্লিওপেট্রাবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪আবহাওয়ামুহাম্মাদব্লু হোয়েল (খেলা)বাংলা ভাষাইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাভারতভূমি পরিমাপবাংলা ভাষা আন্দোলনমহাত্মা গান্ধীমিয়া খলিফামৌলিক পদার্থের তালিকাবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলপহেলা বৈশাখপদ্মা সেতুলোকসভা কেন্দ্রের তালিকামাইকেল মধুসূদন দত্তসুনীল ছেত্রীবাংলাদেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তালিকাবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহআসসালামু আলাইকুমপশ্চিমবঙ্গবাংলাদেশে পালিত দিবসসমূহশেখ হাসিনাবাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রীজয়নুল আবেদিন