জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট

জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট বা নিটার সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার নয়ারহাটে অবস্থিত একটি শিক্ষামূলক, গবেষণা ও প্রশিক্ষণমূলক প্রতিষ্ঠান। ১৯৭৯ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক এই প্রশিক্ষণ ও গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলা হয়। ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিষ্ঠানটিতে আলাদা দুটি আবাসিক হলের ব্যবস্থা রয়েছে। এর ক্যাম্পাসের আয়তন বর্তমানে ১৭.৩ একর।[১] এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে বস্ত্র প্রকৌশল, শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশল, ফ্যাশন ডিজাইন ও পোশাক প্রকৌশল, কম্পিউটার বিজ্ঞান প্রকৌশল ও তড়িৎ ও বৈদ্যুতিন প্রকৌশলে ব্যাচেলর অফ সায়েন্স ডিগ্রী প্রদান করে। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) এবং বাংলাদেশ সরকারের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সাথে প্রতিষ্ঠানটির অংশীদারত্ব রয়েছে। এটি একটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বমূলক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান।

জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট
অন্যান্য নাম
নিটার
প্রাক্তন নাম
বস্ত্র শিল্প বিকাশ কেন্দ্র (টিআইডিসি)
ধরনসরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব
স্থাপিত১৯৭৯ (1979) টিআইডিসি এবং ২০০৯ সালে নিটারে রূপান্তরিত করা হয়
প্রতিষ্ঠাতাবাংলাদেশ সরকার
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ডিনমো. হাসানুজ্জামান
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ
১১০
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ
৩৫
শিক্ষার্থী১৫০০
স্নাতক১৪০০
স্নাতকোত্তর১০০
ঠিকানা
কোহিনূর গেট, নয়ারহাট
, , ,
১৩৫০
,
২৩°৫৪′৫৭″ উত্তর ৯০°১৪′০৮″ পূর্ব / ২৩.৯১৫৭° উত্তর ৯০.২৩৫৬° পূর্ব / 23.9157; 90.2356
শিক্ষাঙ্গনশহুরে
১৭.৩ একর (৭.০ হেক্টর)
ভাষাইংরেজিবাংলা
ওয়েবসাইটwww.niter.edu.bd
মানচিত্র

ইতিহাস

১৯৭৯ সালের জানুয়ারিতে “বস্ত্র শিল্প বিকাশ কেন্দ্র” নামে জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সূচনা হয়। ১৯৯৬ সালে সরকারের উদ্যোগে বস্ত্র শিল্পের উন্নয়নে একটি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে এটি ‘জাতীয় বস্ত্র প্রশিক্ষণ গবেষণা ও নকশা ইনস্টিটিউট’ (নিটরাড) নামে আত্মপ্রকাশ করে। পরে বাংলাদেশ সরকারের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালেয়র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মে ২০০৯ থেকে দেশের প্রথম ‘সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব’ শিক্ষা ও গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে ‘বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস্ এসোসিয়েশন’ কে ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়।

বিটিএমএ-র ব্যবস্থাপনায় উচ্চ শিক্ষার নিমিত্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত হয় প্রতিষ্ঠানটি। ঢাবির পরামর্শ অনুযায়ী জানুয়ারি ২০০৯ থেকে প্রতিষ্ঠানটি ‘জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (নিটার) নামে পরিচিত হয়।

শিক্ষা কার্যক্রম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রকৌশল ও প্রযুক্তি’ অনুষদের অধীনে ৪ বছর মেয়াদি বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু হয়। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠান থেকে যে সব বিষয়ের উপর বিশেষায়িত ডিগ্রি প্রদান করা হচ্ছে, সেগুলো হলো-

  • বস্ত্র প্রকৌশলে বি.এসসি (টিই)
  • শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশলে বি.এসসি (আইপিই)
  • ফ্যাশন ডিজাইন ও অ্যাপারেল প্রকৌশলে বি.এসসি (এফডিএই)
  • কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বি.এসসি (সিএসই)
  • তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশলে বি.এসসি (ইইই)

ক্যাম্পাস

জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ঢাকার সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ২.২ কি.মি. সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক সংলগ্ন নয়ারহাট/কুহিনূর গেটেই ১৩.০৬ একর জমির উপর অবস্থিত। এখানে কয়েকটি একাডেমিক ভবন, ১৪,৫০০ বইয়ের সংগ্রহ নিয়ে ১টি গ্রন্থাগার ও প্রশাসনিক ভবন, ছাত্রছাত্রীদের জন্য আবাসিক হল রয়েছে।

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী