জালাল উদ্দিন তাহেরি
জালাল উদ্দিন তাহেরি ইস্পাহানি (سید جلالالدین طاهری اصفهانی (বা জালালেদ্দিন তাহেরি, ১ জানুয়ারী ১৯২৬ - ২ জুন ২০১৩) ছিলেন একজন ইরানি পণ্ডিত, ধর্মতত্ত্ববিদ ও ইসলামি দার্শনিক। তিনি ইসলামি চরমপন্থার সমালোচক এবং ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি ছিলেন।
জালাল উদ্দিন তাহেরি | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | জালালুদ্দীন তাহেরী হুসাইনাবাদী ১ জানুয়ারি ১৯২৬ |
মৃত্যু | জুন ২, ২০১৩ এসফাহন, ইরান | (বয়স ৮৭)
অন্যান্য নাম | سید جلالالدین طاهری اصفهانی |
পরিচিতির কারণ | ইস্পাহানের খতীব সদস্য, বিশেষজ্ঞ পরিষদ |
সন্তান | আব্দুল হুসাইন মালেক আজম মুহাম্মদ হুসাইন মাহদি আহমদ আলী |
আত্মীয় | আব্দুল খালেক তাহেরি (পিতা) |
ওয়েবসাইট | অফিসিয়াল ওয়েবসাইট |
কর্মজীবন
তাহেরি বিশেষজ্ঞ পরিষদের সদস্য এবং ইস্পাহান প্রদেশের আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির প্রতিনিধি ছিলেন। ২০০২ সালে তাহেরি ইস্পাহানে ৩০ বছর যাবৎ ইমামের দায়িত্ব পালনের পর পদত্যাগ করেছিলেন।[১] তাহেরির পদত্যাগপত্রে "ইরানে ধর্মীয় ক্ষমতার অপব্যবহার"-এর অভিযোগ করা হয়েছিল।[২] ২০০৯ সালের ৩০ জুন তাহেরি একটি খোলা চিঠি লিখেছিলেন, যেখানে তিনি মাহমুদ আহমাদিনেজাদকে অবৈধ রাষ্ট্রপতি বলে অভিহিত করেছিলেন। [৩]
মৃত্যু
ইস্পাহানের একটি হাসপাতালে শ্বাসতন্ত্রের রোগের কারণে ৩ শে জুন হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে ২ জুন ২০১৩ সকাল ১০ টা ৫ মিনিটে তাহেরি মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন শ্বাসযন্ত্রের রোগে ভুগছিলেন। [৪] কয়েক হাজার অনুসারী তার জানাজায় অংশ নিয়েছিল, যা "বহুকাল পর ইরানে সবচেয়ে বড় সরকার বিরোধী বিক্ষোভ" হিসাবে প্রকাশিত হয়েছিল। উপস্থিতরা সুপ্রিম লিডার আলী খামেনিকে স্বৈরশাসক বলে আখ্যায়িত করে "রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দিতে হবে" এবং "মৌসাভী ও কররোবিকে অবশ্যই মুক্তি দিতে হবে" এই জাতীয় সরকারবিরোধী শ্লোগান দিয়েছিলেন। [৫][৬] পুত্রের পাশেই তাকে তার নিজ শহর গুলিস্তান শোহাহা কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল।