জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালা
জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালা (ইংরাজী:Jyotiprasad Agarwala;অসমীয়া: জ্যোতিপ্রসাদ আগৰৱালা) ভারতের অসম রাজ্যের বিখ্যাত গীতিকার, নাট্যকার, লেখক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ছিলেন। তিনি অসমীয়া ভাষায় কবিতা, নাটক, প্রবন্ধ, সমালোচনা ও শিশুসাহিত্য রচনা করে অসমীয়া সাহিত্যে যথেষ্ট অবদান রেখেছেন। অসমীয়া সাহিত্যে আবদান থাকার জন্য জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালাকে “রুপকোয়র” উপাধি দেওয়া হয়। ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি প্রথম অসমীয়া চলচ্চিত্র জয়মতী নির্মাণ করেছিলেন।[১] ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ জানুয়ারি তিনি কর্কট রোগে মৃত্যুবরণ করেন। জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালের মৃত্যুদিন ১৭ জানুয়ারি অসমে শিল্পী দিবস হিসেবে পালন করা হয়। [২][৩][৪]।
জন্ম
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/f/f0/Entrance_of_Poki_or_Jyoti_Bharati.jpg/220px-Entrance_of_Poki_or_Jyoti_Bharati.jpg)
১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দের ৩ জুনে উজনী অসমের ডিব্রুগড় জেলার অন্তর্গত তামোলবারী চা বাগিচায় জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালার জন্ম হয়েছিল।[৫] জ্যোতিপ্রসাদ আগরয়ালার পিতার নাম পরমানন্দ আগরওয়ালা ও মাতার নাম কিরণময়ী আগরওয়ালা। চন্দ্রকুমার আগরওয়ালা সমন্ধে কাকা ছিলেন। আগরওয়ালার পুর্বপুরুষ নবরংগরাম ১৮১১ খ্রিষ্টাব্দে রাজস্থানের মারোয়াড় থেকে অসমে এসেছিলেন।
শিক্ষা
অসম ও কলকাতার বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষা লাভ করার পর ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে দ্বিতীয় বিভাগে মেট্রিকুলেশনে উর্ত্তীণ হন। ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে জ্যোতিপ্রসাদ অর্থনীতিতে উচ্চ শিক্ষার জন্য এডিনবার্গে যান কিন্তু ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে শিক্ষা শেষ না করে তিনি অসমে ফিরে আসেন। ফিরে আসার পথে তিনি জার্মানি থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন।[৬]
পরবর্তী জীবন
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/a/a2/Joymati_production.jpg/220px-Joymati_production.jpg)
শিক্ষা ত্যাগ করে অসম আসার পর জ্যোতিপ্রসাদ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগদান করেন। ১৯৩২ সনে তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য ১৫ মাসের জন্য কারাবাসে থাকেন। শিলচর জেলে তিনি টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত থাকা অবস্থায় তিনি কারাবাস পূর্ণ করেন। ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে জ্যোতিপ্রসাদ ভোলাগুরি চর বাগিচায় চিত্রবন স্থাপন করেন ও প্রথম অসমীয়া চলচ্চিত্র জয়মতীর সম্পাদনার কাজ আরম্ভ করেন। ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়ার কাহিনীর উপর ভিত্তি করে অসমীয়া প্রথম চলচ্চিত্র জয়মতী মুক্তি পায়।[৫][৬] জয়মতী চলচ্চিত্র থেকে হওয়া বাণিজ্যিক লোকসানের ধন আদায় করার জন্য তিনি ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দে দ্বিতীয় অসমীয়া চলচ্চিত্র ইন্দ্রমালতী নির্মাণ করেছিলেন। ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে জ্যোতিপ্রসাদ পুনরায় স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে জ্যোতিপ্রসাদ আগরয়ালা দেওয়ানী ভূঞার সঙ্গে বিবাহ করেছিলেন। ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ জানুয়ারি জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালা কর্কট রোগে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর সময় আগরওয়ালার বয়স ছিল ৪৮ বৎসর।
সাহিত্যকর্ম
তথ্যসূত্র
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/4/4c/Wikisource-logo.svg/38px-Wikisource-logo.svg.png)
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/4/4a/Commons-logo.svg/30px-Commons-logo.svg.png)