ঝুঁকি চিহ্ন

ঝুঁকি চিহ্ন বা সতর্কীকরণ প্রতীক হলো বৈদ্যুতিক প্রবাহ, বিষ এবং তেজস্ক্রিয়তা সহ বিপজ্জনক উপাদান, অবস্থান বা বস্তু সম্পর্কে সতর্ক করার জন্য নকশা করা বিশেষ প্রতীক। বিপজ্জনক প্রতীকের ব্যবহার প্রায়ই আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় এবং মান সংস্থা দ্বারা পরিচালিত হয়। বিপদের ধরন এবং হুমকির মাত্রা নির্দিষ্ট করার জন্য বিভিন্ন রঙ, পটভূমি, সীমানা ইত্যাদি তথ্য সহ বিপজ্জনক প্রতীক প্রদর্শিত হতে পারে। সতর্কীকরণ প্রতীক অনেক জায়গায় লিখিত সতর্কীকরণের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়।

খুলি এবং আড়াআড়ি হাড়, বিষ এবং অন্যান্য প্রাণঘাতী বিপদ উৎসগুলির জন্য একটি সাধারণ প্রতীক।

সাধারণ প্রতীকের তালিকা

প্রতীকের ধরণইউনিকোড গ্লিফইউনিকোডচিত্র
সাধারণ সতর্কতাU+26A0
বিষU+2620
আয়নিত তেজস্ক্রিয়তাU+2622
উচ্চ উৎস সম্পন্ন তেজস্ক্রিয়তা
অআয়নিত তেজস্ক্রিয়তা
জৈবিক প্রতীকU+2623
কার্সিনোজেন
উচ্চ ভোল্টেজ⚡︎U+26A1
লেজার প্রতীক
দুর্ঘটনাU+26CC
নিষ্ক্রিয় গাড়িU+26CD
U+26D0

সাধারণ সতর্কীকরণ প্রতীক

রাস্তায় অপ্রত্যাশিত বিপদের ব্যাপারে সতর্ক করতে সাধারণ সতর্কীকরণ প্রতীক এবং বিস্ময়সূচক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। ইউরোপে, এই ধরনের চিহ্ন ব্যবহার করা হয় যদি একটি নির্দিষ্ট ঝুঁকি নির্দেশ করার জন্য আর অন্য কোন নির্দিষ্ট চিহ্ন না থাকে। যখন এটি ট্রাফিক চিহ্ন হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তখন এর সাথে আরেকটি অতিরিক্ত চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।

এই প্রতীকটি ট্রাফিক প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। এটি প্রায়ই ঝুঁকিপূর্ণ সরঞ্জাম এর গাঁয়ে অথবা সতর্কীকরণ নির্দেশনা বইয়ে দেখা যায়।

বিষাক্ততার প্রতীক

চিহ্নইউনিকোড
U+2620 skull and crossbones (এইচটিএমএল: ☠)

স্কাল এন্ড ক্রসবোন প্রতীক, এতে একটি মানুষের মাথার খুলি এবং মাথার পিছনে দুটি হাড় অঙ্কিত আছে। এটি সাধারণত মৃত্যু বিপদ থেকে সতর্কতা প্রদানে, বিশেষ করে বিষাক্ত পদার্থের ক্ষেত্রে সতর্কতা প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

প্রতীকটি জলি রজার (ইউরোপীয় এবং আমেরিকান সমুদ্রগামী জলদস্যুদের ঐতিহ্যবাহী পতাকা) এ অঙ্কিত আছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এটা ধারণা করা হয় যে, জলদস্যুদের সাথে স্কাল অ্যান্ড ক্রসবোন এর প্রতীকের সম্পর্ক থাকায় এটি শিশুদের বিষাক্ত বস্তুর সাথে খেলতে উৎসাহিত করতে পারে।

আয়নিত তেজস্ক্রিয়তার প্রতীক

আন্তর্জাতিক বিকিরণ প্রতীক (যা ট্রেফয়েল প্রতীক নামেও পরিচিত) প্রথম ১৯৪৬ সালে ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলি রেডিয়েশন ল্যাবরেটরিতে ব্যবহৃত হয়। [১] সে সময়, এটি ম্যাজেন্টা বর্ণের ছিল, এবং একটি নীল পটভূমিতে অঙ্কন করা হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত মূল সংস্করণটিতে হলুদ পটভূমির পরিবর্তে ম্যাজেন্টা রঙের পটভূমি ব্যবহার করা হয়েছে, এবং এর ব্যাসার্ধ R ধরা হয়েছে। যেখানে এর অভ্যন্তরীণ ব্যাসার্ধ ১.৫ R এবং বহিঃব্যাসার্ধ ৫ R। প্রতীকটির আন্তর্জাতিক সংস্করণ কালো রঙের, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও ব্যবহৃত হয়। [২]

এই চিহ্নকে সাধারণত তেজস্ক্রিয়তা সতর্কীকরণ চিহ্ন হিসেবে উল্লেখ করা হয়, কিন্তু এটি আসলে আয়নাইজিং বিকিরণের একটি সতর্কীকরণ লক্ষণ। আয়নিত বিকিরণ শুধুমাত্র তেজস্ক্রিয়তার চেয়ে অনেক বৃহত্তর শ্রেণী, যেহেতু অনেক অ-তেজস্ক্রিয় উৎস আয়নাইজিং বিকিরণসম্ভাব্য বিপজ্জনক মাত্রা নিঃসরণ করে। এর মধ্যে রয়েছে এক্স-রে যন্ত্রপাতি, রেডিওথেরাপি রৈখিক এক্সিলারেটর, এবং কণা এক্সিলারেটর। নন-আয়নাইজিং বিকিরণ সম্ভাব্য বিপজ্জনক স্তরেপৌঁছাতে পারে, কিন্তু এই সতর্কীকরণ চিহ্ন টিফয়েল আয়নাইজিং বিকিরণ সতর্কীকরণ প্রতীক থেকে আলাদা।

পরবর্তীতে দুইটি সংস্থা প্রচলিত প্রতীকটির পরিবর্তে একটি নতুন প্রতীক ব্যবহার এর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ তারিখে দুটি গ্রুপ- ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ) এবং ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন (আইএসও)- যৌথভাবে ঐতিহ্যবাহী ট্রেফয়েল প্রতীকের পরিপূরক হিসেবে একটি নতুন আয়ন বিকিরণ সতর্কীকরণ প্রতীক ব্যবহারের ঘোষণা দেয়।


তথ্যসূত্র


বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: প্রধান পাতাবিশেষ:অনুসন্ধানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপকাজী নজরুল ইসলামবাংলাদেশ ডাক বিভাগশেখ মুজিবুর রহমানএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশছয় দফা আন্দোলনক্লিওপেট্রাবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪আবহাওয়ামুহাম্মাদব্লু হোয়েল (খেলা)বাংলা ভাষাইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাভারতভূমি পরিমাপবাংলা ভাষা আন্দোলনমহাত্মা গান্ধীমিয়া খলিফামৌলিক পদার্থের তালিকাবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলপহেলা বৈশাখপদ্মা সেতুলোকসভা কেন্দ্রের তালিকামাইকেল মধুসূদন দত্তসুনীল ছেত্রীবাংলাদেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তালিকাবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহআসসালামু আলাইকুমপশ্চিমবঙ্গবাংলাদেশে পালিত দিবসসমূহশেখ হাসিনাবাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রীজয়নুল আবেদিন