ডমিনিক কর্ক

ইংরেজ ক্রিকেটার

ডমিনিক জেরাল্ড কর্ক (ইংরেজি: Dominic Cork; জন্ম: ৭ আগস্ট, ১৯৭১) স্টাফোর্ডশায়ারের নিউক্যাসল-আন্ডার-লাইম এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংল্যান্ডের সাবেক ও বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।

ডমিনিক কর্ক
২০০৯ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে ডমিনিক কর্ক
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
ডমিনিক জেরাল্ড কর্ক
জন্ম (1971-08-07) ৭ আগস্ট ১৯৭১ (বয়স ৫২)
নিউক্যাসল-আন্ডার-লাইম, স্টাফোর্ডশায়ার, ইংল্যান্ড
ডাকনামকর্কি, হাফ-পিন্ট
উচ্চতা১.৮৮ মিটার (৬ ফুট ২ ইঞ্চি)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফার্স্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৫৭২)
২২ জুন ১৯৯৫ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ টেস্ট৯ সেপ্টেম্বর ২০০২ বনাম ভারত
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১১৮)
২৪ আগস্ট ১৯৯২ বনাম পাকিস্তান
শেষ ওডিআই২২ সেপ্টেম্বর ২০০২ বনাম ভারত
ওডিআই শার্ট নং
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৮৯-১৯৯০স্টাফোর্ডশায়ার
১৯৯০-২০০৩ডার্বিশায়ার (জার্সি নং ১)
২০০৪-২০০৮ল্যাঙ্কাশায়ার (জার্সি নং ১৮)
২০০৯-২০১১হ্যাম্পশায়ার (জার্সি নং ১২)
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতাটেস্টওডিআইএফসিএলএ
ম্যাচ সংখ্যা৩৭৩২৩২১৩১৪
রানের সংখ্যা৮৬৪১৮০১০,১১৪৪,১৮৪
ব্যাটিং গড়১৮.০০১০.০০২৫.০৩২০.৯২
১০০/৫০–/৩–/–৮/৫৪–/১৯
সর্বোচ্চ রান৫৯৩১*২০০*৯৩
বল করেছে৭,৬৭৮১,৭৭২৫৪,৩১৪১৪,৬৭৫
উইকেট১৩১৪১৯৮৯৩৮২
বোলিং গড়২৯.৮১২৭.৪৩২৬.৭৩২৭.৭৫
ইনিংসে ৫ উইকেট৩৬
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং৭/৪৩৩/২৭৯/৪৩৬/২১
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং১৮/–৬/–২৩৭/–১১৩/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ে নিয়ন্ত্রিত সুইং ও সীম প্রয়োগে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচের সারির কার্যকরী ব্যাটসম্যান ছিলেন 'কর্কি' ডাকনামে পরিচিত ডমিনিক কর্ক। কাউন্টি ক্রিকেটে ডার্বিশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

ঘরোয়া ক্রিকেট

১৯৯০ সালে ডার্বিশায়ারের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর ২১ বছর বয়সে ইংল্যান্ড দলে খেলার জন্য মনোনীত হন। ১৯৯২ থেকে ২০০২ সালের মধ্যে ৬৯ খেলায় অংশ নেন। ডার্বিশায়ারের পক্ষে ১৩ বছর খেলার পর বিতর্কিতভাবে ২০০৪ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারে যোগ দেন। ২০০৮ সাল পর্যন্ত খেলার পর হ্যাম্পশায়ারে চলে যান। সেখানে ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত খেলেন। তন্মধ্যে, ২০১০ ও ২০১১ সালে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।[১]

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

২০০৯ সালের ফ্রেন্ডস প্রভিডেন্ট ট্রফি জয়সহ ২০১০ সালের ফ্রেন্ডস প্রভিডেন্ট টি২০ প্রতিযোগিতায় কাউন্টি দলের অধিনায়কত্ব করা স্বত্ত্বেও ২০১১ সাল শেষে তাকে হ্যাম্পশায়ারের অধিনায়কত্ব থেকে বাদ দেয়া হয়। এর অল্প কিছুদিন পরই ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১১ তারিখে স্কাই স্পোর্টসে অবসরের কথা ঘোষণা করেন।

স্টাফোর্ডশায়ারের সদস্য থাকাকালীন আগস্ট, ১৯৮৯ সালে যুব ওডিআই ক্রিকেটে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সদস্য হিসেবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষিক্ত হন। আগস্টের শেষদিকে একই দলের বিপক্ষে যুবদের টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত আরও ছয়টি যুব টেস্টে অংশ নেন তিনি।[২] ১৯৯১ সালে ডার্বিশায়ারের পক্ষে চমকপ্রদ ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ইংল্যান্ড এ দলের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৯২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যান ও সেখানে উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডস এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ দলের বিপক্ষে দুইটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নেন।[৩]

টেস্ট ক্রিকেট

১৯৯২ সালের শেষদিকে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়। ওল্ড ট্রাফোর্ডে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে ইনজামাম-উল-হকের একমাত্র উইকেটটি দখল করেন তিনি।[৪] এরপর অনিয়মিতভাবে ইংল্যান্ডের সদস্য ছিলেন। ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে সর্বমোট দুইটি ওডিআইয়ে যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলার সুযোগ পান।[৫] মে, ১৯৯৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনটি ওডিআইয়ে অংশ নেন ও ২১.৮১ গড়ে ৬ উইকেট পান। তন্মধ্যে, সেরা বোলিং করেন ৩/২৭।[৬] ঐ বছরের শেষে একই দলের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়।[৭] ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে প্রথম বলেই চার রান করেন ও কোর্টনি ওয়ালশের বলে ৩০ রানে আউট হন। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩ রান করে ইয়ান বিশপের বলে প্যাভিলিয়নে ফেরৎ যান। ইয়ান বিশপকে প্রথম ইনিংসে আউট করে প্রথম উইকেট তুলে নেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান পরিসংখ্যান ১২৪/৩ থাকা অবস্থায় কর্ক অবিস্মরণীয় বোলিং স্পেল করেন ও ৭/৪৩ লাভ করেন। এরফলে তিনি অভিষেকে যে-কোন ইংরেজের তুলনায় সেরা বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২২৩ রানে গুটিয়ে দিতে সক্ষমতা দেখান। ঐ সময়ে তিনি ইংল্যান্ডের সেরা অল-রাউন্ডারের মর্যাদা পান ও লর্ডসের অনার্স বোর্ডে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রচারমাধ্যমে তাকে ‘নতুন বোথাম’ হিসেবে পরিচিতি ঘটানো হতে থাকে।

দুই টেস্ট পর ২২তম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে হ্যাট্রিক করার কৃতিত্ব অর্জন করেন। রিচি রিচার্ডসন, জুনিয়র মারেকার্ল হুপার তার শিকারে পরিণত হন। ১৯৫৭ সালে পিটার লোডারের পর প্রথম ইংরেজ হিসেবে এ অর্জন লাভ করেন।[৮] ২৫.৪১ গড়ে ২৬ উইকেট নিয়ে সিরিজ শেষ করেন তিনি। এছাড়াও, ৪র্থ টেস্টে অপরাজিত ৫৬* তুলে প্রথম অর্ধ-শতকের সন্ধান পান।

অর্জনসমূহ

১৯৯৬ সালে দলীয় সঙ্গী অ্যাঙ্গাস ফ্রেজারডারমট রিভের সাথে তিনিও উইজডেনের বর্ষসেরা পাঁচজন ক্রিকেটারের একজনরূপে মনোনীত হন।[৮] এ প্রসঙ্গে উইজডেন মন্তব্য করে যে, সন্দেহাতীতভাবেই তিনি জীবন্ত কিংবদন্তিস্বরূপ।

ব্যক্তিগত জীবন

ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বী মেরি ও জেরাল্ড কর্ক দম্পতির সন্তান তিনি। তার বাবা অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন। পরিবারের তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সর্বকনিষ্ঠ সন্তান। সেন্ট জোসেফ’স কলেজে অধ্যয়ন করেন। এরপর লিম কলেজে পড়াশোনা চালিয়ে যান।

২২ বছর বয়সে ‘জেন’ নাম্নী এক রমণীকে প্রথম বিয়ে করেন।[৯] কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ত থাকায় তাদের মধ্যকার সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়।[১০] এ সংসারে গ্রেগ কর্ক নামীয় এক পুত্র রয়েছে। ২০১৪ সালে গ্রেগের ডার্বিশায়ারে অভিষেক ঘটে ও একাডেমি দলের পক্ষে চারটি টুয়েন্টি২০ খেলায় অংশ নিয়েছে।[১১] এছাড়াও, তার পুত্র একজন অল-রাউন্ডার

কর্ক বর্তমানে ডার্বিতে বসবাস করছেন। সেখানে তিনি তারচেয়েও পাঁচ বছরের বড় ডোনাকে দ্বিতীয় পত্নী হিসেবে গ্রহণ করেন।[১২] স্টোক সিটি দলের আজীবন সমর্থক তিনি। এছাড়াও, রক্ষণশীল রাজনৈতিক দলের সমর্থক।

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

ক্রীড়া অবস্থান
পূর্বসূরী
ডিন জোন্সফিলিপ ডিফ্রিটাস
ডার্বিশায়ার ক্রিকেট অধিনায়ক
১৯৯৮-২০০৩
উত্তরসূরী
লুক সাটন
পূর্বসূরী
দিমিত্রি মাসকারেনহাস

নিক পথাস
হ্যাম্পশায়ার ক্রিকেট অধিনায়ক
২০০৯-২০১০
দিমিত্রি মাসকারেনহাসের সহকারীরূপে
উত্তরসূরী
জেমস অ্যাডামস
পূর্বসূরী
জেমস অ্যাডামস
হ্যাম্পশায়ার ক্রিকেট অধিনায়ক
২০১১
উত্তরসূরী
জেমস অ্যাডামস
🔥 Top keywords: প্রধান পাতাবিশেষ:অনুসন্ধানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপকাজী নজরুল ইসলামবাংলাদেশ ডাক বিভাগশেখ মুজিবুর রহমানএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশছয় দফা আন্দোলনক্লিওপেট্রাবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪আবহাওয়ামুহাম্মাদব্লু হোয়েল (খেলা)বাংলা ভাষাইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাভারতভূমি পরিমাপবাংলা ভাষা আন্দোলনমহাত্মা গান্ধীমিয়া খলিফামৌলিক পদার্থের তালিকাবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলপহেলা বৈশাখপদ্মা সেতুলোকসভা কেন্দ্রের তালিকামাইকেল মধুসূদন দত্তসুনীল ছেত্রীবাংলাদেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তালিকাবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহআসসালামু আলাইকুমপশ্চিমবঙ্গবাংলাদেশে পালিত দিবসসমূহশেখ হাসিনাবাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রীজয়নুল আবেদিন