ডোনাল্ড ওকনর
ডোনাল্ড ডেভিড ডিক্সন রোনাল্ড ওকনর (ইংরেজি: Donald David Dixon Ronald O’Connor; ২৮ আগস্ট ১৯২৫ – ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৩) ছিলেন একজন মার্কিন নৃত্যশিল্পী, গায়ক ও অভিনেতা। তিনি গ্লোরিয়া জিন, পেগি রায়ান ও ফ্রান্সিস দ্য টকিং মিউলের সাথে কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন।
ডোনাল্ড ওকনর | |
---|---|
Donald O'Connor | |
জন্ম | ডোনাল্ড ডেভিড ডিক্সন রোনাল্ড ওকনর ২৮ আগস্ট ১৯২৫ |
মৃত্যু | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৩ উডল্যান্ড হিলস, লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৭৮)
মৃত্যুর কারণ | হৃদরোগ |
সমাধি | ফরেস্ট লন মেমোরিয়াল পার্ক, হলিউড হিলস, ক্যালিফোর্নিয়া |
পেশা | নৃত্যশিল্পী, গায়ক, অভিনেতা |
কর্মজীবন | ১৯৩৭–১৯৯৯ |
দাম্পত্য সঙ্গী | গোয়েন কার্টার (বি. ১৯৪৪; বিচ্ছেদ. ১৯৫৪) গ্লোরিয়া নোবেল (বি. ১৯৫৬; মৃ. ২০০৩) |
সন্তান | ৪ |
তিনি সিঙিন ইন দ্য রেইন (১৯৫২) চলচ্চিত্রে কসমো ব্রাউন চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সর্বাধিক পরিচিত। এই কাজের জন্য তিনি সেরা সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন।
প্রারম্ভিক জীবন
ওকনর ১৯২৫ সালের ২৮শে আগস্ট ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের শিকাগোর সেন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস ইলিনয়ের ড্যানভিল শহরে। তার পিতা জন এডওয়ার্ড চাক ওকনর এবং মাতা এফি আইরিন (প্রদত্ত নাম: ক্রেন)। তারা দুজনেই ভডেভিল অভিনয়শিল্পী ছিলেন।[১][২] তার পিতার পরিবার আয়ারল্যান্ড হতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসে।[৩] ওকনরের যখন দুই বছর বয়স, তখন তিনি ও তার সাত বছর বয়সী বোন আর্লেন কানেটিকাটের হার্টফোর্ডে এক গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। ওকনর বেঁচে গেলেও তার বোন মারা যান। কয়েক সপ্তাহ পরে ম্যাসাচুসেটসের ব্রকটনে মঞ্চে নৃত্যকালীন তার পিতা হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।[৪]
কর্মজীবন
ওকনর ১৯৩৭ সালে ১১ বছর বয়স থেকে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। তার প্রথম চলচ্চিত্র ছিল কলাম্বিয়াস ইট ক্যান্ট লাস্ট ফরেভার (১৯৩৭)। তিনি ১৯৩৯ সালে মিলিয়ন ডলার লেগস চলচ্চিত্রে বেটি গ্রেবলের সাথে এবং বিউ গেস্টে চলচ্চিত্রে গ্যারি কুপারের অভিনীত চরিত্রে কৈশোরের চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি বয় ট্রাবল চলচ্চিত্রের অনুবর্তী পর্ব নাইট ওয়ার্ক (১৯৩৯) ও ডেথ অব আ চ্যাম্পিয়ন (১৯৩৯) চলচ্চিত্রে কাজ করেন।[৪]
ওকনর মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ারের সিঙিন ইন দ্য রেইন (১৯৫২) চলচ্চিত্রে পিয়ানোবাদক কসমো ব্রাউন চরিত্রে অভিনয় করেন। এই কাজের জন্য তিনি সেরা সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন। এই ছবিতে তার "মেক এম লাফ" শব্দগুচ্ছ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ওকনরের ভাষ্যমতে এই ছবির চিত্রায়নকালে তিনি প্রতিদিন চার প্যাকেট সিগারেট পান করতেন।[৫] একই বছর তিনি প্যারামাউন্ট পিকচার্সের সাথে তিনি চলচ্চিত্রের চুক্তিতে আবদ্ধ হন।[৬]
তিনি ইউনিভার্সাল পিকচার্সের ফ্রান্সিস গোজ টু ওয়েস্ট পয়েন্ট (১৯৫২), মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ারের সঙ্গীতধর্মী আই লাভ মেলভিন (১৯৫৩) চলচ্চিত্রে ডেবি রেনল্ডসের বিপরীতে অভিনয় করেন। এছাড়া ১৯৫৩ সালে তিনি ইথেল মারম্যানের সাথে টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্সের কল মি ম্যাডাম (১৯৫৩) ছবিতে অভিনয় করেন।[৭]
ওকনর পুনরায় ফ্রান্সিস চলচ্চিত্র ধারাবাহিকের ফ্রান্সিস ইন দ্য নেভি (১৯৫৫) চলচ্চিত্রে কাজ করেন।[৮] চলচ্চিত্রটির পরিচালক আর্থার লুবিনের ভাষ্যমতে ওকনর "কঠিন হয়ে ওঠেছিল"। "তিনি মদ পান শুরু করেন এবং আমার মনে হয় তার বাড়িতে কোন সমস্যা চলছিল। তিনি প্রায়ই সেটে দেরি করে আসার জন্য আমার কাছে শপথ করতেন।"[৯]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
- ইন্টারনেট ব্রডওয়ে ডেটাবেজে ডোনাল্ড ওকনর (ইংরেজি)
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে ডোনাল্ড ওকনর (ইংরেজি)
- ফাইন্ড এ গ্রেইভে ডোনাল্ড ওকনর (ইংরেজি)