নিজামুদ্দিন শামজাই
নিজামুদ্দিন শামজাই ( ১৯৫২ — ২০০৪ ) ছিলেন একজন তালেবানপন্থী পাকিস্তানি সুন্নি ইসলামী পণ্ডিত এবং জামিয়া উলুমুল ইসলামিয়ার শায়খুল হাদীস। [১][২]
মুফতি নিজামুদ্দিন শামজাই | |
---|---|
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | সুয়াট | ১২ জুলাই ১৯৫২
মৃত্যু | ৩০ মে ২০০৪ জামশেদ টাউন, করাচি | (বয়স ৫১)
সমাধিস্থল | সোহরাব গোথ চিমিত্রি |
ধর্ম | ইসলাম |
সন্তান | ৮ জন |
আখ্যা | সুন্নি |
যেখানের শিক্ষার্থী | জামিয়া দারুল খাইর জামিয়া ফারুকীয়া করাচি সিন্ধ বিশ্ববিদ্যালয় |
মুসলিম নেতা | |
শিক্ষক | সলিমুল্লাহ খান |
তাকে পাকিস্তানের একজন গুরুত্বপূর্ণ দেওবন্দি ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচনা করা হত। তিনি তালেবান এবং আল-কায়েদা উভয় দলের খুব নিকটবর্তী ছিলেন এবং মোল্লা ওমর তার পরিচিত ছিল। এছাড়াও তিনি ওসামা বিন লাদেনের জ্যেষ্ঠ পুত্রের বিবাহ অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন। [৩]
জীবনী
শামজাই তার নিজ শহর সোয়াট জেলার নিজ শহর থেকে পেয়েছিলেন। ১৯৬০ এর দশকে তিনি জামিয়া দারুল খায়েরে পড়াশোনার জন্য করাচিতে চলে যান এবং তারপরে তিনি জামেয়া ফারুকিয়া করাচিতে ভর্তি হন। নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে সিন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে “ইমাম বুখারীর শিক্ষক” শিরোনামের উপর তিনি পিএইচডি করেছেন।। [১] তার শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছে সলিমুল্লাহ খান । [৪]
শামজাই করাচির জামিয়া ফারুকিয়ায় প্রায় ২০ বছর শিক্ষকতা করেন এবং তারপর জামিয়া উলূম-উল-ইসলামিয়ায় যোগ দেন যেখানে তিনি ১৯৯৭ সালে শায়খুল হাদিস হিসেবে দায়িত্ব পান। [৫]
শামজাই বিন লাদেন এবং মোল্লা উমরের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখেছিলেন এবং ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে বিন লাদেনকে হস্তান্তর সম্পর্কিত আলোচনার জন্য আফগানিস্তানে অনুষ্ঠিত আলেম প্রতিনিধির বৈঠকে তিনি সদস্য ছিলেন। [৬] তিনি মোল্লা উমরের আধ্যাত্মিক পরামর্শদাতা ছিলেন এবং তালেবানের প্রতি ইসলামপন্থীদের সমর্থন প্রদানে বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ করেছিলেন। [৭] শামজাই জামিয়া উলূম-উল-ইসলামিয়ার প্রধান মুফতি ছিলেন এবং জিহাদ সম্পর্কিত বই লিখেছিলেন এবং তালেবানের পক্ষে ফতোয়া জারি করেছিলেন। [৮]
শামজাইকে ২০০৪ সালের ৩১ শে মার্চ করাচিতে গুলি করে হত্যা করা হয়।। আব্দুর রযাক ইস্কান্দারের ইমামমতিতে তার জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়, খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আকরাম খান দুরানী এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের (ফ) সভাপতি ফজল-উর-রেহমান উপস্থিত ছিলেন। [২] দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, শামজাইয়ের ঘাতককে করাচি পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। [৯]
দৃষ্টিভঙ্গি
শামজাই 9/11 হামলার নিন্দা করেছিলেন কারণ তিনি বিশ্বাস করেন যে এই ধরনের আক্রমণ নিরীহ মানুষের প্রাণ নেয়। [১০] তিনি তিনি ৯/১১ এর হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরুর ঘোষণা দিতে মোল্লা ওমরকে উদ্বুদ্ধ করেন, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে আক্রমণ করলে তিনি আত্মরক্ষামূলক জিহাদের অনুমতি দিয়ে ফতোয়া জারি করেন। [১১][১২]
বই
তিনি একটি দৈনিকে সাপ্তাহিক ধর্মীয় কলাম লেখার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ইসলামিক জার্নালে লেখালেখি করতেন। তিনি জহুর-ই- ইমাম মেহেদী এবং সহিহ বুখারী ও জামি-আত-তিরমিযীর ব্যাখ্যাগ্রন্থ সহ অনেকগুলি বই লিখেছিলেন। [১৩]