নিসরিন বারওয়ারী

ইরাকী রাজনীতিবিদ

নিসরিন বারওয়ারী (জন্ম ১৯৬৭) হচ্ছেন একজন কুর্দি যিনি কেডিপির রাজনীতিবিদ, ২০০৩ সালে মার্কিনিরা ইরাকে দখল করার পর তিনি পৌরসভা ও গণপূর্ত বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

নিসরিন বারওয়ারী
জন্ম১৯৬৭
বাগদাদ
জাতীয়তাইরাকি, কুর্দিশ
পেশারাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা
পরিচিতির কারণইরাকি পৌরসভা ও গণপূর্ত মন্ত্রী

প্রারম্ভের জীবন

বারওয়ারী বাগদাদের একটি কুর্দি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং কুর্দি আন্দোলনের সাথে তার ভাইয়ের জড়িত থাকার কারণে চৌদ্দ বছর বয়সে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। ১৯৯১ সালে তিনি বাগদাদ বিশ্ববিদ্যালয়-এর স্থাপত্যশিল্পে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধের পর, বারওয়ারি একজন বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি হিসেবে তুরস্কে পালিয়ে যান।[১]

তিনি ১৯৯১ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ইরাকি কুর্দিস্তানে জাতিসংঘের স্থানীয় কার্যালয়ে কাজ করেন। ১৯৯৯ সালে হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলে জন প্রশাসন বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রী লাভের পর তিনি ২০০৩ সাল পর্যন্ত কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকার পুনর্গঠন ও উন্নয়ন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[২]

রাজনৈতিক কার্যক্রম

২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরে বারওয়ারিকে ইরাক পৌরসভা ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নিয়োগ করা হয়, ইরাকি গভর্নিং কাউন্সিল এর ২৫ জন মন্ত্রীর মধ্যে তিনিই ছিলেন একমাত্র মহিলা।[৩] ২০০৪ সালের জুন মাসে তিনি ইরাকি পরিবর্তনকালীন সরকার এর মন্ত্রনালয়ে পুনরায় নিয়োগ পান। জানুয়ারী ২০০৫-এ তিনি ইরাক জাতীয় পরিষদে নির্বাচিত হন, কিন্তু মন্ত্রী হিসাবে তার সদস্যপদ অব্যাহত রাখার জন্য পদত্যাগ করেন।

বারওয়ারী ইরাকে নারীর অধিকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জানুয়ারী ২০০৪-এ, তিনি ইরাকি গভর্নিং কাউন্সিলের রেজোলিউশন ১৩৭ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে যোগ দেন, যা কিনা ধর্মীয় মতবাদের ভিত্তিতে ইরাকের ব্যক্তিগত স্থিতি আইন তৈরি করে নারীর অধিকারকে হ্রাস করে। বাগদাদে মন্ত্রী হিসেবে তার সময়কালে তিনি বেশ কয়েকটি গুপ্তহত্যা চেষ্টার শিকার হন।

ব্যক্তিগত জীবন এবং একাডেমী

২০০৪ সালে প্রাক্তন ইরাকি প্রেসিডেন্ট গাজী ইয়ারের সাথে তার বিয়ের কারণে বারওয়ারী বিতর্কের বিষয় ছিলেন, যার কিনা ইতিমধ্যেই অন্য দুই জন স্ত্রী ছিল।[৪]

২০০৬ সালে, বারওয়ারি হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলে পড়াশোনা করার জন্য ইরাকের রাজনীতি থেকে এক বছর বিরতি নেন।[১] ডার্টমুন্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্পটিয়াল প্ল্যানিংয়ে পিএইচডিও রয়েছে তার।[৫]

বারওয়ারি ডুহোক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক।[৫] তিনি ডুহোক গভর্নোরেটের একটি পরিকল্পনা পরিচালন সমিতির সদস্য এবং এফডব্লিউ-এরও সদস্য, একটি এনজিও প্রতিনিধি যেটি কেআরজি থেকে বিচ্ছিন্ন ইরাকি এবং সিরিয়ার উদ্বাস্তুদের মানবিক সাহায্যের উপর মনোযোগ নিবেশ করে।[৬] বারওয়ারি এলইএসের জন্য ইরাকের রাজনৈতিক অর্থনীতির উপর লিখেছেন এবং গবেষণাও করেছেন।[৭][৮]

বারওয়ারির ডুহোক অঞ্চলে উৎপাদিত আপেল থেকে তৈরি একটি ভোজ্য পণ্যের কোম্পানি রয়েছে।[৯]

আরও তথ্য

Nisrin Barwari interview with Inclusive Security (2010).

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: প্রধান পাতাবিশেষ:অনুসন্ধানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপকাজী নজরুল ইসলামবাংলাদেশ ডাক বিভাগশেখ মুজিবুর রহমানএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশছয় দফা আন্দোলনক্লিওপেট্রাবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪আবহাওয়ামুহাম্মাদব্লু হোয়েল (খেলা)বাংলা ভাষাইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাভারতভূমি পরিমাপবাংলা ভাষা আন্দোলনমহাত্মা গান্ধীমিয়া খলিফামৌলিক পদার্থের তালিকাবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলপহেলা বৈশাখপদ্মা সেতুলোকসভা কেন্দ্রের তালিকামাইকেল মধুসূদন দত্তসুনীল ছেত্রীবাংলাদেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তালিকাবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহআসসালামু আলাইকুমপশ্চিমবঙ্গবাংলাদেশে পালিত দিবসসমূহশেখ হাসিনাবাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রীজয়নুল আবেদিন