ফিলিস্তিনে নারী
ফিলিস্তিনি নারীরা অন্যান্য আরব রাষ্ট্রগুলোর তুলনায় অনেক স্বাধীন, তারা রাস্তা ঘাটে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করা সহ অনেক চাকরি করারও সুযোগ পায়, এছাড়া তারা অনেক ক্রীড়াকর্মেও অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়।[১] ফিলিস্তিনের প্রতিবেশী দেশ হচ্ছে ইসরায়েল যেটি একটি ইহুদী সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র এবং এই রাষ্ট্রের সঙ্গে ফিলিস্তিনের বৈরিতা রয়েছে সেই ১৯৪৮ সালে থেকে, ইসরায়েল ফিলিস্তিনে সামরিক হামলা চালায় আর ফিলিস্তিনের অনেক নারী তাতে মার খায়। ফিলিস্তিনের জাতীয় নেতা ইয়াসির আরাফাত তার দেশের নারীদের জন্য শুরু থেকেই শিক্ষামূলক এবং প্রগতিবাদী ব্যবস্থা করে আসছিলেন এবং ফিলিস্তিনি নারীরা যেন ইহুদী নারীদের মতোই শিক্ষাদীক্ষাসহ জীবনের সব দিক দিয়ে এগিয়ে যায় সে ব্যবস্থা তিনি ১৯৭০-এর দশক থেকে ১৯৯০-এর দশক পর্যন্ত বিভিন্ন সংস্কারমূলক ক্রিয়া সম্পন্ন করেন।[২] ফিলিস্তিনের সমাজের নিজস্ব সংস্কৃতি আছে, আর তা হলো ফিলিস্তিনি-আরবীয় সংস্কৃতি, এই সংস্কৃতি অনুযায়ী ফিলিস্তিনি নারী অনেক আগে থেকেই পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কৃষি কাজ করে, স্বামী মারা গেলে সংসারের হাল ধরে কৃষি কাজ করেই, তবে আধুনিক যুগে শিক্ষিত ফিলিস্তিনি নারীরা অন্যভাবে সংসারের হাল ধরতে শিখে গেছে, তারা আয়ত্ত করেছে আরো নতুন নতুন পন্থা।[৩] ফিলিস্তিনের সমাজে নারীদের বোরকা পরা বাধ্যতামূলক নয় যদিও সব নারীই কর্মক্ষেত্রে প্যান্ট-শার্ট পরে মাথায় হিজাব পরে থাকেন মুসলিম পরিচয়ের জন্য, উদাহরণস্বরূপ ফিলিস্তিন জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের প্রায় সব সদস্য এমনটাই করেন।
ফিলিস্তিনি নারীরা বিয়ে করতে গেলে অবশ্যই পরিবারের অনুমতি নিয়ে বিয়ে করেন তবে প্রেম করে বিয়ে করার রীতি রয়েছে যেকোন তরুণীর কোন তরুণকে পছন্দ হলেও সেটা ঐ তরুণীর পরিবারকে অবশ্যই জানাতে হবে।[৪] ফিলিস্তিনি সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য অনুযায়ী সব নারীকেই রান্না করা শিখতে হয়।[৫]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/4/4a/Commons-logo.svg/30px-Commons-logo.svg.png)