ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা জাদুঘর
ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা জাদুঘর (কাতালান: FC Barcelona Museu; এছাড়াও এফসি বার্সেলোনা জাদুঘর নামে পরিচিত) ইয়োসেপ লুইস নুনেজের প্রেসিডেন্সির অধীনে ১৯৮৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর তারিখে উদ্বোধন করা হয়। ২০০০ সালে জোয়ান গাসপার্ট প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ে জাদুঘরের নাম পরিবর্তন করে দেওয়া হয় প্রেসিডেন্ট নুনেজ জাদুঘর। ২০১০ সালের ১৫ জুন, লম্বা পুনর্গঠনের পর জাদুঘরটিকে পুনরায় চালু করা হয়।[২]
স্থাপিত | ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৫৭ |
---|---|
অবস্থান | ক্যাম্প ন্যু, বার্সেলোনা |
ধরন | ক্রীড়া জাদুঘর |
পরিদর্শক | ১৩,০৩,৭৩৮ [১] (২০১০) |
পরিচালক | জর্দি পেনাস |
নিকটতম গণপরিবহন সুবিধা | প্যালাউ রেইয়াল বার্সেলোনা মেট্রো লাইন ৩ কলব্ল্যাঙ্ক বার্সেলোনা মেট্রো লাইন ৫ |
ওয়েবসাইট | অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (ইংরেজি) |
এই পুনর্গঠনের সময় জাদুঘরকে একটি ত্রিমাত্রিক সিনেমা, অডিও ভিজ্যুয়াল স্পর্শ পর্দা এবং বার্সেলোনার ইতিহাসের তথ্য সহ তিনটি আলাদা বিভাগে বিভক্ত করা হয়। প্রথম বিভাগে রয়েছে ছবি, ডকুমেন্ট এবং শিরোপার সংগ্রহশালা, যা একটি মিথষ্ক্রিয় কাচের দেওয়ালের ভেতর ক্লাবের ইতিহাস বর্ণনা করে। এটি দর্শনার্থীদের পর্দা স্পর্শ করে তথ্য দেওয়াল দেখার সুযোগ করে দেয়। কাচের দেওয়ালটি লেজার প্রযুক্তিতে সজ্জিত, যা ব্যবহারকারীদের প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে স্থির চিত্র, ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করায় এবং সঙ্গীত পরিবেশন করে। দ্বিতীয় বিভাগটি একটি ব্যক্তিগত চিত্রকর্মের সংগ্রহশালা, যেখানে স্যালভাদোর দালি, জোয়ান মিরো এবং তাপিয়েসের মত স্থানীয় চিত্রশিল্পীদের চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হয়। তৃতীয় বিভাগটি একটি ফুটবলআর্টের সংগ্রহশালা। ক্লাবটির ইতিহাসের বিভিন্ন ধরনের স্মারক সেখানে প্রদর্শিত হয়। এছাড়া সেখানে রয়েছে একটি শিরোপা-ঘর, যেখানে বার্সেলোনা কর্তৃক অর্জিত প্রত্যেকটি শিরোপা এবং রেপ্লিকা সজ্জিত রয়েছে।[২][৩]
ফুটবলআর্টের সংগ্রহশালায় রয়েছে রোনাল্দ কোয়ম্যানের জুতা জোড়া, যা পরে তিনি ১৯৯২ সালের ইউরোপীয়ান কাপের ফাইনালে বার্সেলোনার হয়ে জয়সূচক গোল করেছিলেন। এটি ছিল বার্সেলোনার প্রথম ইউরোপীয়ান কাপ শিরোপা।[৪]
এই জাদুঘরটির আয়তন ৩৫,০০ বর্গমিটার এবং এতে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১.২ মিলিয়ন দর্শনার্থী ভ্রমণ করে। দর্শনার্থীর দিক থেকে বার্সেলোনার জাদুঘরগুলোর মধ্যে এটি দ্বিতীয়।[৩][৫][৬]
গ্যাল্যারি
- ১৯৫৮ সালের ইন্টার-সিটিজ ফেয়ার্স কাপে ব্যবহৃত বল।
- রোনাল্দ কোয়ম্যানের জুতা, যা তিনি ১৯৯২ ইউরোপীয়ান কাপের ফাইনালে পরিধান করেছিলেন।
- দিয়েগো মারাদোনার শার্ট।