বাংলাদেশ মেরিন একাডেমী
বাংলাদেশ মেরিন একাডেমী বাংলাদেশের একটি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যেখানে বাণিজ্যিক জাহাজের ক্যাডেট, ডেক অফিসার এবং মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এটি চট্টগ্রাম শহরের ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে জলদিয়া এলাকায় কর্ণফুলী নদী এবং বঙ্গোপসাগরের মোহনায় অবস্থিত।
ধরন | সরকারি |
---|---|
স্থাপিত | ১৯৬২ |
অধিনায়ক | ড. সাজ্জাদ হোসেন |
অবস্থান | চট্টগ্রাম , বাংলাদেশ ২২°১৪′৩৩″ উত্তর ৯১°৫০′২১″ পূর্ব / ২২.২৪২৬২৯° উত্তর ৯১.৮৩৯১২° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | ১০০ একর পল্লী এলাকা |
সংক্ষিপ্ত নাম | বিএমএ |
অধিভুক্তি | বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ) |
ওয়েবসাইট | বাংলাদেশ মেরিন একাডেমী |
বর্তমানে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির অধিভুক্ত হয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেশি-বিদেশি নাবিকরা উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে পারবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ ফেব্রুয়ারি মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন।[১]
ইতিহাস
মেরিন একাডেমী প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬২ সালে। তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানে এটিই ছিল একমাত্র নৌ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এর পরিচালনার দায়িত্বে ছিল পাকিস্তান নৌ-বাহিনী স্বাধীনতা লাভের পর মেরিন একাডেমীর পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করে বাংলাদেশ সরকার। বর্তমানে এটি নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত। প্রারম্ভিকভাবে প্রতিবছর ৪০ জন ক্যাডেট নিয়ে এর অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছিল (২০ জন নৌ-বিদ্যা এবং ২০ জন নৌ-প্রকৌশল বিদ্যায়) বর্তমানে প্রতিবছর 180(ছেলে-160 জন ,মেয়ে-20 জন) ক্যাডেট একাডেমীতে ভর্তি হয়। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এ পর্যন্ত একাডেমী হতে প্রায় চার হাজার নৌবিদ্যা এবং নৌ-প্রকৌশল শাখার ক্যাডেট তাদের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে বাণিজ্যিক জাহাজে মাস্টার মেরিনার এবং নৌ-প্রকৌশল পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। [২]
নিবন্ধন
মেরিন একাডেমী নিম্নের বিশ্ববিদ্যালয় গুলির অধীনে নিবন্ধিত:
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়
- ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি, সুইডেন[৩]
প্রশিক্ষণ
বাংলাদেশ মেরিন একাডেমী বাণিজ্যিক জাহাজের জন্য ক্যাডেট কর্মকর্তা, নাবিক, ও অন্যান্য কর্মীদের বেশ কিছু বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে। এখানে হাজারও নাবিকদের একসাথে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে।