বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম
বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (সাবেক বাকলিয়া সরকারি ল্যাবরেটরী উচ্চ বিদ্যালয়) চট্টগ্রাম শহরের পশ্চিম-বাকলিয়ায় অবস্থিত একটি সরকারি বিদ্যালয়। বাকলিয়া থানার অন্তর্গত এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দে। পূর্বে বিদ্যালয়টিতে কেবল ছাত্রদের অধ্যায়নের সুযোগ ছিলো। ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে দ্বৈত শাখা চালু করার মাধ্যমে প্রভাতী শাখায় ছাত্রীদের অধ্যায়নের সুযোগ দেওয়া হয়।
বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় | |
---|---|
![]() | |
অবস্থান | |
![]() | |
বাকলিয়া, চট্টগ্রাম | |
স্থানাঙ্ক | ২২°২১′২১″ উত্তর ৯১°৫০′৪১″ পূর্ব / ২২.৩৫৫৯° উত্তর ৯১.৮৪৪৮° পূর্ব |
তথ্য | |
ধরন | সরকারি |
নীতিবাক্য | প্রভু, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দাও |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৬৭ |
বিদ্যালয় বোর্ড | চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড |
ইআইআইএন | ১০৪২০৯ |
শিক্ষকমণ্ডলী | ৩২ |
শ্রেণী | ৫ম-১০ম |
শিক্ষার্থী সংখ্যা | ১৫৮০ [১][২] |
ওয়েবসাইট | bghsctg |
চট্টগ্রাম বোর্ডের প্রথমসারির শীর্ষস্থানীয় বিদ্যালয় সমূহের মধ্যে একটি। ২০১৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী চট্টগ্রাম বোর্ডের শীর্ষ ২০টি স্কুলের মধ্যে এই স্কুল ১৯তম হয়।[৩] এছাড়াও ২০১৭ সালের জিপিএ৫ এর ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বোর্ডের সেরা দশটি স্কুলের মধ্যে বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ৯ম তম স্থান দখল করে। এবং ২০২১ সালের অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় ফলাফলের ভিত্তিতে বোর্ডের মধ্যে ৭ম স্থান দখল করে নেই। [৪][৫][৬][৭]
ইতিহাস
স্বাধীনতাপূর্ব সময়ে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার চট্টগ্রামের চকবাজারস্থ বাকলিয়া এলাকায় এই বিদ্যালয়টি স্থাপন করে। পরবর্তিতে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিদ্যালয়টি বাংলাদেশ সরকারের তত্ত্বাবধানে চলে আসে।[৮]
বিদ্যালয় চত্বর বর্ণনা
মূল ভবন, প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় ভবন, শিক্ষক ও কর্মীদের আবাসিক ভবন এবং প্রধান শিক্ষকের বাসভবন মিলে চারটি ভবন এই বিদ্যালয়ে রয়েছে। বিদ্যালয়ের মূল ভবনটি ইংরেজি 'T' আকৃতি বিশিষ্ট। এই মূল ভবনটি দ্বি-তল। এর অভ্যন্তরে সহকারী-প্রধান শিক্ষকের অফিস, শিক্ষকদের সমাবেশ কক্ষ, একাউন্ট ও কর্মচারীদের অফিস, অডিটোরিয়াম, স্কাউট ও বিএনসিসি কক্ষ, পাঠাগার, সায়েন্স ল্যাব ও পর্যাপ্ত পরিমাণ শ্রেণীকক্ষ রয়েছে। মূল ভবনের পাশে অবস্থিত প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় ভবনটি ত্রি-তল বিশিষ্ট যেখানে নিচ-তলায় প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় দপ্তর এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় শ্রেণীকক্ষ বিদ্যমান। শিক্ষক ও কর্মীদের আবাসিক ভবনটি ত্রি-তল বিশিষ্ট আর প্রধান শিক্ষকের বাসভবনটি বর্তমানে পরিত্যক্ত।
পাঠ কার্যক্রম
এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার মধ্যম বাংলা। সিলেবাস শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত। মধ্য সাময়িক ও বার্ষিক নামে বছরে দুইটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। প্রত্যেক শ্রেণীতে সৃজনশীল পদ্ধতিতেই পরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। নবম ও দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পাশাপাশি ব্যবহারিক পরীক্ষাতেও অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক।
ভর্তি
ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে এই বিদ্যালয়ে ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণীতে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে থাকে। ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকার মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সাধারণত জানুয়ারীতেই ভর্তি করানো হয়। ৫ম শ্রেণীতে ২০০ জন, ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ১০০ জন, ৭ম শ্রেণীতে ৪৫ জন, ৮ম শ্রেণীতে ৪০ জন এবং ৯ম শ্রেণীতে ৯৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এছাড়া এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
সহ শিক্ষা কার্যক্রম
আরো দেখুন
- সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, চট্টগ্রাম
- অপর্ণাচরণ সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল
- ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়
- গভ. মুসলিম হাই স্কুল, চট্টগ্রাম
- চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
- হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
- চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- সেন্ট প্লাসিড্স হাই স্কুল
- বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ
- নাসিরাবাদ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়
- ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, চট্টগ্রাম