বৈজয়ন্তীমালা

ভারতীয় অভিনেত্রী

বৈজয়ন্তীমালা বালি (তামিল: வைஜெயந்திமாலா பாலி; জন্ম: ১৩ আগস্ট, ১৯৩৬) তৎকালীন মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সী ত্রিপলিক্যান এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট ভারতীয় চলচ্চিত্রাভিনেত্রী, ভরতনাট্যম নৃত্যশিল্পী, কার্ণাটিক গায়িকা, নৃত্য নির্দেশিকা ও বিশিষ্ট সংসদ সদস্য।[১] ১৯৪৯ সালে তামিল ভাষায় নির্মিত ভাজকাই চলচ্চিত্রে অংশগ্রহণের মাধ্যমে অভিষেক ঘটে তার। এরপর ১৯৫০ সালে তেলুগু চলচ্চিত্র জিভিথামে অভিনয় করেন বৈজয়ন্তীমালা। পরবর্তীকালে দক্ষিণ ভারতের অন্যতম প্রতিভাবান অভিনেত্রীর মর্যাদা লাভসহ বলিউডের স্বর্ণযুগে প্রবেশ করেন তিনি।

বৈজয়ন্তীমালা বালি
২০১২ সালে ইসকন মন্দিরে এশা দেওলের বিয়েতে বৈজয়ন্তীমালা
জন্ম
বৈজয়ন্তীমালা রমন

(1933-08-13) ১৩ আগস্ট ১৯৩৩ (বয়স ৯০)[১]
ত্রিপলিক্যান, মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সী, ব্রিটিশ ভারত
(বর্তমানে তামিলনাড়ু, ভারত)
অন্যান্য নামবৈজয়ন্তীমালা, বৈজয়ন্তী মালা, বৈজন্তীমালা, বৈজয়ন্তীমালা বালি
পেশাঅভিনেত্রী, ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী, কার্ণাটিক গায়িকা, গল্ফার, রাজনীতিবিদ
কর্মজীবন১৯৪৯-১৯৬৮
দাম্পত্য সঙ্গীচমনলাল বালি (বি. ১৯৬৮১৯৮৬)(মৃত্যু)
সন্তানসুচিন্দ্র বালি (জন্ম: ১৯৭৬)
পিতা-মাতাএম. ডি. রামস্বামী (বাবা) (প্রয়াত)
বসুন্ধরা দেবী (মা) (প্রয়াত)
পুরস্কারপদ্মশ্রী, কালাইমামানি,
সঙ্গীত নাটক একাডেমি পুরস্কার

(আরও দেখুন)
স্বাক্ষর
"Vyjayanthimala Bali"

প্রায় দুই দশকব্যাপী বলিউড তারকাদের মধ্যে অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ছিলেন।[২][৩][৪] প্রথম দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় তারকায় পরিণত হন ও অন্যান্যরা তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বলিউডের দিকে ধাবিত হয়।[৫][৬] বৈজয়ন্তীমালা নৃত্যকলায়ও পারঙ্গমতা দেখান এবং বলিউডে অর্ধ-ধ্রুপদী নৃত্যের অন্তর্ভূক্তিতে অন্যতম ভূমিকা রাখেন।[৭][৮] বেশকিছুসংখ্যক চলচ্চিত্রে নৃত্য সহযোগে অভিনয়ের কারণে তিনি 'টুইঙ্কল টোজ' পদবী লাভ করেন।[৯][১০] এছাড়াও তাকে হিন্দি সিনেমার অন্যতম প্রথম প্রমিলা চিত্রতারকাদের একজনরূপে গণ্য করা হয়ে থাকে। ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকে তার বর্ণাঢ্যময় চলচ্চিত্র জীবনের কারণে তাকে 'নুমেরো ইউনো অভিনেত্রী' হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।[৪][১১][১২]বৈজয়ন্তীমালা তামিল, তেলুগু, হিন্দি কন্নড়, মোট চারটি ভাষাতে কাজ করেছেন। তাঁর প্রথম ছবি তামিলে ভাজকাই।

প্রারম্ভিক জীবন

শৈশবে বৈজয়ন্তীমালা

পার্থসারথি মন্দিরের কাছে ত্রিপলিকানে এক তামিল পরিবারে জন্ম তার। তার বাবা এম. ডি. রমন ও মা বসুন্ধরা দেবী।[১৩] তার মা ১৯৪০-এর দশকে তামিল চলচ্চিত্রে শীর্ষস্থানীয়া অভিনেত্রী ছিলেন। বসুন্ধরা অভিনীত মাঙ্গামা সাবাথাম ১৯৪৩ সালে প্রথম তামিল চলচ্চিত্ররূপে বক্স অফিস হিট করে।[১৩] শৈশবে তিনি মাকে নাম ধরে ডাকতেন, যখন তার মায়ের বয়স সবেমাত্র ষোলো বছর ছিল।[১৪]

একইভাবে বাবাকে তিনি আন্না নামে ডাকতেন, যার অর্থ বড় ভাই। হিন্দু যৌথ পরিবারে সর্ববয়োঃজ্যেষ্ঠকে 'আন্না' নামে ডাকা হতো।[১৪] মূলতঃ তিনি মাতুলালয়ে দিদিমা যাদুগিরি দেবীর কাছে ও এম ডি রমনের কাছে বড় হন। 'পাপাকুত্তি' নামে পরিচিত ছিলেন তিনি, যার অর্থ ছোট্ট শিশু।[১৫]

পাঁচ বছর বয়সে ধ্রুপদী ভারতীয় নৃত্য পরিবেশনের জন্য মনোনীত হন। ১৯৪০ সালে ভ্যাটিকান সিটিতে দ্বাদশ পোপ পিয়াসের সৌজন্যে অনুষ্ঠিত ঐ নৃত্যে তার মা দর্শক হিসেবে উপবিষ্ট ছিলেন।[১৬][১৭] চেন্নাইয়ের চার্চ পার্কের সাক্রেড হার্ট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন।[১৫]

অভিনয় জীবন

১৯৫৪ সালে নাগিন চলচ্চিত্রে সফলতা লাভের পর বৈজয়ন্তীমালা নিজেকে বলিউডের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রী হিসেবে গড়ে তোলেন। পাশাপাশি তামিল ও তেলুগু চলচ্চিত্রেও সফলতা পান।[৭][১৮] বাণিজ্যিকধর্মী চলচ্চিত্রে সফলতা লাভের পর দেবদাস চলচ্চিত্রে চন্দ্রমুখীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। তার প্রথম নাটকীয় চরিত্রের জন্য ৪র্থ ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের প্রথম সেরা সহ-অভিনেত্রী হিসেবে মনোনীত হন। কিন্তু তিনি ঐ পুরস্কার নিতে অনীহা প্রকাশ করেন। তার মতে তিনি কোন সহকারীর ভূমিকায় অভিনয় করেননি। ফলশ্রুতিতে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। এ ঘটনার পর নিউ দিল্লি, নয়া দৌড় ও আশা'র ন্যায় একগুচ্ছ ব্লকব্লাস্টার চলচ্চিত্রে অংশগ্রহণ করেন। তন্মধ্যে ১৯৫৮ সালে খ্যাতির তুঙ্গে পৌঁছেন। সাধনা ও মধুমতী এ দুইটি ছবি ব্যাপকভাবে আলোচনায় স্থান পায় ও বাণিজ্যিকভাবে সফলতা লাভ করে। এ দুটি চলচ্চিত্রই ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেত্রী পুরস্কার বিভাগের জন্য মনোনীত হয়েছিল। তন্মধ্যে প্রথমটি পুরস্কার পায়।

এ সময়েই তিনি তামিল চলচ্চিত্রে ফিরে আসেন। ভঞ্জিকোত্তাই বলিবান, ইরুম্বু থিরাই, ভগবৎ থিরুদান ও থেন নীলাভুর ন্যায় বাণিজ্যিকধর্মী চলচ্চিত্রে সাফল্য লাভ করেন। ১৯৬১ সালে দিলীপ কুমারের গঙ্গা যমুনায় ভোজপুরী সংলাপ সমালোচকদের কাছে অদ্যাবধি সেরা হিসেবে মনে করে থাকেন। এ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি তার দ্বিতীয় ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৬২ সালের শুরু থেকে অভিনীত চলচ্চিত্রসমূহ গড়পড়তা অথবা দূর্বলমানের ছিল। কিন্তু ১৯৬৪ সালে সঙ্গম চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি পুনরায় স্বর্ণশিখরে পৌঁছেন। এক আধুনিক ভারতীয় মেয়ে হিসেবে স্বল্পবসন ও সুইমস্যুট পরিধান করে পর্দায় নিজেকে উপস্থাপন করেন।[১৯] সঙ্গমে রাধা চরিত্রে অনবদ্য অভিনয়ের কারণে ১২শ ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে সেরা অভিনেত্রীর মর্যাদা লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি আম্রপালির বৈশালীর নাগ্রাবাদুর জীবনীকে ঘিরে রচিত ঐতিহাসিক নাটক আম্রপালির চলচ্চিত্রায়নে অভিনয় করেন। বৈশ্বিকভাবে ব্যাপক সহায়তা পেলেও বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়। এরফলে বৈজয়ন্তীমালা ব্যাপকভাবে নিরাশ হন ও চলচ্চিত্রের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। এতে তিনি চলচ্চিত্র জীবনের ইতি ঘটানোর সিদ্ধান্ত নেন।[২০] চলচ্চিত্র জীবনের শেষদিকে তার প্রায় সবগুলো চলচ্চিত্রেই বাণিজ্যিকভাবে সফলতা লাভ করেতে দেখা যায়। সুরজ, জুয়েল থিফ ও প্রিন্সের পাশাপাশি হাটে বাজারে ও সংঘর্ষ ছবিও কিছুটা আলোচিত হয়। এ সকল চলচ্চিত্রের অধিকাংশই চলচ্চিত্র জীবন ত্যাগ করার পর মুক্তি পেয়েছিল।

রাজনৈতিক জীবন

বৈজয়ন্তীমালার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৮৪ সালে। ঐ বছর তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলের মনোনীত প্রার্থীরূপে তামিলনাড়ু সাধারণ নির্বাচনে দক্ষিণ চেন্নাই সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তার প্রতিপক্ষ ছিলেন জনতা পার্টির নেতা ও সংসদ সদস্য ইরা সেজিয়ান।[২১] নির্বাচনী প্রচারণায় সেজিয়ান প্রধান বক্তব্য রাখতেন, 'আমাকে লোকসভায় নিয়ে যাও, তাকে আরআর সভায় পাঠাও'।[২১] তা সত্ত্বেও প্রত্যক্ষ ভোটে বৈজয়ন্তীমালা প্রায় ৪৮,০০০ ভোটের ব্যবধানে তাকে পরাজিত করেন। তিনি সর্বমোট ৩,১৩,৮৪৮ ভোট পান যা মোট ভোটের ৫১.৯২% ছিল।[২১] ফলশ্রুতিতে লোকসভায় প্রথমবারের মতো অভিষেক ঘটে তার। ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষে সরাসরি নির্বাচিত হয়ে জানুয়ারি, ১৯৮৫ সালের শেষদিকে অমিতাভ বচ্চনের সাথে প্রবেশ করেন তিনি।[২২]

১৯৮৯ সালে অনুষ্ঠিত তামিলনাড়ু সাধারণ নির্বাচনে তিনি পুনরায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এবার তিনি দ্রাবিড়া মুনেত্রা কাঝাগামের আলাদি অরুণা'র মুখোমুখি হন।[২১] তিনি পুনরায় ১২,৫৮৪ ভোটের ব্যবধানে তার প্রতিপক্ষকে পরাভূত করেন।[২১] পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালে ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় তিনি ছয়বছর মেয়াদে মনোনীত হন।[১৪] ১৯৯৯ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলের প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিল করেন।[২৩] দলীয় সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী'র কাছে লেখা পত্রে এর কারণ ব্যাখ্যা করেন যে, রাজীব গান্ধী নিহত হবার পর দলের আদর্শ ভিন্ন দিকে প্রবাহিত হচ্ছে যা পীড়াদায়ক। দলের আদর্শবোধ তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছতে ব্যর্থ হয়েছে ও দিনদিন দলীয় কর্মীদেরকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। উত্তরোত্তর জনতার সামনে আমাদেরকে জবাবদিহিতা করতে হচ্ছে। আমার বিবেক বোধ নাড়া দিচ্ছে। ফলশ্রুতিতে আমি আর দলে অবস্থান করতে পারছি না।[২৩][২৪] পরবর্তীতে ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৯ তারিখে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেন।[২৫][২৬]

সম্মাননা

২০১৩ সালে স্টারডাস্ট পুরস্কার অনুষ্ঠানে বৈজয়ন্তীমালা।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বৈজয়ন্তীমালাকে ১৯৫৮ সালের বর্ষসেরা মহিলা চিত্রতারকারূপে ঘোষণা করে।[২৭] একইভাবে বক্সঅফিসইন্ডিয়া.কম বর্ষসেরা তিন মহিলা চিত্রতারকার একজনরূপে তাকে স্বীকৃতি দেয়।[২৮]

চলচ্চিত্রের পাশাপাশি বৈজয়ন্তীমালা'র প্রধান আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রধান শাখা ভরতনাট্যম। চলচ্চিত্র জীবন ত্যাগ করার পরও নৃত্যকলায় অংশ নিতেন তিনি। ফলশ্রুতিতে ১৯৮২ সালে শিল্পকলায় অসামান্য অবদান রাখার প্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ ভারতীয় সঙ্গীত নাটক একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।[২৯] এছাড়াও গল্ফ খেলায়ও আগ্রহ রয়েছে তার। চেন্নাইয়ের অন্যতম বয়োঃবৃদ্ধের মর্যাদাও উপভোগ করছেন তিনি।[৩০]

২০১১ সালে জনপ্রিয় অভিনেতা দেব আনন্দের মৃত্যুতে গভীর শোকাহত হন। তার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন যে, মাদ্রাজে চলচ্চিত্রায়ণের সময় আনন্দ তাকে 'পাপা' বলে ডাকতেন। তামিল ভাষায় পাপা পরিভাষাটি তার পরিবার ও বন্ধুদের ক্ষেত্র ব্যবহার করা হতো। সেটে তিনি প্রায়শঃই বলতেন, পাপা কোথায়, আমার নায়িকা কোথায়।[৩১]

ব্যক্তিগত জীবন

তিনি তার সময়কালে অনেকগুলো বিতর্কের সাথে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন।[৩২] বিশেষ করে নিজের সহ অভিনেতাদের সাথে গভীর সম্পর্ক গড়েছিলেন। ১৯৬০-এর দশকের শুরুতে দিলীপ কুমারের সাথে সখ্যতা গড়েন। অন্যান্য অভিনেত্রীদের তুলনায় তার সাথে পর্দায় অধিক দেখা যেতো।[৩৩] নিজ চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে ১৯৬১ সালে নির্মিত গঙ্গা যমুনা চলচ্চিত্রে অংশগ্রহণকালীন প্রকাশ পায় যে, বৈজয়ন্তীমালার প্রত্যেক দৃশ্যে কুমার তার শাড়ীর আঁচল ধরে রাখতেন।[৩৪] পাশাপাশি চলচ্চিত্র ঐতিহাসিক বানি রিউবেন ও সঞ্জিত নারওয়েকার নিশ্চিত করেছিলেন যে, কুমার ও বৈজয়ন্তীমালা'র সম্পর্ক কামিনী কৌশল এবং মধুবালা'র পর তৃতীয় ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল।[৩৫]

১৯৬০-এর দশকের শুরুতে রাজ কাপুর সঙ্গম নির্মাণের কথা ঘোষণা করলে বৈজয়ন্তীমালাকে নায়িকা ও রাজেন্দ্র কুমারকে সহ-নায়ক হিসেবে রাখা হয়। নিজে নায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। চলচ্চিত্রটি নির্মাণে প্রায় চার বছর ব্যয়িত হয়। এসময়ে বৈজয়ন্তীমালা কাপুরের সাথে সুগভীর ভালোবাসায় জড়িয়ে ফেলেন নিজেকে ও তাকে প্রায় বিয়ের পিড়িতে বসানোর উপক্রম করেছিলেন।[৩৬][৩৬] এ ঘটনার ফলে কাপুরের পত্নী কৃষ্ণা সন্তানসমেত স্বামীগৃহ ত্যাগ করতে বাধ্য হন। অতঃপর তারা মুম্বইয়ের নটরাজ হোটেলে সাড়ে চারমাস অবস্থান করেছিলেন।[৩৭]

১৯৬৮ সালে চমনলাল বালির সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন বৈজয়ন্তীমালা। বিয়ের পর অভিনয় জীবনের সমাপ্তি ঘটে তার ও চেন্নাইয়ে চলে যান। সুচিন্দ্র বালি নামের এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। সহলেখক জ্যোতি সবরওয়ালের সাথে আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ প্রকাশ করেন।[৩৮] বৈষ্ণবিতে দীক্ষিত তিনি ও নিরামিষভোজী।[১৪][৩৯]

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী