ব্যাং-ঙ্গোস-পা-রিন-স্গাং
ব্যাং-ঙ্গোস-পা-রিন-স্গাং (তিব্বতি: བྱང་ངོས་པ་རིན་སྒང, ওয়াইলি: byang ngos pa rin sgang) (১৯০১-১৯৪৫) একজন তিব্বতী প্রকৌশলী ছিলেন।
সংক্ষিপ্ত জীবনী
ব্যাং-ঙ্গোস-পা-রিন-স্গাং লাসা শহরের আধিকারিক স্কাল-ব্জাং-ন্যি-মার (ওয়াইলি: skal bzang nyi ma) দ্বিতীয় পুত্র ছিলেন। ত্রয়োদশ দলাই লামা তিব্বতকে আধুনিক করার উদ্দেশ্যে ১৯১২ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে দ্বাং-'দুস-নোর-বু (ওয়াইলি: dbang 'dus nor bu), ম্খ্যেন-রাব-কুন-ব্জাং (ওয়াইলি: mkhyen rab kun bzang) এবং ব্সোদ-নাম্স-স্গোম-পো-গো-খার-বা (ওয়াইলি: bsod nams sgom po go khar ba) নামক তিনজন তিব্বতীর সাথে তাকেও ইংল্যান্ডে আধুনিক শিক্ষালাভের উদ্দেশ্যে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন।[১] ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৪শে এপ্রিল তারা ইংল্যান্ড পৌছে হেথেন্ডের মিলিটারি অ্যাকাডেমী এবং রাগবি স্কুলে শিক্ষালাভের উদ্দেশ্যে ভর্তি হন। এরপর তিনি বিদ্যুৎ প্রকৌশলবিদ্যায় স্নাতক হয়ে ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে তিব্বতে ফিরে আসেন। এরপর তিনি ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দে পুনরায় শিক্ষালাভের উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ড যাত্রা করে পাঁচ বছর পরে দোদে উপত্যকায় একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নিয়ে তিব্বত ফিরে আসেন।[২] ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে তিব্বত সরকারের আধিকারিক রূপে কাজ করে ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে দোদে উপত্যকায় তিব্বতের প্রথম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে সক্ষম হন।[৩][n ১] ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি দ্রাপচি অঞ্চলে অপর একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। এই সময় তিনি সরকারের হয়ে ইংরেজি অনুবাদকের কাজও করেন। ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাস থেকে তিনি বিদেশ দপ্তরের সহায়ক রূপেও দায়িত্ব পালন করেন।