ভারত ও রাষ্ট্রপুঞ্জ
ভারত ১৯৪৪ সালের অক্টোবর মাসে ওয়াশিংটন ডিসি-তে রাষ্ট্রপুঞ্জের ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরকারী জাতিসংঘের মূল সদস্যদের মধ্যে ছিল এবং ১৯৪৫ সালের ২৫ এপ্রিল থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত সান ফ্রান্সিসকোতে আন্তর্জাতিক সংস্থা সম্পর্কিত রাষ্ট্রপুঞ্জের সম্মেলনে অংশ নিয়েছিল। রাষ্ট্রপুঞ্জের সদস্য হিসাবে ভারত রাষ্ট্রপুঞ্জের উদ্দেশ্য ও নীতিসমূহকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে এবং সনদের লক্ষ্য বাস্তবায়নে ও রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষায়িত কর্মসূচি ও সংস্থাগুলির বিবর্তনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।[১]
জাতিসংঘ সদস্যবর্গ | |
---|---|
প্রতিনিধিত্ব করছেন |
|
সদস্যতা | পূর্ণসদস্য |
হতে | ৩০ অক্টোবর ১৯৪৫ |
ইউএনএসসি পদ | অ-স্থায়ী |
স্থায়ী প্রতিনিধি | টি এস তিরমূর্তি |
সাম্প্রতিকতম ২০২১-২২ মেয়াদের সাথে ভারত মোট আটটি মেয়াদে (মোট চলমান ১৬ বছর) রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হয়েছে। ভারত বিভিন্ন রাষ্ট্রের গোষ্ঠী জি-৪ এর সদস্য, যারা নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী আসন চেয়ে একে অপরকে সমর্থন করে এবং ইউএনএসসির সংস্কারের পক্ষে কথা বলে। এছাড়াও ভারত জি-৭৭ এর অংশ।
ভারত রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদের সদস্য এবং এর সমস্ত বিশেষায়িত সংস্থা ও সংগঠনে অংশ নেয়। ভারত পূর্ববর্তী বছরগুলিতে কোরিয়া,[২][৩] মিশর ও কঙ্গোতে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সোমালিয়া, অ্যাঙ্গোলা, হাইতি, লাইবেরিয়া, লেবানন ও রুয়ান্ডায় এবং আরও সম্প্রতি দক্ষিণ সুদান বিরোধে রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষা প্রচেষ্টাতে সেনা সরবরাহ করে অবদান রেখেছিল।[৪]
ইতিহাস
সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের অন্যতম প্রধান সদস্য ছিল ভারত। নীতিগতভাবে, কেবলমাত্র সার্বভৌম রাষ্ট্রগুলি রাষ্ট্রপুঞ্জের সদস্য হতে পারে। যদিও বর্তমানে রাষ্ট্রপুঞ্জের সমস্ত সদস্য সম্পূর্ণরূপে সার্বভৌম রাষ্ট্র, তবে তাদের আবেদনের সময় মূল সদস্যদের মধ্যে চারটি রাষ্ট্র (বেলারুশ, ভারত, ফিলিপাইন এবং ইউক্রেন) স্বাধীন ছিলেন না।[৫] ১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি ভারত রাষ্ট্রপুঞ্জের ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করে এবং তার প্রতিনিধিত্ব করেন গিরিজা শঙ্কর বাজপাই, যিনি তৎকালীন ভারতীয় এজেন্ট-জেনারেল ছিলেন। এরপরে স্যার আরকোট রামস্বামী মুদালিয়ারের নেতৃত্বে ভারতীয় প্রতিনিধি দলটি ১৯৪৫ সালের ২৬ শে জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সংস্থার ঐতিহাসিক রাষ্ট্রপুঞ্জ সম্মেলনের সময় ভারতের পক্ষে রাষ্ট্রপুঞ্জ সনদে স্বাক্ষর করে।[৬]