মুনিবা মাজারি
মুনিবা মাজারি (উর্দু: منیبہ مزاری ; জন্ম: ৩ মার্চ ১৯৮৭) একজন পাকিস্তানি মানবাধিকার কর্মী, চিত্রশিল্পী, টেলিভিশন উপস্থাপক, মোটিভেশনাল স্পিকার এবং গায়িকা। ২০০৫ সালে মুনিরা মাজারি এক সাবেক বিমান বাহিনীর কর্মকর্তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের দু'বছর পর গাড়ি এক্সিডেন্ট হয়। এর পর থেকে তিনি হুইল চেয়ার ব্যবহার করেন। নিজের সৃষ্টিশীলতা ও অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি তাকে পরিচিত করেছে পাকিস্তানের লৌহমানবী হিসেবে৷ তিনি এখন পাকিস্তানের ইউএন ওম্যানের শুভেচ্ছাদূত৷[১]
মুনিবা মাজারি منیبہ مزاری | |
---|---|
জন্ম | ৩ মার্চ ১৯৮৭ |
জাতীয়তা | পাকিস্তান |
পেশা | মানবাধিকার কর্মী, চিত্রশিল্পী, আর্টিস্ট, মোটিভেশনাল স্পিকার |
সন্তান | নীল মাজারি (দত্তক ছেলে) |
পুরস্কার |
|
ওয়েবসাইট | www |
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
মুনিবা মাজারি ৩ মার্চ ১৯৮৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা-মায়ের কথা মানতে মাত্র ১৮বছর বয়সে বিয়ে করে নেন। তিনি বিয়ে নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন। ২০০৭সালে বিয়ের দু'বছর পর যখন তিনি এবং তার স্বামী গাড়িতে করে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তখন গাড়ি এক্সিডেন্ট হয়। গাড়ি বড় একটি খাদে পরে যাওয়ার আগেই তার স্বামী লাফ দিয়ে গাড়ি থেকে বের হয়ে যান। কিন্তু মুনিবা বের হতে পারেনি। গাড়ি এক্সিডেন্টের পর মুনিবাকে অনেকদিন হাসপাতালে থাকতে হয়েছিলো। মারাত্মকভাবে মুনিবার হাত, পা, মেরুদন্ড, কলার ফেটে যায়। এতে তার প্যারালাইসিস হয়ে যায়। ডিভোর্স দেন স্বামীকে এবং একটি পুত্র সন্তান দত্তক নেন যার নাম রাখেন নীল মাজারি৷[২][৩][৪]
কর্মজীবন এবং স্বীকৃতি
মুনিবা মাজারি বর্তমানে পাকিস্তানের ইউএন ওম্যানের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন৷ ২০১১ সালে বিবিসির ১০০সর্বাধিক অনুপ্রেরণামূলক নারীর মধ্যে নিজের স্থান করে নেন। ২০১৫ সালে বিবিসির সেরা ১০০ নারীর তালিকায় আসে তার নাম। ২০১৬ সালে ফোর্বস ম্যাগাজিনেও নাম আসে তার। কানাডা গ্লোবাল কনসাল্টিং এন্ড ট্রেইন্ট সেন্টার লিমিটেড (সিজিসি) কর্তৃক 'এক্সেলেন্স ট্রেইন সার্টিফিকেট' পুরস্কার পান ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ সালে।[৫]