মোহাম্মদ আশা
মোহাম্মদ জামিল আবদেলকাদের আশা (জন্ম: সেপ্টেম্বর ৬ ১৯৮০) একজন জর্ডানীয় চিকিৎসক যিনি যুক্তরাষ্ট্র বসবাস করেন। ২০০৭ সালের ৩০ জুন গ্লাসকো বিমানবন্দর হামলায় সন্দেহের জের ধরে থাকে গ্রেফতার করা হয়।[১]হত্যার ও বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল, তবে ২০০৮ সালের ১৬ ডিসেম্বরের এক রায়ে তিনি নির্দোষ সাব্যস্ত হন এবং তার উপর আনিত সকল অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়।[২]
প্রাথমিক জীবন এবং চিকিৎসা কর্মজীবন
আশা ১৯৯১ সালে তার পরিবারের সাথে জর্ডানে চলে যান। তিনি সৌদি আরবের একটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন যাদের সূত্রপাত হয় ফিলিস্তিনে। তিনি আম্মানের জুবলি স্কুলে, প্রতিভাধর শিশুদের একটি স্কুল, তার প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করেন যেখানে তাকে একজন নিবেদিত ছাত্র হিসেবে স্মরণ করা হয়ে থাকে যিনি অত্যন্তু বইপ্রেমিক ও অন্তর্মুখী ধরনের ছিলেন। আরবি সাহিত্যের কবিতার জন্য তিনি অনেক পুরস্কারে ভূষিত হন এবং রানী নুর, জর্ডানের রাজা হোসেইনের চতুর্থ স্ত্রী, যখন তার স্কুল পরিদর্শন করতে যান তখন তার সাথে তিনি স্বাক্ষাত করেন।[৩] ১৯৯৮ সালে, আশা তার স্কুলের শেষ পরীক্ষায় সর্বমোট ৯৮.৩% নম্বর নিয়ে পাশ করেন এবং পরবর্তীতে তিনি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় জর্ডানে জাতীয় মেধায় তৃতীয় সর্বোচ্চ নাম্বার লাভ করেন।
আশা ইউনিভার্সিটি অব জর্ডান’স মেডিকেল স্কুলে ভর্তি হন এবং ২০০৪ সালে চিকিৎসা শাস্ত্রে ডিগ্রী লাভ করেন।[১][৪] মেডিকেলে অধ্যয়নরত অবস্থায় তিনি তার প্রতিভাকে তার ভবিষ্যত স্ত্রীকে, মারওয়াহ ডানা (একজন পরীক্ষাগার গবেষক), প্রেম নিবেদন করতে কবিতা রচনা করতে থাকেন। ২০০৪ সালে তিনি মারওয়াহকে বিবাহ করেন। ঐ একই বছরে, আশা প্রায় ৫০০ মেডিকেল ছাত্রছাত্রীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং নিউরোলজি বিভাগে অধ্যয়নের জন্য ইউনিভার্সিটি অব বার্মিংহামে সুযোগ লাভ করেন।[১]
২০০৫ সালে আশা তার স্ত্রীসহ যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান এবং ওয়েলসের ল্যানেল্লির প্রিন্স ফিলিপ হাসপাতাল এবং শ্রপশারের দি রয়েল শ্রুজবেরি হাসপাতাল থেকে স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষণ লাভ করেন। এরপর আশা ক্যামব্রিজের অ্যাডেনব্রুক হাসপাতালে চলে যান, যেখানে বিলাল আব্দুল্লা এবং কফিল আহমেদ এর সাথে পরিচিত হন। ২০০৭ সালে, আশা তার স্ত্রী এবং ছোট ছেলে আনাসকে নিয়ে চেস্টারটনের একটি গ্রামে বসবাস করতে থাকেন, ষ্টোকে-ও-টরেন্টের ইউনিভার্সিটি হসপিটাল অব নর্থ স্টাফোর্ডশায়ারে জুনিয়র নিউরোসার্জন হিসেবে কাজ শুরু করেন। কনসালট্যান্ট নিউরোসার্জন রুপার্ট প্রাইস বলেন তার লিখিত সেরা রেফারেন্স তিনি আশাকে দিয়েছিলেন এবং তিনি বিশ্বাস করতেন যে ব্রিটেনের শীর্ষস্থানীয় নিউরোসার্জনদের একজন হওয়ার পথে আশা সঠিক পথেই ছিলেন।[৩]