রামকৃষ্ণ মিশন স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাসভবন ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র

কলকাতার একটি জাদুঘর ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, পশ্চিমবঙ্গ

রামকৃষ্ণ মিশন স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাসভবন ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হল একটি জাদুঘর ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতা শহরের ৩ নম্বর গৌরমোহন মুখোপাধ্যায় স্ট্রিটে অবস্থিত।[১] ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দের ১২ জানুয়ারি এই বাড়িতেই স্বামী বিবেকানন্দ (পূর্বাশ্রমের নাম নরেন্দ্রনাথ দত্ত) জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[২] বিবেকানন্দের পুরো শৈশব ও প্রথম যৌবন এই বাড়িতেই কাটে।[৩][৪] ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালাম এই বাড়ির সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি উদ্বোধন করেন।[৫]

রামকৃষ্ণ মিশন স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাসভবন ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র
Swami Vivekananda's Ancestral House & Cultural Centre Door
রামকৃষ্ণ মিশন স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাসভবন ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রবেশদ্বার
রামকৃষ্ণ মিশন স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাসভবন ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ভারত-এ অবস্থিত
রামকৃষ্ণ মিশন স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাসভবন ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র
প্রাক্তন নামস্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাসস্থান
দত্তদের পৈতৃক বাসভবন
সাধারণ তথ্য
অবস্থাসক্রিয়
ধরনঐতিহ্যবাহী স্থান, জাদুঘর
ঠিকানা৩ গৌরমোহন মুখোপাধ্যায় স্ট্রিট
শহরকলকাতা
দেশভারত
স্থানাঙ্ক২২°৩৫′১০.৮″ উত্তর ৮৮°২২′২.৫″ পূর্ব / ২২.৫৮৬৩৩৩° উত্তর ৮৮.৩৬৭৩৬১° পূর্ব / 22.586333; 88.367361
পুনঃসংস্কার২০০৪
স্বত্বাধিকারীরামকৃষ্ণ মিশন

ইতিহাস

১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে বিবেকানন্দের বাবা বিশ্বনাথ দত্তের দেহাবসান হয়। সেই সময় বিবেকানন্দের কাকীমাও তাঁদের বাড়িতে থাকতেন। বিশ্বনাথ দত্তের মৃত্যুর পর তিনি বাড়ির সম্পূর্ণ অধিকার দাবি করে বিবেকানন্দের মা ভুবনেশ্বরী দেবী ও তার পরিবারবর্গের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।[৩] এই মামলায় বিবেকানন্দ জয়ী হন। তবে উচ্চতর আদালতে পুনর্বিচারের জন্য মামলাটি আবার দায়ের করা হয়।[৬] উচ্চতর আদালতে মামলাটি অনেক দিন ধরে চলে। ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে বিবেকানন্দের মৃত্যুর কিছুদিন আগে মামলাটি শেষ হয়। সেখানেও বিবেকানন্দ জয়ী হন।

সংস্কার

কালক্রমে বিবেকানন্দের পৈতৃক বাসভবনটি জীর্ণ হয়ে পড়েছিল। ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ সম্পত্তিটি অধিগ্রহণ করে একটি জাদুঘর স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহায়তায় রামকৃষ্ণ মিশন জমি ও পার্শ্ববর্তী স্থানটি অধিগ্রহণ করে। প্রকল্প রূপায়ণের জন্য একটি কমিটি গঠিত হয়। কমিটি কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার ও সাধারণের দান থেকে ১০ কোটি টাকা জোগাড় করতে সমর্থ হয়। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারই দান করেছিল ৯.৯ কোটি টাকা।[৫] ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে সংস্কারের পর বাড়িটিকে একটি জাদুঘর ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে রূপায়ণের কাজ শেষ হয়।[১]

বর্তমানে এই বাড়িতে একটি জাদুঘর, একটি গবেষণা কেন্দ্র, একটি স্মারক মন্দির, একটি গ্রন্থাগার, একটি ইংরেজি শিক্ষা কেন্দ্র, একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও একটি দাতব্য চিকিৎসালয় রয়েছে। এখানে নিয়মিত সেমিনার ও আলোচনা সভা আয়োজিত হয়।[৪]

ছবি

পাদটীকা

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: প্রধান পাতাবিশেষ:অনুসন্ধানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপকাজী নজরুল ইসলামবাংলাদেশ ডাক বিভাগশেখ মুজিবুর রহমানএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশছয় দফা আন্দোলনক্লিওপেট্রাবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪আবহাওয়ামুহাম্মাদব্লু হোয়েল (খেলা)বাংলা ভাষাইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাভারতভূমি পরিমাপবাংলা ভাষা আন্দোলনমহাত্মা গান্ধীমিয়া খলিফামৌলিক পদার্থের তালিকাবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলপহেলা বৈশাখপদ্মা সেতুলোকসভা কেন্দ্রের তালিকামাইকেল মধুসূদন দত্তসুনীল ছেত্রীবাংলাদেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তালিকাবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহআসসালামু আলাইকুমপশ্চিমবঙ্গবাংলাদেশে পালিত দিবসসমূহশেখ হাসিনাবাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রীজয়নুল আবেদিন