ল্যারি গোমস

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার

হিলারি ল্যারি অ্যাঞ্জেলো গোমস (ইংরেজি: Larry Gomes; জন্ম: ১৩ জুলাই, ১৯৫৩) ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর অ্যারিমায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ও সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা এবং কোচ। বামহাতি ব্যাটসম্যান ল্যারি গোমস ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট ক্রিকেট দলে খেলেছেন।

ল্যারি গোমস
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
হিলারি অ্যাঞ্জেলো গোমস
জন্ম (1953-07-13) ১৩ জুলাই ১৯৫৩ (বয়স ৭০)
অ্যারিমা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ-ব্রেক
ডানহাতি মিডিয়াম পেস
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার, কোচ
সম্পর্কশেল্ডন গোমস (ভ্রাতা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৫৭)
৩ জুন ১৯৭৬ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট১২ মার্চ ১৯৮৭ বনাম নিউজিল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ২৮)
১২ এপ্রিল ১৯৭৮ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ ওডিআই৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৭ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৭১-১৯৮৮ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
১৯৭৩-১৯৭৬মিডলসেক্স
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতাটেস্টওডিআইএফসিএলএ
ম্যাচ সংখ্যা৬০৮৩২৩১১৫৭
রানের সংখ্যা৩,১৭১১,৪১৫১২,৯৮২৩,১১৫
ব্যাটিং গড়৩৯.৬৩২৮.৮৭৪০.৫৬২৮.৮৪
১০০/৫০৯/১৩১/৬৩২/৬৩২/১৩
সর্বোচ্চ রান১৪৩১০১২০০*১০৩*
বল করেছে২,৪০১১,৩৪৫৯,৮০৪৩,৫৪৮
উইকেট১৫৪১১০৭৮৪
বোলিং গড়৬২.০০২৫.৪৮৩৯.২৩২৮.৪৮
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং২/২০৪/৩১৪/২২৪/৩১
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং১৮/–১৪/–৭৭/–৩৪/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ডানহাতে অফ-ব্রেক/মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন। কাউন্টি ক্রিকেটে মিডলসেক্স ক্রিকেট দলে খেলেন। ত্রিনিদাদ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের সফলতম তৃতীয় ব্যাটসম্যানের মর্যাদা পান। এছাড়াও তিনি ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৮৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলায় অংশগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সদস্য ছিলেন। সাধারণতঃ তিনি ব্যাটকে প্যাডের কাছাকাছি রাখতেন।

খেলোয়াড়ী জীবন

১৯৬৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান স্কুলবয় দলের হয়ে ইংল্যান্ড সফর করেন। ১৯৭১-৭২ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো দলের হয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন তিনি। ১৯৭২, ১৯৭৩-১৯৭৬ মৌসুমে মিডলসেক্স কাউন্টি ক্রিকেট দলে যোগ দেন। বেনসন এন্ড হেজেস কাপ গোল্ড পুরস্কার লাভ করেন তিনি।

প্যাকারের বছরগুলোয় তাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ এনে দেয়। বিদ্রোহী খেলোয়াড়দের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার স্বত্ত্বেও তিনি নিজ স্থান ধরে রাখতে সমর্থ হন। তিনি হাল্কা-পাতলা গড়নের ও ঠাণ্ডা মেজাজের অধিকারী ছিলেন। গড়পড়তা অন্যান্য ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের মতো ছিলেন না। নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রয়োজনের মুহুর্তে ঠিকই নিজেকে তুলে ধরতে সক্ষম ছিলেন।

সেঞ্চুরির ৬টিই করেছেন অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে। তন্মধ্যে ১৯৮৪ সালে পার্থের বাউন্সি উইকেটের সেঞ্চুরিটি দলকে ইনিংস বিজয় লাভ করতে সহায়তা করেছিল। তারপরও তিনি ডেনিস লিলি’র উইকেট শিকারের ফলে অস্ট্রেলিয়ায় স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। ১৯৮১ সালে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত বক্সিং ডে টেস্টে লিলি তাকে আউট করে ল্যান্স গিবসের রেকর্ড ভেঙ্গে সর্বাধিক টেস্ট উইকেট লাভের নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়েন।[১][২]

সম্মাননা

২০ বছর ক্রিকেট খেলার পর ১৯৮৫ সালে উইজডেন কর্তৃপক্ষ তাকে বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননায় অভিষিক্ত করে। এছাড়াও অ্যারিমা’র মালাবারে তার সম্মানে স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয় ল্যারি গোমস স্টেডিয়াম।

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

পূর্বসূরী
হ্যারল্ড গিবসন
পেশাদার
নেলসন ক্রিকেট ক্লাব

১৯৭৭–১৯৭৮
উত্তরসূরী
স্টিফেন হাওয়ার্ড
🔥 Top keywords: প্রধান পাতাবিশেষ:অনুসন্ধানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপকাজী নজরুল ইসলামবাংলাদেশ ডাক বিভাগশেখ মুজিবুর রহমানএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশছয় দফা আন্দোলনক্লিওপেট্রাবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪আবহাওয়ামুহাম্মাদব্লু হোয়েল (খেলা)বাংলা ভাষাইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাভারতভূমি পরিমাপবাংলা ভাষা আন্দোলনমহাত্মা গান্ধীমিয়া খলিফামৌলিক পদার্থের তালিকাবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলপহেলা বৈশাখপদ্মা সেতুলোকসভা কেন্দ্রের তালিকামাইকেল মধুসূদন দত্তসুনীল ছেত্রীবাংলাদেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তালিকাবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহআসসালামু আলাইকুমপশ্চিমবঙ্গবাংলাদেশে পালিত দিবসসমূহশেখ হাসিনাবাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রীজয়নুল আবেদিন