শিকারী সম্প্রসারণ
শিকারী সম্প্রসারণ বা শিকারী সম্পৃক্তি এক ধরনের শিকারী বিরোধী অভিযোজন প্রক্রিয়া যেখানে শিকার শিকারীদের থেকে রক্ষা পাওয়ার উদ্দেশ্যে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় জড় হয় যেখানে তার সাথে শিকারীর আরো শিকার বসবাস করে যেন শিকারের সম্পূর্ণ অঙ্গ শিকার ভক্ষণ করতে না পারে।[২] কারন ঘন এলাকাটিতে শিকারীর জন্য অনেক শিকার একত্রে থাকে যে জন্য এমন একটা সম্ভাবনা থেকেই যায় যে কিছু কিছু শিকারের সম্পূর্ণ দেহ হয়ত শিকার ভক্ষণ করার আগেই তার পেট ভরে যাবে। বিভিন্ন উদ্ভিদ, কীট-পতঙ্গ ও মাছ এরূপ অভিযোজন প্রক্রিয়ায় অভ্যস্ত। প্রক্রিয়াটিকে শিকারীদের হাত থেকে বাঁচার জন্য শিকারের আশ্রয়স্থল হিসেবে বিবেচনা করা যায়। [২]
যেহেতু শিকারীর খাদ্য বৃদ্ধি পেতে থাকে, তাই শিকারীটির বেঁচে থাকা, বৃদ্ধি ও জনন সম্ভাবনা সেই এলাকায় বেড়ে যায়। [৩] যা হোক, ধীরে ধীরে শিকারীর খাদ্য বাড়তে বাড়তে এমন পর্যায়ে চলে আসে যখন শিকারী আর ভক্ষণ করতে পারে না। শিকারীটি তখন খাদ্য ভক্ষন থামিয়ে দেয়। এই বৈশিষ্ট্য টাইপ ২ কার্যকরী সাড়া -এর মধ্যে সুস্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত। শিকারীর প্রজন্মকাল-এর উপর ভিত্তি করে শিকার প্রাণী কোনো স্থানে নিজেদের সংখ্যাও বাড়িয়ে তোলে (সংখ্যাগত সাড়া)।
এরূপ চিত্র স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় কোনো বনের ফল গাছের বীজ বপনের ক্ষেত্রে। কখনো কখনো বনের এক প্রজাতির গাছই বনের অধিকাংশ ফল জন্ম দেয়।
অতি ফুলায়ন ও ফলায়ন প্রক্রিয়া বাঁশেরা অনুসরণ করে। যার ফলে তাঁদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং মৃত্যুসময় বিরতি অধিক হয়।