সেনানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

সেনানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (ইন্দোনেশিয়া: সেনানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর) (আইএটিএ: ডিজেজে, আইসিএও: ওয়াজেজ)) নিউ গিনি দ্বীপে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া প্রদেশের রাজধানী জয়পুরা[১] শহরের একটি বিমানবন্দর। এটি জয়পুরার শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে সেনানি জেলার শহরে অবস্থিত; নামটি 'সেনানি' নামে একটি হ্রদ থেকে নেওয়া হয়েছে। এটি ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় বিমানবন্দর। বিমানবন্দরটি পাপুয়া প্রদেশের বৃহত্তম বিমানবন্দর এবং পাপুয়া প্রদেশের গ্রামীণ এলাকার প্রধান বিমানবন্দর। পূর্বে এটি একটি প্রথম শ্রেণীর বিশেষ বিমানবন্দর ছিল।

সেনানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

Bandar Udara Internasional Sentani
সেনানি বিমানবন্দরের বায়বীয় দৃশ্য
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
বিমানবন্দরের ধরনসরকারি
পরিচালকআঙ্গকাস পুরা ১
পরিষেবাপ্রাপ্ত এলাকাজয়াপুরা
অবস্থানজয়পুরা রিজেন্সি, পাপুয়া, ইন্দোনেশিয়া
এএমএসএল উচ্চতা২৮৯ ফুট / ৮৮ মিটার
স্থানাঙ্ক২°৩৪′৩৭″ দক্ষিণ ১৪০°৩০′৫৮″ পূর্ব / ২.৫৭৬৯৪° দক্ষিণ ১৪০.৫১৬১১° পূর্ব / -2.57694; 140.51611
ওয়েবসাইটsentaniairport.com
মানচিত্র
ইন্দোনেশিয়া অঞ্চলের পশ্চিমী নিউ গিনি
ইন্দোনেশিয়া অঞ্চলের পশ্চিমী নিউ গিনি
ডিজেজে ইন্দোনেশিয়া-এ অবস্থিত
ডিজেজে
ডিজেজে
রানওয়ে
দিকদৈর্ঘ্যপৃষ্ঠতল
মিফুট
১২/৩০৩,০০০১০,০০০আস্ফাল্ট
পরিসংখ্যান (২০১৫)
ইন্দোনেশিয়া সরকার
যাত্রী১৭,২৮,৫৪৯
উৎস: ইন্দোনেশিয়ার ব্যস্ততম বিমানবন্দরগুলির তালিকা
লায়ন এয়ার-এর এমডি-৮৩ জয়পুরার সেনানি বিমানবন্দরে।
বাটভিয়া এয়ার-এর বি ৭৩৭-২০০ জয়পুরার সেনানি বিমানবন্দরে।
সেনানি বিমানবন্দরের টার্মিনাল এলাকা

ইতিহাস

সেনানি বিমানবন্দর হোল্যান্ডিয়া'র (বর্তমানে জয়পুরা) বড় মার্কিন সুবিধাগুলোর একটি অংশ ছিল, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান থেকে ২২ এপ্রিল ১৯৪৪ সালে মার্কিন উভচর টাস্ক ফোর্স অপারেশন রেকলেস নামক কোড নামের অভিযান দ্বারা মুক্ত করেছিল।

এ অঞ্চলটি ১৯৪২ সালের এপ্রিল মাসে জাপানিরা দখল করে নেয় এবং ১০ অক্টোবর ১৯৪৩ সালের মধ্যে জাপানিরা দুটি রানওয়ে দিয়ে একটি বড় বিমানবন্দর চত্বর নির্মাণ করে: ৪,৫০০ ফুট পশ্চিমাঞ্চলীয় রানওয়ে এবং দক্ষিণ রানওয়ে ছিল ৬,২০০ ফুট x ৩৪০ ফুট। পশ্চিমে ২৪টি বৃহত্তর বোমারু বিমান রাখার স্থান ছিল এবং বিমানক্ষেত্রের পূর্বের অতিরিক্ত ২৭ বোমারু বিমান রাখার স্থান ছিল। এছাড়া দুটি রানওয়ে ট্যাক্সিওয়ে দ্বারা সংযুক্ত। বিমানের সুরক্ষার জন্য ৪টি হালকা বন্দুক রয়েছে বিমানবন্দরে যা পরে হালনাগাদ করা হয়েছিল। মার্কিন বোমার হামলায় বিমানবন্দরটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিকারক ছিল।

মার্কিনীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রণকালে আবার বিমানবন্দরটির পুনর্নির্মাণ করা হয় এবং এটি একটি কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণ বেস হয়ে ওঠে এবং বিপুল সংখ্যক অপারেশন ইউনিট যোদ্ধাদের সাথে লড়াইয়ে মিশে যায় এবং এলাকা থেকে ভারী বোমা হামলা চালায় বিমানবাহিনী। মার্কিন সুবিধায় হল্যান্ডিয়া, সেনানি এবং সাইক্লপস এয়ারফিল্ডস নামে তিনটি বৃহৎ সামরিক বিমানবন্দর গঠিত হয় ।

সুযোগ-সুবিধা

বিমানবন্দরটি সমুদ্রতল থেকে ১৮৯ ফুট (৮৮ মিটার) উচ্চতায় অবস্থিত। এটি ১২/৩০ নির্দেশে একটি আস্ফাল্ট পৃষ্ঠের সাথে ৩,০০০ মিটার × ৪৫ মিটার (৯,৮৪৩ ফিট × ১৪৮ ফুট) পরিমাপের রানওয়ে নিয়ে গঠিত।[১] সেনানি বিমানবন্দরে তিনটি এয়ারব্রিজ রয়েছে।

বিমানসংস্থা এবং গন্তব্যস্থল

যাত্রী পরিবহন

পণ্য পরিবহন

বিমানবন্দরটি নিউ গিনি দ্বীপের ইন্দোনেশীয় অংশে প্রবেশের প্রধান বিমানবন্দর হিসেবে কাজ করে। পাপুয়া প্রদেশের গন্তব্যগুলোর সাথে সংযোগকারী উড়ানগুলও এবং ইন্দোনেশিয়ার অন্যান্য অংশের সঙ্গে পাপুয়াকে যুক্তকারী উড়ানগুলও দ্বারা বিমানবন্দরটির উড়ান চলাচল বিভক্ত থাকে।

বিমানবন্দরের সুযোগ-সুবিধার উন্নতি

২০১২ সালের অক্টোবর মাসে পরিবহন মন্ত্রণালয় বিমানবন্দরের রানওয়ে দৈর্ঘ্য ৩,০০০ মিটার পর্যন্ত বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছিল, সেই সঙ্গে রানওয়ের সমান্তরাল ট্যাক্সিওয়ে নির্মাণ এবং যাত্রীদের আগমন ও নির্গমনের জন্য যাত্রীবাহী টার্মিনালটি থেকে জেট সেতুগুলো সম্প্রসারিত করবে।[২] ২০১৫ সালের শেষ নাগাদ বিমানবন্দরে সমস্ত পূর্বনির্ধারিত উন্নয়নগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: প্রধান পাতাবিশেষ:অনুসন্ধানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপকাজী নজরুল ইসলামবাংলাদেশ ডাক বিভাগশেখ মুজিবুর রহমানএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশছয় দফা আন্দোলনক্লিওপেট্রাবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪আবহাওয়ামুহাম্মাদব্লু হোয়েল (খেলা)বাংলা ভাষাইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাভারতভূমি পরিমাপবাংলা ভাষা আন্দোলনমহাত্মা গান্ধীমিয়া খলিফামৌলিক পদার্থের তালিকাবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলপহেলা বৈশাখপদ্মা সেতুলোকসভা কেন্দ্রের তালিকামাইকেল মধুসূদন দত্তসুনীল ছেত্রীবাংলাদেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তালিকাবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহআসসালামু আলাইকুমপশ্চিমবঙ্গবাংলাদেশে পালিত দিবসসমূহশেখ হাসিনাবাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রীজয়নুল আবেদিন