সোনার কাজল
সোনার কাজল ১৯৬২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলা চলচ্চিত্র।[১][২] চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন কলিম শরাফী ও জহির রায়হান।[৩][৪][৫][৬] প্রযোজনা করেছেন এস. এস. মাসুদ চৌধুরী। অভিনয়ে ছিলেন খলিলউল্লাহ খান, সুমিতা দেবী, সুলতানা জামান, সুভাষ দত্ত প্রমুখ।[৭][৮][৯][১০]
সোনার কাজল | |
---|---|
পরিচালক | |
প্রযোজক | এস. এস. মাসুদ চৌধুরী |
রচয়িতা | কলিম শরাফী |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | কলিম শরাফী |
চিত্রগ্রাহক | কিউ. এম. জামান |
মুক্তি |
|
দেশ | পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ) |
ভাষা | বাংলা |
পরিচালক হিসেবে এটি ছিল কলিম শরাফীর প্রথম চলচ্চিত্র। এর পূর্বে ১৯৫৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত আকাশ ও মাটি চলচ্চিত্রে তার কন্ঠে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে প্রথমবারের মতো রবীন্দ্রসঙ্গীত যুক্ত হয়।
অভিনয়ে
নির্মাণ ইতিহাস
চলচ্চিত্রের কাহিনী মাথায় এলে কলিম শরাফী তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সহকর্মী শম্ভু মিত্রের সাথে যোগাযোগ করেন। তিনি কাহিনী শুনে এথেকে চলচ্চিত্র নির্মাণে উৎসাহিত করেন। এরপর তিনি জহির রায়হানের সাথে নির্মাণ বিষয়ে আলাপ করেন। চিত্রগ্রহণের জন্য নেওয়া হয় কে, এম, জামানকে।
এ চলচ্চিত্রের জন্য জহির রায়হান অভিনেতা আমিনকে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রযোজক মাসুদ চৌধুরীর অনুরোধে খলিলকে নিতে বাধ্য হন।[১১] তার সহযোগিতায় সোনার কাজল চলচ্চিত্রের মাধ্যমে খলিলের চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। খলিল আর আগে বেশ কয়েকটি নাটক ও মঞ্চে অভিনয় করেন।[১২][১৩][১৪] তার বিপরীতে অভিনয় করেন সুমিতা দেবী ও সুলতানা জামান।[১৫][১৬][১৭] এটি সুমিতা দেবীর অভিনীত ষষ্ঠ ছবি ও সুলতানা জামানের অভিনীত চতুর্থ চলচ্চিত্র।
সঙ্গীত
কলিম শরাফী চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেন। খান আতাউর রহমান ও কলিম শরাফী চলচ্চিত্রের গানগুলোতে কন্ঠ দেন।[১৮]
পুরস্কার এবং সম্মাননা
সোনার কাজল চলচ্চিত্রটি ১৯৬৩ সালে "শ্রেষ্ঠ বাংলা ছবি" হিসেবে পাকিস্তানের চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা 'নিগার পুরস্কার' লাভ করে।[১৯]
আরো দেখুন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
- পাকিস্তান মোশন পিকচার্স আর্কাইভ '৬২
- Pakistani Film Database – 1962 - Cineplot ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে