স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার ২
স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার ২ ২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ভারতীয় চলচ্চিত্র ছিল, যেটি পুনিত মালহোত্রা দ্বারা পরিচালিত এবং করণ জোহর, হিরু যশ জোহর ও অপুর্বা মেহতা দ্বারা প্রযোজিত।[৩][৪] এই চলচ্চিত্রটি হচ্ছে ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ারের সিক্যুয়েল।[৫] এই চলচ্চিত্রটি ফক্স স্টার স্টুডিওস পরিবেশনা করেছে। এই চলচ্চিত্রের মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন টাইগার শ্রফ।[৬] এটি ২০১৯ সালের ১০ই মে মুক্তি পেয়েছে।[৭]
স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার ২ | |
---|---|
পরিচালক | পুনিত মালহোত্রা |
প্রযোজক | করণ জোহর হিরু যশ জোহর অপূর্বা মেহতা |
শ্রেষ্ঠাংশে | টাইগার শ্রফ তারা সুতারিয়া অনন্যা পাণ্ডে |
সুরকার | বিশাল-শেখর |
প্রযোজনা কোম্পানি | ধর্মা প্রোডাকশন |
পরিবেশক | ফক্স স্টার স্টুডিওস |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৪৫ মিনিট[১] |
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি |
আয় | ৯৮.১৬ কোটি ₹[২] |
অভিনয়শিল্পী
- টাইগার শ্রফ – রোহান সাচদেভ
- তারা সুতারিয়া – মৃদুলা মিয়া চাওলা
- অনন্যা পাণ্ডে – শ্রেয়া রান্ধাওয়া
- সামির সনি – প্রধান শিক্ষক গুজরাল
উৎপাদন
এই চলচ্চিত্রটি ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ারের পরিশিষ্ট।[৮]
কাহিনি
রোহান মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে। ছোটবেলা থেকেই মৃদুলার সাথে বন্ধুত্ব ও প্রেম। সেও একই স্কুলে পড়ে। মৃদুলার বাবা বড়লোক। তাই মৃদুলা সেন্ট তেরেসায় ভর্তি হয়ে যায়। কিন্তু রোহান মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান হওয়ায় সেন্ট তেরেসায় পড়ার মতো আর্থিক অবস্থা নেই। পরে তার বাবা স্পোর্টস স্কলারশিপের মাধ্যমে তাকেও সেন্ট তেরেসায় ভর্তি করিয়ে দেয়। কলেজে শ্রেয়া ডান্স প্রাকটিস করার সময়ে রোহানের সাথে ঝগড়া হয় এবং এক পর্যায়ে শ্রেয়া অপমানিত হয়ে চলে যায়। এর পর থেকে শ্রেয়া বিভিন্নভাবে রোহানকে বোকা বানানোর চেস্টা করে। রোহানের সাথে শ্রেয়ার ভাই মানভের পরিচয় হয় যে কলেজে পর পর দুবার স্টুডেন্ট অফ ফ্যা ইয়ার হয়েছিলো। মানভ-শ্রেয়ার বাবা আবার কলেজের ট্রাস্টি। এদিকে আবার মৃদুলার স্বভাব অন্য রকম হয়ে যায়। সে রোহানের সাথে ঠিকভাবে কথাবার্তা বলে না। রোহান ব্যাপারটা বুঝতে পারে বাট কেনো সে এরকম করতেছে তা বুঝতে পারে না। আবার শ্রেয়ার দুষ্টামির ফলে রোহানের স্কুলের পুরোনো বন্ধুগুলো তাকে ভুল বুঝে ও তার সাথে ফ্রেন্ডশীপ ভেঙ্গে চলে যায় । আস্তে আস্তে কলেজের ডান্স কম্পিটিশনের সময় ঘনিয়ে আসে। তো কম্পিটিশনের একদম শেষ মুহুর্তে মৃদুলার সামান্য একটা ভুলের কারণে তারা কম্পিটিশন জিততে পারেনি। রাতে রোহান মৃদুলার সাথে দেখা করতে গিয়ে দেখলো মৃদুলা মানভের সাথে আছে। রোহান তখন বুঝে গেলো এতোদিন মৃদুলা রোহানকে ধোকা দিয়েছে এবং ডান্স কম্পিটিশনেও ইচ্ছে করেই মৃদুলা ভুল করেছিলো। রোহান রাগ করে মানভকে ঘুষি দেয় ও কষ্ট পেয়ে সেখান থেকে চলে যায়। পর দিন কলেজে দিয়ে আরেক ধাক্কা খায়। কলেজের হেডমাস্টার রোহানের হাতে টিসি ধরিয়ে দেয়। গতরাতের কথা মানভের বাবার কানে পৌছে যায় ও কলেজের হেডমাস্টারকে বলে দেয় যেনো রোহানকে কলেজ থেকে বের করে দেয়। রোহান চলে যাওয়ার সময়ে ক্যাম্পাসে রোহান আর মানভের মারামারি হয়। গার্লফ্রেন্ডের ধোকা, মানভের সাথে মারামারি, পুরোনো বন্ধুহারা হয়ে রোহান খুব একা হয়ে পড়ে। সে আবার তার পুরোনো কলেজে ভর্তি হয়। রোহান মানভকে তাকে হারিয়ে স্টুডেন্ট অফ দ্যা ইয়ার অর্জন করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। এমন সময়ে গল্পে শ্রেয়া আবার এন্ট্রি নেয়। শ্রেয়া রোহানকে জানায় মানভ সবদিক থেকে তার চেয়েও বেটার হওয়ায় পরিবারে তাকে তেমন পাত্তা দেয় না। সেও মানভকে দেখতে পারে না। শ্রেয়া জানায় শহরে একটা ডান্স কম্পিটিশন হবে যেটা কলেজ থেকেও বড় পরিসরে হবে। সেখানে জিতে তারা মানভ আর মৃদুলাকে হারিয়ে দিতে পারবে। রোহান রাজি হয়ে যায় ও তাদের মাঝে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। শ্রেয়া তার দুষ্টামির কথা রোহানের বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে ও তারা ভুল বুঝতে পেরে রোহানের সাথে আবার মিশে যায়। একসময় শ্রেয়া রোহানকে ভালোবেসে ফেলে। এদিকে মৃদুলাও তার ভুল বুঝতে পারে এবং সে আবার রোহানকে ফিরে পেতে চায়। সে রোহানের কাছে ক্ষমা চায়। রোহান আবারও মাঝে মাঝে তার পুরোনো ভালোবাসাকে ফিরে পেতে চায়। এতে শ্রেয়ার মন খারাপ হয়ে যায়। রোহান ব্যাপারটি বুঝতে পারে। নতুন ভালোবাসার জন্য ফিরে পাওয়া পুরোনো ভালোবাসাকে সে বিসর্জন দেয়। বিভিন্ন কলেজকে হারিয়ে রোহানরা ফাইনালে উঠে। আর অন্যান্য বারের মতো সেন্ট তেরেসারা ফাইনালে উঠে। রোহানরা কাবাড়ি খেলায় মানভদের হারিয়ে মানভের সামনে স্টুডেন্ট অফ দ্যা ইয়ার হয়।