স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি (গোলপার্ক)

স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি হল হিন্দু সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দের (১৮৬৩–১৯০২) একটি মূর্তি। এটি কলকাতার গোলপার্ক অঞ্চলে অবস্থিত। শ্বেতপাথরের তৈরি পুরনো মূর্তিটি ১৯৬৬ সালে উদ্বোধন হয়।[note ১] এটিই কলকাতা শহরে স্থাপিত স্বামী বিবেকানন্দের প্রথম মূর্তি। ২০০৫ সালে পুরনো মূর্তিটি বদলে একটি নতুন ব্রোঞ্জের মূর্তি বসানো হয়েছে।[২][৩]

স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি
নতুন ব্রোঞ্জ মূর্তি
শিল্পীঅনিত ঘোষ
বছর১৯৬৬[note ১] (পুরনো শ্বেতপাথরের মূর্তি)
২০০৫ (ব্রোঞ্জের মূর্তি)
ধরনমূর্তি
উপাদানশ্বেতপাথর (পুরনো মূর্তি)
ব্রোঞ্জ (নতুন মূর্তি)
বিষয়স্বামী বিবেকানন্দ
অবস্থানগোলপার্ক, কলকাতা
মালিককলকাতা পৌরসংস্থা, রামকৃষ্ণ মিশন

অবস্থান

গোলপার্ক দক্ষিণ কলকাতায় অবস্থিত। এটি একটি গোলাকার বেড়া-দেওয়া পার্ক। এটিকে ঘিরে রয়েছে গাড়ি চলার রাস্তা। মূর্তিটি পার্কের ঠিক মাঝখানে অবস্থিত। পার্কের পাশেই রয়েছে বিবেকানন্দ প্রতিষ্ঠিত রামকৃষ্ণ মিশনের শাখাকেন্দ্র রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচার[২]

ইতিহাস

পুরনো মূর্তি

পুরনো শ্বেতপাথরের মূর্তিটি ছিল সাত ফুট লম্বা। এটি বিবেকানন্দের মৃত্যুর ৬৪ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ১৯৬৬ সালে স্থাপন করা হয়।[note ১] ২০০৫ সালে নতুন মূর্তি স্থাপন করার জন্য এই মূর্তিটিকে মিশনের গোলপার্ক শাখাকেন্দ্রের মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয়।[৩]

ব্রোঞ্জ মূর্তি

২০০৫ সালে রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচার কর্তৃপক্ষ স্থির করে যে পুরনো শ্বেতপাথরের মূর্তিটি বদলে আরও বড়ো একটি ব্রোঞ্জ মূর্তি স্থাপন করা হবে। ইনস্টিটিউটের তৎকালীন অধ্যক্ষ স্বামী গহনানন্দ ২০০৫ সালের মে মাসে বলেন যে, গোল্পপার্ক ও দক্ষিণ কলকাতা শহুরে পরিবেশের সঙ্গে পুরনো মূর্তিটি মানানসই নয়। আশেপাশের আকাশচুম্বী বাড়িগুলির পাশে মূর্তিটিকে খুব ছোটো মনে হয়। তাই মিশনের সদস্যরা এটিকে পাল্টানোর অনুরোধ জানাচ্ছেন।[৩]

ব্রোঞ্জের মূর্তিটি বারো ফুট লম্বা ও এটি একটি আট ফুট লম্বা পাদপীঠের উপর স্থাপিত। গভর্নমেন্ট কলেজ অফ আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফটের অনিত ঘোষ মূর্তিটি বানান। কলকাতা পৌরসংস্থা এই কাজের জন্য বারো কোটি টাকা দেয়।[৩] তৎকালীন মহানাগরিক সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, মিশন সদস্যদের অনুরোধেই পৌরসংস্থার পক্ষ থেকে এই কাজের জন্য অর্থসাহায্যের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।[২][৩] তিনি আরও বলেন যে, পার্কের সামগ্রিক পুনর্গঠনের জন্য এটি প্রয়োজন ছিল।[৩]

মূর্তি স্থাপনের পর

২০০৬ সালে রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচারকে পার্ক ও আশেপাশের অঞ্চলের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেয় কলকাতা পৌরসংস্থা। ২০১০ সালে দু মাস ধরে পার্কটি নতুন করে সাজানো হয়। এই কাজের জন্য অর্থসাহায্য করেছিল টাইমস ফাউন্ডেশন। এরপর মূর্তিতে আলোকসজ্জারও ব্যবস্থা করা হয়।[১]

আরও দেখুন

পাদটিকা

টীকা

সূত্র

🔥 Top keywords: প্রধান পাতাবিশেষ:অনুসন্ধানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপকাজী নজরুল ইসলামবাংলাদেশ ডাক বিভাগশেখ মুজিবুর রহমানএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশছয় দফা আন্দোলনক্লিওপেট্রাবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪আবহাওয়ামুহাম্মাদব্লু হোয়েল (খেলা)বাংলা ভাষাইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাভারতভূমি পরিমাপবাংলা ভাষা আন্দোলনমহাত্মা গান্ধীমিয়া খলিফামৌলিক পদার্থের তালিকাবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলপহেলা বৈশাখপদ্মা সেতুলোকসভা কেন্দ্রের তালিকামাইকেল মধুসূদন দত্তসুনীল ছেত্রীবাংলাদেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তালিকাবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহআসসালামু আলাইকুমপশ্চিমবঙ্গবাংলাদেশে পালিত দিবসসমূহশেখ হাসিনাবাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রীজয়নুল আবেদিন