হিপ্পোলিটা
শাস্ত্রীয় গ্রীক পুরাণে, হিপ্পোলিটা ছিলেন গ্রীক যুদ্ধের দেবতা আরেস এবং আমাজনের রানী ওট্রেরার কন্যা, সেইসাথে অ্যান্টিওপ এবং মেলানিপের বোনও। তিনি তার বাবা আরেসের জোস্টার (কটিবন্ধ) পরিধান করতেন (এখানে গ্রীক শব্দ 'জোস্টার' পৌরণিক গ্রন্থ ইলিয়াড এবং অন্যান্য গ্রন্থেও পাওয়া যায় যার অর্থ "যুদ্ধের কোমরবন্ধ।" [১] [২]
হিপ্পোলিটা হেরাক্লিস এবং থিসিউস উভয়ের পৌরাণিক কাহিনীতে প্রধানভাবে স্থান পেয়েছে। তার সম্পর্কে পৌরাণিক কাহিনীগুলি এতটাই বৈচিত্র্যময় যে সেগুলি ভিন্ন ভিন্ন মহিলার ঘটনাও হতে পারে। [৩]
'হিপ্পোলিটা' নামটি গ্রীক মূলধাতু হতে উদ্ভূত, যার অর্থ "ঘোড়া" অথবা "ঢিলে দেওয়া।" [৪][৫]
কিংবদন্তি
হেরাক্লিসের নবম শ্রম
হেরাক্লিস বা হারকিউলিসের পুরাণে, হিপ্পোলিটার কোমরবন্ধনীই ছিল তার নবম শ্রমের বস্তু । রাজা ইউরিস্টিয়াসের কন্যা অ্যাডমেটের জন্য এটি পুনরুদ্ধার করতে তাকে পাঠানো হয়েছিল ।[৬][৭][৮][৯][১০][১১][১২] পৌরাণিক কাহিনীর অধিকাংশ সংস্করণ ইঙ্গিত দেয় যে, হিপ্পোলিটা তখন হেরাক্লিসের প্রতি এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে তিনি বিনা বিতর্কেই তাকে সে তার কোমরবন্ধটি দিয়ে দিয়েছিলেন। সিউডো-অ্যাপোলোডোরাস অনুসারে, তখন দেবী হেরা একজন আমাজনের রূপ নিয়ে তাদের মধ্যে একটি গুজব ছড়িয়েছিল যে হেরাক্লিস এবং তার সৈন্যদল তাদের রানীকে অপহরণ করছে। এতে করে ক্রুধিত হয়ে আমাজনরা হেরাক্লিসের জাহাজটি আক্রমণ করেছিল। পরবর্তীতে আক্রমণকারীদের সাথে লড়াইয়ের সময় হেরাক্লিস হিপ্পোলিটাকে হত্যা করে এবং তার কোমড়বন্ধ খুলে ফেলে এবং পালিয়ে যায়।
শেক্সপিয়রের চরিত্র হিসেবে
উইলিয়াম শেকসপিয়রের একটি প্রহসনমূলক নাটক ''এ মিডসামার নাইট'স ড্রিম' (১৫৯৫ অথবা ১৫৯৬ খ্রিষ্টাব্দে রচিত), যা মূলত এথেন্সের পৌরাণিক রাজা এবং প্রতিষ্ঠাতা বীর থিসিয়াস এবং হিপ্পোলিটার বিয়েকে ঘিরে রচিত।
হিপ্পোলিটার চরিত্রটি শেক্সপিয়ার এবং জন ফ্লেচারের সহ-রচিত একটি প্রহসন নাটক 'দ্য টু নোবেল কিন্সমেন'- এও দেখা যায় ।