এইচ. ডি. অ্যাকারম্যান

দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার
(HD Ackerman থেকে পুনর্নির্দেশিত)

হিল্টন ডিওন অ্যাকারম্যান (ইংরেজি: H. D. Ackerman; জন্ম: ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৩) কেপ টাউনে জন্মগ্রহণকারী সাবেক ও প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার।[১][২] বর্তমানে তিনি পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পার্থভিত্তিক গিল্ডফোর্ড গ্রামার স্কুলের প্রথমে একাদশ দলের কোচ ও কোচিং পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়াও, দক্ষিণ আফ্রিকাভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল সুপারস্পোর্টের ধারাভাষ্যকারের দায়িত্ব পালন করছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯৮ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।

এইচ. ডি. অ্যাকারম্যান
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
হিল্টন ডিওন অ্যাকারম্যান
জন্ম (1973-02-14) ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩ (বয়স ৫১)
কেপ টাউন, দক্ষিণ আফ্রিকা
ডাকনামগ্রেবুশ
উচ্চতা৫ ফুট ১১ ইঞ্চি (১.৮০ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাব্যাটসম্যান, কোচ, ধারাভাষ্যকার
সম্পর্কহিল্টন অ্যাকারম্যান (পিতা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৬৮)
২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮ বনাম পাকিস্তান
শেষ টেস্ট৩০ মার্চ ১৯৯৮ বনাম শ্রীলঙ্কা
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯৩/৯৪ - ২০০২/০৩ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স
২০০৩/০৪গটেং
২০০৩/০৪ - ২০০৪/০৫লায়ন্স
২০০৫ - ২০০৯লিচেস্টারশায়ার
২০০৫/০৬কেপ কোবরাস
২০০৬/০৭ - ২০০৭/০৮ওয়ারিয়র্স
২০০৮/০৯ - ২০০৯/১০ডলফিন্স
২০০৯/১০কোয়াজুলু-নাটাল
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতাটেস্টএফসিএলএটি২০
ম্যাচ সংখ্যা২২০২২৬৫৫
রানের সংখ্যা১৬১১৪,৬২৫৬,৩২৭১,৮১১
ব্যাটিং গড়২০.১২৪৩.৬৫৩২.৬১৩৭.৭২
১০০/৫০০/১৪০/৭৫৪/৪১০/১৭
সর্বোচ্চ রান৫৭৩০৯*১৩৯৮৭
বল করেছে১০২৪৮
উইকেট
বোলিং গড়
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং১/–১৮৩/–৮২/–১৩/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩০ জুন ২০১৯

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ওয়ারিয়র্স, ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স, কেপ কোবরাস, গটেং, ডলফিন্স, কোয়াজুলু-নাটাল ও লায়ন্স এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে লিচেস্টারশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংশৈলী প্রদর্শন করতেন ‘গ্রেবুশ’ ডাকনামে পরিচিত এইচ. ডি. অ্যাকারম্যান

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে এইচ. ডি. অ্যাকারম্যানের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটে। ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সে থাকাকালে অত্যন্ত উঁচুমানের শীর্ষসারি ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিতি ঘটান এইচ. ডি. অ্যাকারম্যান। সূচনালগ্নেই বোলিং আক্রমণ যথাযথভাবে মোকাবেলায় যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিতেন। তবে, উইকেটে স্থিতির মুহুর্তে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে আসতেন।

দক্ষিণ আফ্রিকা এ দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। এরপর ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে চমৎকারভাবে ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশ নেন। ফলশ্রুতিতে, ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার জন্যে তাকে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের অধিনায়কত্ব ত্যাগ করে ২০০২-০৩ মৌসুম শেষে গটেংয়ে চলে যায়। সেখানেও তিনি দলকে নেতৃত্ব দেন। কিন্তু, ২০০৪-০৫ মৌসুমের সূচনাতেই বিস্ময়করভাবে পদত্যাগ করেন।

কাউন্টি ক্রিকেট

দক্ষিণ আফ্রিকা ছেড়ে ইংল্যান্ডে কোলপ্যাক খেলোয়াড় হিসেবে আবির্ভূত হন। কোলপ্যাক নিয়মের আওতায় ২০০৫ সালে লিচেস্টারশায়ারের সদস্যরূপে কাউন্টি ক্রিকেটে অংশ নেন। এরফলে তাকে বহিরাগত খেলোয়াড় হিসেবে নিবন্ধন করতে হয়নি।

২০০৫ সালে লিচেস্টারশায়ারের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। তবে, একদিনের ক্রিকেটে খুব কমই সফলতা পেয়েছিলেন। তবে, ২০০৬ সালে তার পরিবর্তে জেরেমি স্ন্যাপকে অধিনায়কের দায়িত্বভার অর্পণ করা হয়। ২০০৬ সালে ব্যাটিংয়ের দিকে মনোনিবেশ ঘটান। তাৎক্ষণিকভাবে এর ফলাফলও পান তিনি। সোফিয়া গার্ডেন্সে গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে অপরাজিত ৩০৯ রানের ইনিংস খেলেন। এটিই লিচেস্টারশায়ারের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে কোন ব্যাটসম্যানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস হিসেবে বিবেচিত।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করতে পেরেছিলেন এইচ. ডি. অ্যাকারম্যান। ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৮ তারিখে ডারবানে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার।[৩] ৩০ মার্চ, ১৯৯৮ তারিখে সেঞ্চুরিয়নে সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন।[৪] সবগুলো টেস্টই তিনি ১৯৯৮ সালে খেলেছিলেন। প্রথমে ইনিংসে ৫৭ রানের দূর্দান্ত ইনিংস খেললেও পরবর্তীতে তিনি আর তার প্রতিশ্রুতিশীলতার স্বাক্ষর ধরে রাখতে পারেননি।

পাকিস্তানের বিপক্ষে দুইটি ও এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুইটি টেস্টে অংশ নেন। তবে, উল্লেখযোগ্য রান পেতে ব্যর্থ হন ও দল থেকে বাদ পড়েন। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যথাক্রমে মুশতাক আহমেদমুত্তিয়া মুরলিধরনের ন্যায় শীর্ষমানের স্পিনারদের বিপক্ষে তার ব্যাটিং দূর্বলতা সবিশেষ লক্ষণীয় ছিল।

তাসত্ত্বেও তিনি দল নির্বাচকমণ্ডলীর তীক্ষ্ণ নজরে ছিলেন। ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খসড়া তালিকায় তাকে রাখা হয়। এরপর আর কোন সুযোগ পাননি।

ব্যক্তিগত জীবন

অ্যাকারম্যানের পিতা হিল্টন অ্যাকারম্যান দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ডার, নাটাল, নর্দার্ন ট্রান্সভাল ও ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স এবং ইংল্যান্ডে নর্দাম্পটনশায়ারের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলাসহ অবশিষ্ট বিশ্ব একাদশ ক্রিকেট দলের সদস্যরূপে ১৯৭১/৭২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে খেলেছিলেন।

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: প্রধান পাতাবিশেষ:অনুসন্ধানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপকাজী নজরুল ইসলামবাংলাদেশ ডাক বিভাগশেখ মুজিবুর রহমানএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশছয় দফা আন্দোলনক্লিওপেট্রাবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪আবহাওয়ামুহাম্মাদব্লু হোয়েল (খেলা)বাংলা ভাষাইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাভারতভূমি পরিমাপবাংলা ভাষা আন্দোলনমহাত্মা গান্ধীমিয়া খলিফামৌলিক পদার্থের তালিকাবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলপহেলা বৈশাখপদ্মা সেতুলোকসভা কেন্দ্রের তালিকামাইকেল মধুসূদন দত্তসুনীল ছেত্রীবাংলাদেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তালিকাবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহআসসালামু আলাইকুমপশ্চিমবঙ্গবাংলাদেশে পালিত দিবসসমূহশেখ হাসিনাবাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রীজয়নুল আবেদিন