পাকিস্তানি পাসপোর্ট
পাকিস্তানি পাসপোর্ট (উর্দু: پاکستانی پاسپورٹ) আন্তর্জাতিক ভ্রমণের উদ্দেশ্যে পাকিস্তানি নাগরিকদের প্রদান করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের [১] অভিবাসন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর প্রধান (DGIP) কর্তৃক আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ও পাকিস্তানি দূতাবাস থেকে এটি প্রদান করা হয়। ২০১৪ সালের জানুয়ারী থেকে পাকিস্তানি পাসপোর্ট ৫ বা ১০ বছরের জন্য বৈধ। [২] পাকিস্তানি আইন অনুসারে, ইসরায়েল ভ্রমণের জন্য পাকিস্তানি পাসপোর্ট বৈধ নয়। পাকিস্তানি পাসপোর্টধারীরা বিনা ভিসায় অথবা আগমনকালীন ভিসা নিয়ে ৩৯টি দেশে যাওয়ার যোগ্য।
পাকিস্তানি পাসপোর্ট | |
---|---|
প্রচলন শুরুর তারিখ | ১৪ আগস্ট ১৯৪৭ |
প্রদানকারী সংস্থা | স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় |
যেখানে ব্যবহার্য | ইসরাইল ব্যতীত সকল দেশ |
প্রকার | পাসপোর্ট |
উদ্দেশ্য | শনাক্তকরণ |
প্রদানের যোগ্যতা | পাকিস্তানি নাগরিকত্ব |
মেয়াদ | ৫/১০ বছর |
খরচ | রুপি৩,০০০ (এক্সপ্রেশন ত্রুটি: অপরিচিত শব্দ "roundusd"।) - ৫ বছর মেয়াদী রুপি৫,৪০০ (US$৩৪)- ১০ বছর মেয়াদী |
পাকিস্তানি পাসপোর্ট মেশিন-পঠনযোগ্য এবং বায়োমেট্রিক। ২০০৪ অবধি পাকিস্তানি পাসপোর্টে বহনকারীদের হাতে লেখা বিবরণ, পাসপোর্টের ছবিটি কভার পৃষ্ঠায় আটকানো ছিল। ২০০৪ সাল থেকে পাসপোর্টগুলোর সামনে এবং পিছনের উভয় প্রচ্ছদ সমাপ্তিতে পরিচয় সম্পর্কিত তথ্য রয়েছে। এই উভয় পৃষ্ঠাগুলো পরিবর্তন রোধ করতে স্তরিত। ২০০৪ সালে পাকিস্তান বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট প্রদান করতে শুরু করে [৩] যা আইসিএও অনুসরণ করতো না কারণ তারা "অভ্যন্তরীণ চিপ" () প্রতীকটি রাখেনি। [৪] ২০১২ সালে পাকিস্তান আইসিএও-কমপ্লায়েন্ট মাল্টি-বায়োমেট্রিক ই-পাসপোর্ট গ্রহণ করেছে। [৫] স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে ২০১৩ সালে বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট চালু করা হয়েছিল। [৬] পাকিস্তানি পাসপোর্ট ইসলামাবাদের ডিজিআইপি সদর দফতরে ছাপা হয়। [৭]
প্রকারভেদ
পাসপোর্ট আইন, ১৯৭৪ এবং পাসপোর্ট ও ভিসা সহায়িকা ১৯৭৪ পাসপোর্ট প্রদান নিয়ন্ত্রণ করে। পাকিস্তান তিন ধরনের পাসপোর্ট প্রদান করে: [৮]
- কূটনীতিক পাসপোর্ট - কূটনীতিক এবং অন্যান্য অধিকারী বিভাগগুলোতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রদান করে। [৯]
- সরকারী পাসপোর্ট - সিনেটর, জাতীয় পরিষদের সদস্য, প্রাদেশিক মন্ত্রীরা, সর্বোচ্চ/উচ্চ আদালতের বিচারকগণ, বিদেশে যখন সরকারী কার্যভারে বিদেশে সরকারে কর্মরত অফিসার ইত্যাদিকে প্রদান করা হয় - বাইরের প্রচ্ছদের রঙ নীল। [১০]
- সাধারণ পাসপোর্ট - বাইরের প্রচ্ছদের রঙ সবুজ।
সৌদি আরবের মক্কায় হজ করার আগে তাদের জন্য একটি বিশেষ হজ পাসপোর্ট প্রদান করা হতো। এগুলো এখন আর প্রদান করা হয় না এবং এখন সাধারণ পাসপোর্ট হজের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য
- পিকেআই - পাবলিক কী অবকাঠামো
- আরএফআইডি চিপ
- বায়োমেট্রিক বৈশিষ্ট্য যেমন ফেসিয়াল এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট
- আইপিআই- অদৃশ্য ব্যক্তিগত আইডি
- দ্বিমাত্রিক বার কোড
- মেশিন-পঠনযোগ্য অঞ্চল (এমআরজেড)
- সুরক্ষা স্তর এবং স্তরিত
- অতিবেগুনীতে মাইক্রো-প্রিন্টিংয়ের বৈশিষ্ট্য রয়েছে
- হলোগ্রাম
- জলছাপযুক্ত কাগজ
- সুরক্ষা কালি
- ৩ রঙের ইন্টিগলিও প্রিন্টিং
- গিলোচের প্যাটার্ণ
চাক্ষুষ অবয়ব
সাধারণ পাকিস্তানি পাসপোর্টগুলোতে সোনালি রঙের সামগ্রীসহ গভীর সবুজ প্রচ্ছদ থাকে। সামনের প্রচ্ছদটির কেন্দ্রবিন্দুতে পাকিস্তানের প্রতীকটি আলোকিত রয়েছে। 'Islamic Republic of Pakistan' (ইংরেজি) শব্দগুলো প্রতীকের উপরে এবং "উর্দু: اسلامی جمہوریہ پاکستان", "উর্দু: پاسپورٹ" এবং "Passport" (ইংরেজি) প্রতীকচিহ্নের নিচে খোদিত আছে আদর্শ পাসপোর্টে ৩৬ পৃষ্ঠা রয়েছে, তবে ঘন ঘন ভ্রমণকারীরা ৭২ বা ১০০ পৃষ্ঠার পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারেন।
পাসপোর্টধারীর পরিচয়
- শুরুর প্রচ্ছদ প্রান্তে নিম্নলিখিত তথ্য রয়েছে:
- পাসপোর্টধারীর ছবি
- ধরন:
- *'পি'-এর অর্থ "ব্যক্তিগত",' ডি'-এর অর্থ "কূটনীতিক", - এস'-এর অর্থ "পরিষেবা"
- কান্ট্রি কোড
- পাসপোর্ট নম্বর
- পদবি
- প্রদত্ত নাম
- জাতীয়তা
- জন্ম তারিখ
- নাগরিকত্বের নম্বর
- লিঙ্গ
- জন্মস্থান
- বাবার নাম
- প্রদানের তারিখ
- মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ
- প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ
- ট্র্যাকিং নম্বর
- পুস্তিকা নম্বর
- নিয়মিত পুস্তিকার প্রথম পৃষ্ঠায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতির টীকা রয়েছে (পরে উল্লেখ করা হয়েছে)।
- ২য় পৃষ্ঠায় শীর্ষে ANNOTATION উল্লেখ করা হয়েছে এবং নিম্নলিখিতটি রয়েছে
- ধর্ম
- পূর্ববর্তী পাসপোর্ট নম্বর (যদি থাকে)
- পাসপোর্টধারীর স্বাক্ষর
- তৃতীয় পৃষ্ঠায় ঘোষণা করা হয়েছে যে পাসপোর্ট ইস্রায়েল ছাড়া বিশ্বের সমস্ত দেশে ভ্রমণের জন্য বৈধ।
১৯৪৮ সালে পাসপোর্ট
৩০১ শেয়ার দ্য হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স (এইচপিআই) - তাদের নাগরিকদের ভ্রমণের স্বাধীনতা অনুসারে দেশগুলির বার্ষিক বৈশ্বিক র্যাঙ্কিং - ১৯৯২ বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক এবং স্বল্পতম শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় পাকিস্তানের পাসপোর্টকে #১০২ তম স্থান দিয়েছে।
এইচপিআই ২০০৬ সাল থেকে এই তালিকাটি সংকলন এবং প্রদান করে আসছে যা এই দেশগুলোর নাগরিকরা ভিসা না নিয়েই যে সমস্ত গন্তব্যে যেতে পারে তার সংখ্যা অনুযায়ী এক শতাধিক দেশ থেকে পাসপোর্টের তালিকা ও তালিকা তৈরি করে।
তালিকার নিচের অর্ধেকের মধ্যে পাকিস্তানের পাসপোর্ট অবিচ্ছিন্নভাবে দেখা গেছে। যদিও ২০০৬ সালে বৈশ্বিক পাসপোর্ট র্যাঙ্কিং চালু করা হয়েছিল, তবে এটি বিশ্বাস করা হয় যে যদি ২০০৬ এর আগে দেশটির পাসপোর্টের এইচপিআই র্যাঙ্কিং এবং স্কোরিং মডেল ব্যবহার করে অনুসন্ধান করা হতো, তবে ১৯৬১ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানি পাসপোর্ট বিশ্বের শীর্ষ ৩০টি পাসপোর্টের মধ্যে একটি হতো।
২০০৬: #৭৯ 2007: # 83 2008: # 87 2009: # 87 2010: # 90 2011: # 99 2012: # 100 2013: # 91 2014: # 92 2015: # 103 2016: # 103 2017: # 102
পাসপোর্ট টীকা
পাসপোর্টগুলোতে সমস্ত রাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষকে সম্বোধন করে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতির একটি টীকা রয়েছে, বহনকারীকে ইসলামী প্রজাতন্ত্রী পাকিস্তানের নাগরিক হিসাবে চিহ্নিত করে এবং বাহককে বিনা বাধায় অবাধে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া এবং কোন প্রয়োজনে সহায়তা ও সুরক্ষিত করার অনুরোধ করা হয়েছে । পাকিস্তানি পাসপোর্টগুলোর টীকাতে বলা হয়েছে:
ভিসার প্রয়োজনীয়তা
২০১৯ সালে পাকিস্তানি নাগরিকদের ৩৩টি দেশ এবং অঞ্চলে ভিসা-মুক্ত বা ভিসা অন আগমন প্রবেশাধিকার রয়েছে।
আরও দেখুন
- পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভিসার প্রয়োজনীয়তা
- পাকিস্তানের ভিসা নীতি