মুসা বিন নুসাইর
সরঞ্জাম
সাধারণ
মুদ্রণ/রপ্তানি
অন্যান্য প্রকল্পে
মুসা বিন নুসাইর (আরবি: موسى بن نصير Mūsá bin Nuṣayr; ৬৪০–৭১৬) ছিলেন উমাইয়া খলিফা প্রথম আল ওয়ালিদের অধীনস্থ একজন গভর্নর ও সেনাপতি। তিনি উত্তর আফ্রিকার (ইফ্রিকিয়া) মুসলিম প্রদেশ শাসন করেন। মুসলিমরা হিস্পানিয়ার(স্পেন, পর্তুগাল, আন্ডোরা ও ফ্রান্সের অংশবিশেষ) ভিসিগথ সাম্রাজ্য জয়ের সময় তিনি অভিযানে নির্দেশনা দেন।
তার পূর্বপুরুষদের ব্যাপারে বেশ কিছু অভিমত আছে। কারো মতে তার পিতা ফোরাতের পূর্বপাড়ে বসবাসকারী আধা যাযাবর গোষ্ঠী লাখমিয় গোত্রের সদস্য ছিলেন এবং সাসানীয়দের মিত্র ছিলেন।[১] অন্যদের মতে তিনি বনু বকর কনফেডারেশনের সদস্য ছিলেন।[২] আল তাবারির বর্ণনায় তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়।[৩] তার মতে মুসার পিতা সিরিয়ান শহর আইন আল তামরের পতনের পর বন্দী হন। এ বর্ণনা অনুযায়ী অনুযায়ী তার পিতা পারস্য উদ্ভূত খ্রিষ্টান ছিলেন। অন্যদিকে আহমাদ ইবনে ইয়াহিয়া আল বালাদুরি একই ঘটনার উল্লেখ করে তাকে সিরিয়ার জাবাল আল জালিলের বালি গোত্রের আরব হিসেবে চিহ্নিত করেন।[৪][৫]
মুসার পিতা দাস হিসেবে তৎকালীন সিরিয়ার গভর্নর ও খলিফা প্রথম মারওয়ানের পুত্র আবদুল আজিজ ইবনে মারওয়ানের অধীনে কাজ করতেন। মারওয়ান তাকে মুক্তি দিয়েছিলেন।[৬] তিনি সিরিয়ায় ফিরে আসেন। সিরিয়ার কাফারমারা বা কাফারমাসরা নামক স্থানে মুসা জন্মগ্রহণ করেন।[৭] তার জন্মসাল হিসেবে ৬৪০ খ্রিষ্টাব্দ উল্লেখ আছে।[৮]
খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ান মুসাকে ইরাকের সহকারী গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেন। সেখানে করের অর্থ নিয়ে বিরোধের কারণে মুসার সামনে দুটি পছন্দের একটি বেছে নিতে বলা হয়: বিরাট অঙ্কের জরিমানা দেয়া, নাহয় নিজের মৃত্যুর মাধ্যমে তা পরিশোধ করা। তার পিতার পৃষ্ঠপোষক আবদুল আজিজ ইবনে মারওয়ান মুসার পক্ষাবলম্বন করেন এবং মুক্তিপণের অর্থ পরিশোধ করেন।[৯] পরে তিনি মুসাকে ইফ্রিকিয়ার গভর্নর হিসেবে নিয়োগে ভূমিকা রেখেছিলেন।
মুসলিম ও খ্রিস্টান সূত্রগুলি উদ্ধৃত করে যে মুসা বিন নাসের জিব্রাল্টারের সমুদ্রসীমা পার হয়ে হিস্পানিয়ায় যাওয়ার জন্য আগ্রহী ছিলেন৷ তখনই তিনি দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ ছিলেন যখন একজন ভিজিগোথ আভিজাত্য জুলিয়ান, সিউতার কাউন্ট
তাকে জনগণের কথা জানিয়ে আইবেরিয়ায় আক্রমণ করতে উত্সাহিত কল। তাদের রাজা, রডেরিকের দুর্ভোগ এবং অন্যায় অবিচার যখন পাওয়া যেত সেই ধন-সম্পদ এবং হিস্পানিয়ার অনেক প্রাসাদ, উদ্যান এবং সৌন্দর্য সম্পর্কে তাকে জানিয়ে বিজয়ের কারণ জানা কিংবদন্তি বলে যে জুলিয়ান ভিসিগথিক রাজ্যের পতনের জন্য আকাঙ্ক্ষা করেছিল কারণ তার মেয়ে ফ্লোরিডা লা কাভা রোডরিক দ্বারা ধর্ষণ করেছিলেন। জনশ্রুতিতে বলা হয়েছে যে জুলিয়ান ভিসিগথিক রাজ্যের পতনের জন্য আকাঙ্ক্ষা করেছিলেন কারণ তার মেয়ে ফ্লোরিডা লা কাভা রোডরিক দ্বারা ধর্ষণ করেছিলেন। জনশ্রুতিতে বলা হয়েছে যে জুলিয়ান ভিসিগথিক রাজ্যের পতনের জন্য আকাঙ্ক্ষা করেছিলেন কারণ তার মেয়ে ফ্লোরিডা লা কাভা রোডরিক দ্বারা ধর্ষণ করেছিলেন।[১০][১১]
তারিফায় স্পেনীয় উপকূলে একটি সফল ছোটখাটো আক্রমণ চালানোর পরে যেখানে আক্রমণাত্মক বাহিনী কোনও প্রতিরোধ ছাড়াই বন্দি লুঠ নিয়ে ফিরে এসেছিল, মুসা আরও বড় আক্রমণ বাহিনী নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তারিক বিন যিয়াদ আনুমানিক ৭,০০০ বারবার এবং আরবদের নিয়ে জিব্রাল্টার প্রণালী অতিক্রম করে জিব্রাল্টারে অবতরণ করেন। এই অভিযানের উদ্দেশ্য অবশ্যই আরও অভিযান পরিচালনা এবং অঞ্চলটি সন্ধান করা ছিল। তারিকের সেনাবাহিনীতে জুলিয়ানের সরবরাহকারী কিছু গাইড ছিল। তাঁর অবতরণের তিন সপ্তাহ পরে, মুসলমানরা রোডেরিকের অধীনে এক লক্ষ সৈন্যের একটি উচ্চতর ভিসিগথ রাজকীয় সেনাবাহিনীর মুখোমুখি হয়েছিল।[১২]
পূর্বসূরী হাসান ইবনে নুমান | ইফ্রিকিয়ার গভর্নর ৭০৩–৭১৫ | উত্তরসূরী মুহাম্মদ ইবনে ইয়াজিদ |
পূর্বসূরী তারিক বিন জিয়াদ | আল আন্দালুসের গভর্নর ৭১২–৭১৪ | উত্তরসূরী আবদুল আজিজ ইবনে মুসা |