অরোভিল
সরঞ্জাম
সাধারণ
মুদ্রণ/রপ্তানি
অন্যান্য প্রকল্পে
অরোভিল | |
---|---|
শহর | |
ডাকনাম: ভোরের শহর | |
স্থানাঙ্ক: ১২°০′২৫″ উত্তর ৭৯°৪৮′৩৮″ পূর্ব / ১২.০০৬৯৪° উত্তর ৭৯.৮১০৫৬° পূর্ব / 12.00694; 79.81056 | |
Country | ভারত |
State | তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরি |
District | ভিলুপ্পুরম |
প্রতিষ্ঠাতা | শ্রীমা |
জনসংখ্যা (২০১৮) | |
• মোট | ২,৮১৪ |
বিশেষণ | Aurovilian,[১] Aurovillian[২] |
Languages | |
• Official | তামিল, ইংরাজী এবং ফরাসি |
সময় অঞ্চল | IST (ইউটিসি+5:30) |
PIN | ৬০৫ ১০১ |
Telephone code | ০৪১৩ |
যানবাহন নিবন্ধন | TN-16, PY-01 |
ওয়েবসাইট | www.auroville.org |
অরোভিল (ইংরেজি: Auroville) ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের ভিল্লুপুরম জেলার বেশির ভাগ অংশে ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরির কিছু অংশে বিস্তৃত বিংশ শতকের ষাটের দশকে পরীক্ষামূলক ভাবে গোড়া পত্তন ঘটে বিশ্বমানতার স্বপ্নের শহরের।[৩] চেন্নাই থেকে প্রায় দেড়শো কিলোমিটার ও পুদুচেরি হতে প্রায় বারো কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত ছোট্ট নগর। ফরাসি ভাষায় 'aurore' শব্দের অর্থ প্রভাত বা ভোর আর ville শব্দের অর্থ নগরী। সেই অর্থে অরোভিল হল "প্রভাত নগরী" বা "ভোরের শহর"। আবার অন্য মতে অনেকে বলেন অরোভিল শব্দ টি এসেছে অরো অর্থাৎ ভারতের বিশিষ্ট দার্শনিক ও তার আধ্যাত্মিক গুরু ও যোগী শ্রী অরবিন্দের নাম থেকেই। শ্রীমা অর্থাৎ মীরা আলফাসা তার গুরুর স্বপ্নকে সার্থকরূপ দিতে ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দের ২৮ ফেব্রুয়ারি এই নগরীর পত্তন করেন। নগরীর স্থপতি ছিলেন রজার অ্যাঙ্গার নামের এক বৃটিশ আর্কিটেক্ট। [৪][৫][৬]
১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে ২৪ শে নভেম্বর পণ্ডিচেরিতে প্রতিষ্ঠিত হয় 'শ্রীঅরবিন্দ আশ্রম'। তবে এই আশ্রম প্রতিষ্ঠার এক মাসের মধ্যেই আশ্রমের যাবতীয় ভার মীরা আলফাসা তথা শ্রীমায়ের হাতে দিয়ে নিজে অন্তরালে চলে যান তার গুরু ঋষি অরবিন্দ। শ্রীঅরবিন্দ সোসাইটির কার্যকরী সভাপতি শ্রীমা শ্রীঅরবিন্দের নির্দেশিত পথে যোগ সাধনা করতে সঠিক পরিবেশের প্রয়োজন অনুভব করলেন। শেষে ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে পণ্ডিচেরিতে শ্রীঅরবিন্দ সোসাইটির এক বার্ষিক সম্মেলনে মীরা আলফাসার সভাপতিত্বে অরবিন্দের দর্শনের উপর ভিত্তি করে একটি নগরী পত্তন করার পরিকল্পনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তার কিছু বছর পর ইউনেস্কার সহায়তায় শ্রীঅরবিন্দ সোসাইটির শ্রীমা মীরা আলফাসা অরোভিল শহর প্রতিষ্ঠা করেন। [৭] ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে মীরা আলফাসা জনসমক্ষে এক বিবৃতিতে বলেন [৮]
অরোভিল একটি সর্বজনীন শহর হতে চায় যেখানে বর্ণ, রাজনীতি ও জাতীয়তা নির্বিশেষে সকল দেশের নারী ও পুরুষ শান্তি ও প্রগতির সাথে বাস করতে সক্ষম হবে।
১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দের ২৮ শে ফেব্রুয়ারি বুধবার শ্রীমা ভারতের প্রতিটি রাজ্যের, বিশ্বের ১২৪ টি দেশের প্রতিনিধিসহ ৫০০০ মানুষের উপস্থিতিতে নগরীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। প্রত্যেক প্রতিনিধি নিজ নিজ দেশের কিছু মাটি সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন। সবার জন্মভূমির মাটি একত্রে মিশ্রিত করে একটি সাদা মার্বেলে তৈরি কমলাকৃতির কলসে রাখা হয়। অরোভিল শহরে জীবনযাপনের জন্য শ্রীমা যে দৃষ্টিভঙ্গি স্থির করে ছিলেন তা ফরাসি ভাষায় তিনি নিজের হাতে লিখে চার দফা সনদের আকারে পেশ করেন - [৯]
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে মানব একতার প্রতীক হিসেবে সংগৃহীত মাটি কমলাকৃতি কলস কেন্দ্র করে মহাবিশ্বের প্রতীক হিসেবে ১৪০০ টি সোনার প্রলেপ দেওয়া বড় বড় চাকতি দিয়ে এক স্বর্ণ-গোলক তৈরি করা হয়েছে। শহরে কেন্দ্রস্থলে নির্মিত এটি মাতৃমন্দির নামে পরিচিত এবং উপাসনাগার হিসাবে ব্যবহৃত হয়।[১০] মাতৃমন্দিরের আশেপাশের পুরো অঞ্চলটিকে শান্তির অঞ্চল বলা হয়। মাতৃমন্দিরের অভ্যন্তরে, একটি সর্পিলাকার রযাম্প মধ্য দিয়ে একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সাদা মার্বেলের কক্ষের দিকে নিয়ে যাওয়া যায় যেখানে উপাসনার মাধ্যমে "নিজের চেতনার সন্ধান” প্রাপ্তি ঘটে।
মাতৃমন্দিরে সৌর-বিদ্যুতের ব্যবস্থা আছে। নিপুণভাবে পরিচর্যার মাধ্যমে সজ্জিত উদ্যান চারিদিক ঘিরে আছে মন্দিরটিকে। সূর্যাস্তের পরে সৌর-বিদ্যুতের সাহায্যে গোলকটিকে আলোকিত রাখা হয়।
অরোভিলের নগর পরিকল্পনাটিও মনোমুগ্ধকর। নগর পরিকল্পনা অনুযায়ী শহরের বাইরের দিকে আছে প্রশস্ত এলাকা জুডে সবুজ গাছপালা পরিবেষ্টিত ‘গ্রিন বেল্ট’। এই স্থানে পরিবেশ গবেষণার কাজে ও প্রাকৃতিক সম্পদ অঞ্চল হিসাবে ব্যবহৃত হয়। খামার ,বনজ সম্পদ খাদ্য, ভেষজ উদ্ভিদ পরিবেষ্টিত এই অংশ। মধ্যবর্তী মোটামুটি চারটি অঞ্চলে প্রসারিত সেগুলি হল - আবাসিক অঞ্চল, শিল্প অঞ্চল, সাংস্কৃতিক (ও শিক্ষা) অঞ্চল এবং আন্তর্জাতিক অঞ্চল।শহরের অভ্যন্তর ভাগেও নগর ও নিসর্গের মেলবন্ধনের ব্যবস্থা আছে।
যোগ সমন্বয় | ||
---|---|---|
প্রবর্তক |
| |
ধারণা ও গ্রন্থাবলি |
| |
প্রতিষ্ঠান |
| |
গুরুত্বপূর্ণ স্থান |
| |
সম্পর্কিত ব্যক্তিবর্গ |
|