এমাজউদ্দিন আহমেদ | |
---|---|
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য | |
কাজের মেয়াদ ১ নভেম্বর ১৯৯২ – ৩১ আগস্ট ১৯৯৬ | |
পূর্বসূরী | মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মিঞা |
উত্তরসূরী | শহিদ উদ্দিন আহমেদ |
ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভের উপাচার্য | |
কাজের মেয়াদ ২০০২ – ২০১৬ | |
উত্তরসূরী | রফিকুল ইসলাম শরীফ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | (১৯৩৩-১২-১৫)১৫ ডিসেম্বর ১৯৩৩ মালদহ, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত |
মৃত্যু | ১৭ জুলাই ২০২০(2020-07-17) (বয়স ৮৬) |
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
দাম্পত্য সঙ্গী | সেলিমা আহমেদ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী |
|
পেশা | শিক্ষাবিদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী |
পুরস্কার | একুশে পদক (১৯৯২) |
অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমদ (১৫ ডিসেম্বর ১৯৩৩ – ১৭ জুলাই ২০২০) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী। তিনি ১৯৯২ সালে একুশে পদক লাভ করেন।[১]
প্রফেসর ড. এমাজউদ্দিন আহমদ ১৯৩৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর তৎকালীন মালদহ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও ভারতের কিছু অংশ) জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।[২] চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের ‘গোহাল বাড়ি’ এলাকায় পরিবারসহ দীর্ঘদিন বসবাস করেন প্রফেসর এমাজউদ্দিন। তিনি শিবগঞ্জের আদিনা সরকারি ফজলুল হক কলেজ ও রাজশাহী কলেজের প্রাক্তন ছাত্র।
মহান ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে, ১৯৫২ এর পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছাত্রনেতা হিসেবে অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ কারাবরণও করেন। যুক্তরাষ্ট্র কেন্দ্রিক নব্বই দশকের সর্বাপেক্ষা ‘প্রশংসিত বাঙালি ব্যক্তিত্ব’ ছিলেন।
রাজশাহী কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করার পর তিনি সরকারী কলেজের প্রভাষক হিসাবে সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন। তিনি পরে কলেজের অধ্যক্ষ হন। ১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে তাকে কানাডার অন্টারিওর কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বৃত্তি দেওয়া হয়েছিল। সেখানে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে গবেষণার জন্য পিএইচডি লাভ করেন। পরে সেখান থেকে বাংলাদেশে ফিরে এসে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন। পরে তিনি অধ্যাপক হন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য এবং উপাচার্য (১ নভেম্বর ১৯৯২-৩১ আগস্ট ১৯৯৬) হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন।[৩] তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (ইউডা) ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি ছিলেন।
তিনি দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে তুলনামূলক রাজনীতি, প্রশাসন-ব্যবস্থা, বাংলাদেশের রাজনীতি, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি, দক্ষিণ এশিয়ার সামরিক বাহিনী সম্পর্কে গবেষণা করেছেন। এসব ক্ষেত্রে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় তিনি বিশেষজ্ঞ হিসেবেও প্রখ্যাত। তার লিখিত গ্রন্থের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। দেশ বিদেশের খ্যাতনামা সাময়িকীতে তার প্রকাশিত গবেষণামূলক প্রবন্ধের সংখ্যা শতাধিক।তার লিখিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
এছাড়াও ইংরেজিতে অনেক মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেছেন তিনি।
শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান এবং সৃজনশীল লেখার জন্যে তিনি দেশ ও বিদেশে বিশেষভাবে সম্মানিত হয়েছেন। সৃষ্টিশীল গবেষণা ও আলেখ্য রচনার জন্য ‘মহাকাল কৃষ্টি চিন্তা সংঘ স্বর্ণপদক’, জাতীয় সাহিত্য সংসদ স্বর্ণপদক, জিয়া সাংস্কৃতিক স্বর্ণপদক অর্জন করেন। শিক্ষাক্ষেত্রে অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ১৯৯২ সালে একুশে পদক, মাইকেল মধুসুদন দত্ত স্বর্ণ পদক, শেরে বাংলা স্মৃতি স্বর্ণপদক, ঢাকা সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক স্বর্ণপদক, বাংলাদেশ যুব ফ্রন্ট স্বর্ণ পদক, রাজশাহী বিভাগীয় উন্নয়ন ফোরাম স্বর্ণপদকসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বহু পুরস্কার-সম্মাননা অর্জন করেন।
২০২০ সালের ১৭ জুলাই মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।[৪]