আয়শে হাতুন (প্রথম সেলিমের স্ত্রী)
আয়শে হাতুন (১৪৭৬–১৫৩৯) ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রথম সেলিমের স্ত্রী এবং ক্রিমিয় খানাতের প্রথম মেংলি গিরায় এর কন্যা।[১][২]
আয়শে হাতুন | |
---|---|
জন্ম | আনু. ১৪৭৬ বাগচাসরায়, ক্রিমিয় খানাত |
মৃত্যু | আনু. ১৫৩৯ (বয়স ৬২–৬৩) ইস্তাম্বুল, উসমানীয় সাম্রাজ্য |
দাম্পত্য সঙ্গী | শাহজাদা মেহমেদ প্রথম সেলিম |
বংশধর | বেহান সুলতান শাহ সুলতান |
পিতা | ক্রিমিয় খানাত-এর প্রথম মেংলি গিরায় |
ধর্ম | সুন্নি ইসলাম |
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/8/8c/Mengli_bayezid.jpg/262px-Mengli_bayezid.jpg)
উৎপত্তি
ক্রিমিয় খানাতের গিরায় রাজবংশের প্রথম মেংলি গিরায় এর কন্যা আয়শে হাতুন ছিলেন একজন ক্রিমিয় শাহজাদী। এসিন আদিল এর মতে কারো কারো মতানুযায়ী, প্রথম মেংলি গিরায় এর প্রকৃত কন্যা হিসেবে আয়শে হাতুন এর পরিবর্তে বিতর্কিতভাবে আয়শে হাফসা সুলতানের নাম উল্লেখ রয়েছে, তবে তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।[৩][৪] এসিন আদিল বলেন যে, কিছু ঐতিহাসিকগণ বলে থাকেন যে তিনি গিরায় এর কন্যা ছিলেন যখন অন্য ঐতিহাসিকগণ আয়শে নামক ক্রিমিয় রাজকন্যার কথা উল্লেখ করেন যে, যিনি প্রথম সেলিমের আরেকজন স্ত্রী ছিলেন এবং সম্ভবত হাফসা ক্রীতদাস বংশীয় হতে পারেন।[৫] ইলিয়া জায়েদসেভ দাবি করেন যে, প্রথম মেনলি গিরায় এর কন্যা আয়শে প্রথমে কেফের গভর্নর শাহজাদা মেহমেতের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন এবং পরবর্তীতে তিনি প্রথম সেলিমকে বিবাহ করেন; ফলস্বরূপ, উসমানীয় রাজবংশে তাঁর বিয়ে ছিল গিরায় এবং উসমানীয়দের মধ্যে হওয়া দুটি উল্লেখযোগ্য বিবাহের মধ্যে একটি (অন্য বিয়েটি ছিল প্রথম সাদাত গিরায় এর সাথে প্রথম সেলিমের কন্যার বিবাহ)। [৬]
জীবন
আয়শে হাতুন প্রথমে ১৫০৪ সালে সুলতান দ্বিতীয় বায়েজীদ এবং ফেরাশাদ হাতুন এর পুত্র কেফে এর সানজাক বে শাহজাদা মেহমেদের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৫০৭ সালে শাহজাদা মেহমেদ মৃত্যুবরণ করলে তিনি বিধবা হয়ে যান। ক্রিমিয় শাহজাদী আয়শে হাতুন তার প্রথম স্বামী শাহজাদা মেহমেদের মৃত্যুর পরে তার ভাই ভবিষ্যৎ সুলতান প্রথম সেলিমের হারেমে প্রবেশ করেন,[৭] এবং বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।[৮] যখন সেলিম আমাসিয়ার প্রশাসক ছিলেন। এভাবে সিংহাসনের উত্তরাধিকারের জন্য শাহজাদাদের লড়াইয়ে মূল্যবান মিত্র হিসাবে গণ্য হওয়া, আয়শে হাতুনের ক্ষমতাশালী পিতা প্রথম মেংলি গিরায় এর ব্যক্তিত্ত্বের প্রভাবে ভবিষ্যৎ সুলতান সেলিমের সিংহাসন আরোহণের সুযোগ আরও জোরদার হয়। [৯]