আর রবি কান্নন
আর রবি কান্নন তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের একজন ভারতীয় সার্জিক্যাল ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ। বর্তমানে তিনি কাছাড় ক্যান্সার হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার (সিসিএইচআরসি)-এর পরিচালক।[২] এটি একটি অলাভজনক হাসপাতাল যেখানে ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসা হয়। রবি কান্নন চেন্নাইয়ের আদিয়ার ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের সার্জিক্যাল অনকোলজি বিভাগের প্রাক্তন প্রধান। তিনি ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত[৩] এবং চিকিৎসাক্ষেত্রে "জনগণের পক্ষে স্বাস্থ্যসেবা এবং ক্যান্সারের যত্ন" নিতে "অপ্রত্যাশিতভাবে সীমানার বাইরে গিয়ে কাজ করা"র জন্য ২০২৩ সালের রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার প্রাপক।[৪]
আর রবি কানন | |
---|---|
জন্ম | |
পেশা | ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ |
পরিচিতির কারণ | ক্যান্সার রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা |
মেডিকেল কর্মজীবন | |
ক্ষেত্র | অনকোলজি |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | পদ্মশ্রী, রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার |
শিক্ষা
কান্নন চেন্নাইয়ের কিলপাউক মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি নিয়ে স্নাতক হন এবং নতুন দিল্লির মৌলানা আজাদ মেডিকেল কলেজ থেকে সার্জিক্যাল ক্যান্সার বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।[৫]
কর্মজীবন
কান্নন আদিয়ার ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের সার্জিক্যাল ক্যান্সার বিভাগের প্রধান ছিলেন।[৬] তাঁকে মাথা ও ঘাড় অঞ্চলের ক্যান্সার এবং হাড় ও নরম টিস্যু টিউমার বিশেষজ্ঞ বলা হয়।[৭] ২০০৬ সালে, তিনি একজন সহকর্মীর অনুরোধে পরামর্শ দিতে প্রথমবার কাছাড় ক্যান্সার হাসপাতাল এবং গবেষণা কেন্দ্র (সিসিএইচআরসি) পরিদর্শন করেন। এখানে তাঁর সাথে সিসিএইচআরসি-এর তৎকালীন পরিচালকের দেখা হয়। তিনি কান্ননকে এই কেন্দ্রের প্রধান হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।[৫] ২০০৭ সালে কান্নন চেন্নাইয়ের আদিয়ার ক্যান্সার ইনস্টিটিউট ত্যাগ করেন এবং পরিবারের সাথে আসামে চলে আসেন। এখানে তিনি শিলচরের কাছাড় ক্যান্সার হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের সাথে যুক্ত হন এবং বরাক উপত্যকার মানুষের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান শুরু করেন।[৮]
উল্লেখযোগ্য
কান্ননের দৃষ্টিভঙ্গি আসামের বরাক উপত্যকায় একটি ছোট ক্যান্সার কেন্দ্রকে একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে পরিণত করেছে, এটি আসামের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চল যেখানে আগে চিকিৎসার পরিমিত পরিষেবা ছিল। তিনি ক্যান্সার রোগীদের উন্নত সেবা প্রদানের জন্য স্বল্প সম্পদ দিয়ে এই হাসপাতালটি চালিয়েছেন এবং অন্য চিকিৎসকদের এখানে পরিষেবা দেবার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছেন। বর্তমানে হাসপাতাল সোসাইটি ক্যান্সার রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেবার জন্য তহবিল সংগ্রহ করে, এছাড়াও এর মধ্যে রয়েছে বিনামূল্যে রোগী/পরিবারের বাসস্থান, খাদ্য। একটি কর্মসংস্থান কেন্দ্র আছে যেখানে সক্ষম রোগী এবং পরিচারিকারা কাজ করতে পারেন।[১][৭]
ব্যক্তিগত জীবন
রবি কান্ননের বাবা বিমান বাহিনীর একজন কর্মী ছিলেন, যিনি তাঁর সেবার জন্য একটি বিশেষ সেবা পদক পেয়েছিলেন। তাঁর মা ইন্দুমতি কান্নন।[৯] রবি বিবাহ করেছেন সীতালক্ষীকে,[১০] যিনি ইউনাইটেড স্টেটস ইন্ডিয়া এডুকেশনাল ফাউন্ডেশনের প্রাক্তন কর্মী এবং তাঁদের একটি মেয়ে আছে।[৯]