ইদা কামিন্স্কা
ইদা কামিন্স্কা (১৮ সেপ্টেম্বর ১৮৯৯ - ২১ মে ১৯৮০) ছিলেন একজন পোলীয় অভিনেত্রী ও পরিচালক। তিনি মূলত মঞ্চে কাজের জন্য অধিক পরিচিত। তার মাতা ইস্তার রেচেল কামিন্স্কা ইহুদি মঞ্চের মাতা নামে পরিচিত ছিলেন। তাদের সম্মানার্থে পোল্যান্ডের ওয়ারশতে জিউইশ থিয়েটারের নামকরণ করা হয়। দীর্ঘ কর্মজীবনে কামিন্স্কা সত্তরের অধিক মঞ্চনাটকে নির্দেশনা করেন এবং ১৫০-এর অধিক নাটকে কাজ করেছেন। তিনি ১৯৬৫ সালে অবচোদ না কোরৎজে চলচ্চিত্রে কাজ করেন, যা শ্রেষ্ঠ বিদেশি চলচ্চিত্র বিভাগে একাডেমি পুরস্কার লাভ করে। কামিন্স্কা এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার ও নাট্যধর্মী চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
১৯৬৭ সালে তিনি ব্রডওয়েতে নিজের নির্দেশনায় মাদার কারেজ অ্যান্ড হার চিলড্রেন নাটকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন।[১] ১৯৭৩ সালে তিনি তার আত্মজীবনী মাই লাইফ, মাই থিয়েটার প্রকাশ করেন।
প্রারম্ভিক জীবন
কামিন্স্কা রুশ সাম্রাজ্যের (বর্তমান ইউক্রেন) ওদেসা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতা ইদ্দিশ মঞ্চ অভিনেত্রী এস্তার রেচেল কামিন্স্কা (১৮৭০-১৯২৫) এবং তার পিতা আব্রাহাম আইজাক কামিন্স্কা (১৮৬৭-১৯১৮) ছিলেন অভিনেতা, পরিচালক ও মঞ্চ প্রযোজক। তার বোন রেজিনা কামিন্স্কাও একজন অভিনেত্রী ছিলেন। তার ভাই ইয়োসেফ কামিন্স্কা একজন সুরকার ছিলেন।[২] তার মাতাকে "ইহুদি এলিনর ডিউজ" নামে অভিহিত করা হত।[৩]
কর্মজীবন
১৯৫৭ সালে তিনি প্রথমবারের মত ইসরায়েল সফরে যান এবং সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী গোল্ডা মেয়ারের সামনে অভিনয় পরিবেশন করেন।[২]
১৯৬৫ সালে তিনি জান কাদার ও এলমার ক্লস পরিচালিত চেকস্লোভাক চলচ্চিত্র অবচোদ না কোরৎজে চলচ্চিত্রে মিসেস লতমান চরিত্রে অভিনয় করেন। এই কাজের জন্য তিনি ৩৯তম একাডেমি পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে এবং ১৪তম গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারে নাট্যধর্মী চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে মনোনয়ন লাভ করেন।[৪][৫]
তার অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ছিল জান কাদার পরিচালিত দি অ্যাঞ্জেল লেভিন (১৯৭০)।[২][৬]
মৃত্যু ও উত্তরাধিকার
ইদা কামিন্স্কার স্বামী মেয়ার মেলমান ১৯৭৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন। কামিন্স্কা রক্ত সংবহনতন্ত্রের রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৯৮০ সালের ২১শে মে ৮০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।[৭] তাকে নিউ ইয়র্কের ফ্লাশিংয়ের মাউন্ট হেবরন সেমাট্রির ইদ্দিশ থিয়েটার ভাগে সমাহিত করা হয়।[৮]
২০১৪ সালে ওয়ারশর জিউইশ থিয়েটারে তার সম্মানার্থে একটি বিশেষ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রদর্শনীতে কামিন্স্কার পরিহিত পোশাক এবং তার কর্মজীবনের চিত্রাবলি ও স্মরণিকা প্রদর্শিত হয়।[৯]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
- ইন্টারনেট ব্রডওয়ে ডেটাবেজে ইদা কামিন্স্কা (ইংরেজি)
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে ইদা কামিন্স্কা (ইংরেজি)
- ফাইন্ড এ গ্রেইভে ইদা কামিন্স্কা (ইংরেজি)