ইয়ানার দ্যাগ

ইয়ানার দ্যাগ (আজারবাইজানি: Yanar Dağ, অর্থ "জ্বলন্ত পর্বত") হলো প্রাকৃতিক গ্যাসের আগুন যা বাকু'র (আজারবাইজানের রাজধানী, যা আগুনেরত দেশ হিসেবে পরিচিত) পাশে অবস্থিত কাসপিয়ান সাগর এর আবসহেরন উপদ্বীপের পর্বত সংলগ্ন অঞ্চলে প্রজ্বলিত হয়ে আসছে। এর আগুন মাটি থেকে ৩ মিটার (৯.৮ ফুট) উপর পর্যন্ত প্রজ্বলিত হয়। প্রশাসনিকভাবে ইয়ানার দ্যাগ আজারবাইজানের আবসহেরন জেলার অন্তর্গত।    

ইয়ানার দ্যাগ
Yanar Dag at night
Yanar Dag at night
ইয়ানার দ্যাগ আজারবাইজান-এ অবস্থিত
ইয়ানার দ্যাগ
ইয়ানার দ্যাগ
স্থানাঙ্ক: ৪০°৩০′৬.৬″ উত্তর ৪৯°৫৩′২৮.৫১″ পূর্ব / ৪০.৫০১৮৩৩° উত্তর ৪৯.৮৯১২৫২৮° পূর্ব / 40.501833; 49.8912528
দেশ Azerbaijan

মাটির আগ্নেয়গিরির বিপরীতে, ইয়ানার দ্যাগ মোটামুটি নিয়মিত জ্বলে যেহেতু এর উপপৃষ্ঠ থেকে গ্যাসের নিয়মিত উদ্গীরণ ঘটে। দাবি করা হয়, ১৯৫০ সালে এক মেষপালকের অসাবধানতাবশতার কারণে এখানে আগুন লেগে যায় এবং তা এখন পর্যন্ত জ্বলছে। সেখানে কোনো মাটি অথবা তরল পদার্থ ক্ষরিত না হওয়ার কারণে এটি পাশে অবস্থিত লোকবাতান অথবা গোবুস্তানের আগ্নেয়গিরি থেকে পৃথক হয়ে আছে।   

ভৌগোলিক অবস্থা

পাহাড়ের পাশের রাস্তা থেকে ইয়ানার দ্যাগ এর চিত্র

ইয়ানার দ্যাগের আগুন কখনো নেভানো যায়নি। এই অগ্নিস্থানের আশেপাশের বায়ুতে গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যায়। অগ্নিশিখা বালুর পাথরের ছিদ্র থেকে বেরিয়ে আসে এবং এর শিখা ১০ মিটার (৩৩ ফুট) উপর পর্যন্ত উঠে যায় (অন্য তথ্যসূত্রগুলোতে যদিও ভিন্ন ভিন্ন পরিমাপ উল্লেখ করা হয়েছে), ভূমিতে এর শিখা পাহাড়ের নিচে ১০ মিটার (৩৩ ফুট) পর্যন্ত চওড়া। আজারবাইজানের ভৌগোলিক জরিপে ইয়ানার দ্যাগকে এভাবে বর্ণনা করা হয়েছেঃ " প্রগাঢ় অগ্নিশিখা, যার উচ্চতা ১ মিটার (৩ ফুট ৩ ইঞ্চি), ভূমির পাশে ২-৪ মিটার উচ্চতায় (৬.৬ থেকে ১৩.১ ফুট) এবং ১৫ মিটার (৪৯ ফুট) পর্যন্ত এটি উন্নীত হতে পারে পাশাপাশি এর রয়েছে ২০০ মিটার (৬৬০ ফুট) দীর্ঘ টেকটনিক ঢাল।" ভূ-অভ্যন্তরস্থ মাটির নিয়মিত গ্যাস নির্গমনের কারণে ভূপৃষ্ঠে এরকম অগ্নিশিখা দেখা যায়।

এছাড়াও ইয়ানার দ্যাগের পাশে অবস্থিত নদীর পৃষ্ঠেও একটি ম্যাচ কাঠি দিয়ে আগুন ধরানো যাবে। এই নদীগুলো, যেগুলোকে দেখতে শান্ত মনে হয়, তাদের ইয়ানার বুলাক বা জ্বলন্ত ঝর্ণা বলা হয়। ভিলাস্কে নদীর নিকটে রকম আরো অনেক ঝর্ণা রয়েছে যেখানে মানুষজন রোগ নিরাময়ের জন্য গোসল করে।

আলেক্সান্ডার দ্যুমো, এই অঞ্চলগুলো ভ্রমণ করার সময় তিনি বর্ণনা করেছেন এগুলোর সাথে যোরোস্ট্রেইন অগ্নি-মন্দিরের আশে পাশের অঞ্চলে দেখা প্রাকৃতিক আগুনের সাথে মিল রয়েছে। বর্তমানে অল্প সংখ্যক আগুনই রয়েছে বিশ্বে যার বেশিরভাগই আছে আজারবাইজানে। আবসহেরন উপদ্বীপের নিচে প্রাকৃতিক গ্যাসের অত্যধিক ঘনত্বের কারণে প্রাচীঙ্কাল থেকেই সেখানে আগুনের শিখা প্রজ্বলিত হয়ে আসছে এবং তা ঐতিহাসিক লেখক মার্কো পোলো দ্বারাও চিহ্নিত হয়েছে। 

বেশিরভাগ মাটির আগ্নেয়গিরি বাকু-সামক্ষা রোডে, শহর থেকে ৪০ (২৫ মেইল) কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। .

কারণ

রাস্তার পাশ থেকে ইয়ানার দ্যাগের চিত্র 
🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী