উবার কাপ
উবার কাপ বা বিশ্ব মহিলা দলীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপ হল জাতীয় মহিলা ব্যাডমিন্টন দলগুলির মধ্যে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা। প্রাক্তন ব্রিটিশ ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় বেটি উবার এই প্রতিযোগিতার সূচনা করেন ও তার নামেই প্রতিযোগিতার নাম।[১][২] ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠার সময় এটি তিন বছর অন্তর অন্তর খেলা হত। ১৯৮৪ সালে থমাস কাপ প্রতিযোগিতা এর সাথে জুড়ে যায় ও একই সময়ে ও স্থানে খেলা হতে থাকে, তখন থেকে দুবছর অন্তর খেলা হয়। ব্যাডমিন্টন ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ২০০৭ সালে প্রতিযোগিতা দুটিকে পুনরায় আলাদা করে আয়োজন করার চেষ্টা করলেও পরে সেই আবেদন বাতিল ঘোষিত হয়।[৩]
চলতি মৌসুম বা প্রতিযোগিতা: ২০২২ থমাস ও উবার কাপ | |
খেলা | ব্যাডমিন্টন |
---|---|
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৫৭ |
দলের সংখ্যা | ১৬ |
দেশ(সমূহ) | বিডব্লিউএফ সদস্য দেশসমূহ |
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন | দক্ষিণ কোরিয়া (২য় শিরোপা) |
সর্বোচ্চ শিরোপা | চীন (১৫টি শিরোপা) |
ট্রফি
১৯৫৬ সালে প্রথম আসরের সময় ট্রফিটি উদ্বোধন করা হয়। লন্ডনের বিখ্যাত কারিগর ম্যাপিন ও ওয়েব এটি তৈরী করেন। এটি ২০ ইঞ্চি লম্বা ও উপরে ঘূর্ণায়মান পৃথিবী ও শাটলককের ওপর একজন মহিলা ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় দন্ডায়মান।
ফলাফল
১৯৫৭–১৯৮১
বছর[ক] | আয়োজক | ফাইনাল | |||
---|---|---|---|---|---|
চ্যাম্পিয়ন | ফলাফল | রানার্স-আপ | |||
১৯৫৭ | ল্যাঙ্কাশায়ার, ইংল্যান্ড | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ৬–১ | ডেনমার্ক | |
১৯৬০ | ফিলাডেলফিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ৫–২ | ডেনমার্ক | |
১৯৬৩ | উইলমিংটন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ৪–৩ | ইংল্যান্ড | |
১৯৬৬ | ওয়েলিংটন, নিউজিল্যান্ড | জাপান | ৫–২ | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | |
১৯৬৯ | টোকিও, জাপান | জাপান | ৬–১ | ইন্দোনেশিয়া | |
১৯৭২ | টোকিও, জাপান | জাপান | ৬–১ | ইন্দোনেশিয়া | |
১৯৭৫ | জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া | ইন্দোনেশিয়া | ৫–২ | জাপান | |
১৯৭৮ | অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড | জাপান | ৫–২ | ইন্দোনেশিয়া | |
১৯৮১ | টোকিও, জাপান | জাপান | ৬–৩ | ইন্দোনেশিয়া |
১৯৮৪–১৯৮৮
বছর | আয়োজক | ফাইনাল | তৃতীয় স্থান নির্ধারক | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
চ্যাম্পিয়ন | ফলাফল | রানার্স-আপ | তৃতীয় স্থান | ফলাফল | চতুর্থ স্থান | ||||
১৯৮৪ | কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া | চীন | ৫–০ | ইংল্যান্ড | দক্ষিণ কোরিয়া | ৫–০ | ডেনমার্ক | ||
১৯৮৬ | জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া | চীন | ৩–২ | ইন্দোনেশিয়া | দক্ষিণ কোরিয়া | ৩–২ | জাপান | ||
১৯৮৮ | কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া | চীন | ৫–০ | দক্ষিণ কোরিয়া | ইন্দোনেশিয়া | ৫–০ | জাপান |
১৯৯০–বর্তমান
বছর | আয়োজক | ফাইনাল | সেমি-ফাইনালে পরাজিত | |||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
চ্যাম্পিয়ন | ফলাফল | রানার্স-আপ | ||||||
১৯৯০ | নাগোয়া ও টোকিও, জাপান | চীন | ৩–২ | দক্ষিণ কোরিয়া | ইন্দোনেশিয়া | জাপান | ||
১৯৯২ | কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া | চীন | ৩–২ | দক্ষিণ কোরিয়া | সুইডেন | ইন্দোনেশিয়া | ||
১৯৯৪ | জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া | ইন্দোনেশিয়া | ৩–২ | চীন | সুইডেন | দক্ষিণ কোরিয়া | ||
১৯৯৬ | হংকং | ইন্দোনেশিয়া | ৪–১ | চীন | দক্ষিণ কোরিয়া | ডেনমার্ক | ||
১৯৯৮ | হংকং, চীন | চীন | ৪–১ | ইন্দোনেশিয়া | ডেনমার্ক | দক্ষিণ কোরিয়া | ||
২০০০ | কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া | চীন | ৩–০ | ডেনমার্ক | ইন্দোনেশিয়া | দক্ষিণ কোরিয়া | ||
২০০২ | কুয়াংচৌ, চীন | চীন | ৩–১ | দক্ষিণ কোরিয়া | নেদারল্যান্ডস | হংকং | ||
২০০৪ | জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া | চীন | ৩–১ | দক্ষিণ কোরিয়া | ডেনমার্ক | জাপান | ||
২০০৬ | সেনদাই ও টোকিও, জাপান | চীন | ৩–০ | নেদারল্যান্ডস | জার্মানি | চীনা তাইপেই | ||
২০০৮ | জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া | চীন | ৩–০ | ইন্দোনেশিয়া | দক্ষিণ কোরিয়া | জার্মানি | ||
২০১০ | কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া | দক্ষিণ কোরিয়া | ৩–১ | চীন | জাপান | ইন্দোনেশিয়া | ||
২০১২ | উহান, চীন | চীন | ৩–০ | দক্ষিণ কোরিয়া | থাইল্যান্ড | জাপান | ||
২০১৪ | নতুন দিল্লি, ভারত | চীন | ৩–১ | জাপান | ভারত | দক্ষিণ কোরিয়া | ||
২০১৬ | কুংশান, চীন | চীন | ৩–১ | দক্ষিণ কোরিয়া | ভারত | জাপান | ||
২০১৮ | ব্যাংকক, থাইল্যান্ড | জাপান | ৩–০ | থাইল্যান্ড | দক্ষিণ কোরিয়া | চীন | ||
২০২০ | আরহাস, ডেনমার্ক | চীন | ৩–১ | জাপান | দক্ষিণ কোরিয়া | থাইল্যান্ড | ||
২০২২ | ব্যাংকক, থাইল্যান্ড | দক্ষিণ কোরিয়া | ৩–২ | চীন | জাপান | থাইল্যান্ড | ||
২০২৪ | চীন |
নোট
সফল দলসমূহ
দল | বিজয়ী | রানার্স-আপ |
---|---|---|
চীন | ১৫ (১৯৮৪, ১৯৮৬, ১৯৮৮, ১৯৯০, ১৯৯২, ১৯৯৮, ২০০০, ২০০২, ২০০৪, ২০০৬, ২০০৮, ২০১২, ২০১৪, ২০১৬, ২০২০) | ৪ (১৯৯৪, ১৯৯৬, ২০১০, ২০২২) |
জাপান | ৬ (১৯৬৬, ১৯৬৯, ১৯৭২, ১৯৭৮, ১৯৮১, ২০১৮) | ৩ (১৯৭৫, ২০১৪, ২০২০) |
ইন্দোনেশিয়া | ৩ (১৯৭৫, ১৯৯৪, ১৯৯৬) | ৭ (১৯৬৯, ১৯৭২, ১৯৭৮, ১৯৮১, ১৯৮৬, ১৯৯৮, ২০০৮) |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ৩ (১৯৫৭, ১৯৬০, ১৯৬৩) | ১ (১৯৬৬) |
দক্ষিণ কোরিয়া | ২ (২০১০, ২০২২) | ৭ (১৯৮৮, ১৯৯০, ১৯৯২, ২০০২, ২০০৪, ২০১২, ২০১৬) |
ডেনমার্ক | ৩ (১৯৫৭, ১৯৬০, ২০০০) | |
ইংল্যান্ড | ২ (১৯৬৩, ১৯৮৪) | |
নেদারল্যান্ডস | ১ (২০০৬) | |
থাইল্যান্ড | ১ (২০১৮) |
- ইটালিক = আয়োজক
অন্তিম পর্বে উত্তীর্ণ দল
২০২২ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ২৮টি দল অন্তিম পর্বে খেলার সুযোগ পেয়েছে। এশিয়া ও ইউরোপ থেকে সর্বাধিক ১০টি, আফ্রিকা ও ওশিয়ানিয়া থেকে ৩টি ও দুই আমেরিকা মহাদেশে থেকে কেবল কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
২০২২ উবার কাপ পর্যন্ত:
- ২৬ বার
- জাপান
- ইন্দোনেশিয়া
- ২২ বার
- ডেনমার্ক
- ২০ বার
- চীন
- দক্ষিণ কোরিয়া
- ১৪ বার
- ইংল্যান্ড
- মালয়েশিয়া
- ১৩ বার
- কানাডা
- ১২ বার
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
- ১১ বার
- জার্মানি
- ১০ বার
- নেদারল্যান্ডস
- ৯ বার
- অস্ট্রেলিয়া
- ৮ বার
- চীনা তাইপেই
- হংকং
- ভারত
- থাইল্যান্ড
- ৬ বার
- নিউজিল্যান্ড
- ৫ বার
- রাশিয়া
- দক্ষিণ আফ্রিকা
- সুইডেন
- ৩ বার
- ফ্রান্স
- স্পেন
- ২ বার
- সিঙ্গাপুর
- মরিশাস
- মিশর
- ১ বার
- বুলগেরিয়া
- স্কটল্যান্ড
- তাহিতি