কলবুরগি জেলা

কর্ণাটকের একটি জেলা

গুলবার্গা জেলা বা সরকারিভাবে পরিচিত কলবুরগি জেলা [১] হলো দক্ষিণ ভারতে অবস্থিত কর্ণাটক রাজ্যের ৩০টি জেলার মধ্যে উত্তর দিকে অবস্থিত একটি জেলা৷ এটি কর্ণাটকের চারটি প্রশাসনিক বিভাগের গুলবার্গা বিভাগের অন্তর্গত৷ জেলাটির জেলাসদর গুলবার্গা শহরে অবস্থিত৷ [২]

গুলবার্গা জেলা
ಕಲಬುರ್ಗಿ
কর্ণাটকের জেলা
কলবুরগি জেলা
বুদ্ধ বিহার, গুলবার্গা
বুদ্ধ বিহার, গুলবার্গা
কর্ণাটক রাজ্যে গুলবার্গা জেলার অবস্থান
কর্ণাটক রাজ্যে গুলবার্গা জেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ১৭°২০′ উত্তর ৭৬°৫০′ পূর্ব / ১৭.৩৩° উত্তর ৭৬.৮৩° পূর্ব / 17.33; 76.83
রাষ্ট্র ভারত
রাজ্যকর্ণাটক
সদরগুলবার্গা
সরকার
 • ডেপুটি কমিশনারশরত আইএএস
আয়তন
 • মোট১০,৯৫১ বর্গকিমি (৪,২২৮ বর্গমাইল)
উচ্চতা৪৫৪ মিটার (১,৪৯০ ফুট)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট২৫,৬৬,৩২৬
 • জনঘনত্ব২৩০/বর্গকিমি (৬১০/বর্গমাইল)
ভাষা
 • দাপ্তরিককন্নড়, ইংরেজি
সময় অঞ্চলভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০)
পিন৫৮৫১০১
টেলিফোন কোড৯১ ৮৪৭২
যানবাহন নিবন্ধনKA-32 (কেএ-৩২)
তালুক সংখ্যা১১
লোকসভা নির্বাচনকেন্দ্রগুলবার্গা
বৃষ্টিপাত৭৭৭ মিলিমিটার (৩০.৬ ইঞ্চি)
গড় গ্রীষ্মকালীন উষ্ণতা৪২ °সে (১০৮ °ফা)
গড় শীতকালীন উষ্ণতা২৬ °সে (৭৯ °ফা)
ওয়েবসাইটkalaburagi.nic.in
'website

জেলাটি উত্তর কর্ণাটকে ৭৬॰.০৪' পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে ৭৭॰৪২' পূর্ব দ্রাঘিমা পর্যন্ত এবং ১৭॰১২' উত্তর অক্ষাংশ থেকে ১৭॰৪৬' উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত ১০,৯৫১ বর্গকিলোমিটার ক্ষেত্রফল জুড়ে বিস্তৃত৷ জেলাটির উত্তর দিকে রয়েছে বিদার জেলা, উত্তর-পূর্ব দিকে রয়েছে তেলেঙ্গানা রাজ্যের সাঙ্গারেড্ডি জেলা, পূর্ব দিকে রয়েছে বিকারাবাদ জেলা, দক্ষিণ দিকে রয়েছে কর্ণাটকের যাদগিরি জেলা, দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রয়েছে বিজয়পুর জেলা এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে রয়েছে মহারাষ্ট্র রাজ্যের ওসমানাবাদ ও সোলাপুর জেলা৷

অর্থনীতি

২০০৬ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকারের গ্রামীণ বিকাশ এবং পঞ্চায়েত রাজ মন্ত্রণালয় গুলবার্গা জেলাটিকে ভারতের তৎকালীন ৬৪০ টি জেলার মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া আড়াইশো টি জেলার তালিকার অন্তর্ভুক্ত করেছে। [৩] এরকম পিছিয়ে পড়া জেলার তকমা প্রাপ্ত কর্নাটকের পাঁচটি জেলার মধ্যে গুলবার্গা অন্যতম। জেলা টি ব্যাকওয়ার্ড রিজিওন গ্রান্ট ফান্ড বা বিআরজিএফ এর আওতাভুক্ত।[৩]

ঐতিহাসিক স্থান

  • সন্নতি: চিত্তাপুর তালুকে ভীমা নদীর তীরে অবস্থিত এই গ্রামটি অশোকের অনুশাসন, একাধিক বৌদ্ধ স্তূপ এবং স্বয়ং সম্রাট আশোকের (২৭৪ খেকে ২৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) বর্তমানে প্রাপ্ত একমাত্র মূর্তির জন্য বিখ্যাত৷ [৪]
  • মালখেড়া: সেড়ম তালুকে কাগিনা নদীর তীরে অবস্থিত এই গ্রামটি এক কালে রাষ্ট্রকূটদের রাজধানী ছিলো৷ গ্রামটি গুলবার্গা জেলাসদর থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং সেড়ম শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার পশ্চিম দিকে অবস্থিত৷
  • গুলবার্গা দুর্গ: গুলবার্গার এই পরিখাবেষ্টিত দুর্গটি ১৩৪৭ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হলেও বর্তমানে যথেষ্ট খারাপ অবস্থায় রয়েছে৷ কিন্তু দুর্গের ভেতরে রয়েছে একাধিক চমকপ্রদ মহল এবং চতুর্দশ শতাব্দুর শেষের দিকে বা পঞ্চোদশ শতাব্দীর শুরুর দিকে মূর মুসলিমদের দ্বারা তৈরী জামা মসজিদ৷ বলা হয়ে থাকে যে এই মসজিদটি স্পেনের কর্দোবার মসজিদের অনুকরণে তৈরী৷ [৫] এই মসজিদটি সারা ভারতে অনবদ্য৷ এটিতে রয়েছে একটি বৃহদাকৃতি আবরণ গম্বুজ, চার ধারে চারটি চারটি ছোট গম্বুজ এবং ৭৫টি স্তম্ভ৷ দুর্গটিতে মোট ১৫টি মিনার রয়েছে৷ এছাড়াও গুলবার্গাতে রয়েছে বাহমানি সাম্রাজ্যের একাধিক ডাঁট গম্বুজ৷

ভূগোল

গুলবার্গা দাক্ষিণাত্য মালভূমির ১৭°২০′ উত্তর ৭৬°৫০′ পূর্ব / ১৭.৩৩° উত্তর ৭৬.৮৩° পূর্ব / 17.33; 76.83 অবস্থানে রয়েছে [৬] এবং জেলাটির সাধারণত সমুদ্রপৃষ্ঠের ৩০০ থেকে ৭৫০ মিটার উচ্চ৷ গুলবার্গা জেলার দুটি মুলধারার নদী হলো ভীমা নদী এবং কৃষ্ণা নদী৷

তালুক

২০০৯ খ্রিস্টাব্দে গুলবার্গা জেলা থেকে যাদগিরি জেলা পৃথক হওয়ার পর জেলাটিতে ১১ টি তালুক রয়েছে৷[৭] এগুলি হলো:

  1. গুলবার্গা
  2. আলন্দ
  3. আফজালপুর
  4. জেবারগি
  5. সেড়ম
  6. শাহাবাদ
  7. কালগি
  8. কমলাপুর
  9. চিত্তাপুর
  10. চিঞ্চোলি
  11. ইয়াড্রামি

জনতত্ত্ব

২০১১ জনগণনা অনুসারে গুলবার্গা জেলায় বসবাসকারীর বিভিন্ন ধর্মের পাইচিত্র [৮]

  হিন্দু (৭৮.৩৬%)
  মুসলিম (১৯.৯৯%)
  খ্রিস্টান (০.৩৩%)
  জৈন (০.১৯%)
  বৌদ্ধ (০.৩৭%)
  শিখ (০.০৩%)
  অন্যান্য (০.০২%)
  নাস্তিক (০.৭১%)

২০১১ খ্রিস্টাব্দে ২০১১ ভারতের জনগণনা|ভারতের জনগণনা অনুসারে গুলবার্গা জেলার মোট জনসংখ্যা ২৫,৬৬,৩২৬ জন,[৯] যা মধ্যপ্রাচ্যের কুয়েত রাষ্ট্র[১০] বা আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডা রাজ্যের জনসংখ্যার সমতুল্য৷ [১১] ২০১১ খ্রিস্টাব্দে ভারতের ৬৪০ টি জেলার মধ্যে জনসংখ্যার বিচারে এই জেলাটি ১৬২তম স্থান অধিকার করেছে। [৯] জেলাটির জনঘনত্ব ২৩৩ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (৬০০ জন/বর্গমাইল)। [৯] ২০০১ থেকে ২০১১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে জেলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১৭.৯৪ শতাংশ।[৯]গুলবার্গা জেলায় প্রতি হাজার পুরুষে ৯৬২ জন মহিলা বাস করেন। [৯] জেলাটির সর্বমোট সাক্ষরতার হার ৬৪.৮৫ শতাংশ যেখানে পুরুষ সাক্ষরতার হার ৭৪.৩৮ শতাংশ এবং নারী সাক্ষরতার হার ৫৫.০৯ শতাংশ। [৯]

ঐতিহাসিক জনসংখ্যা
বছরজন.ব.প্র. ±%
১৯০২৫,৮৬,৭৬০—    
১৯১১৬,৪০,৮৫১+০.৯৮%
১৯২১৫,৮৯,৯৫৮−০.৮২%
১৯৩১৬,৫৮,১৫১+১.১%
১৯৪১৭,০৪,১৩৯+০.৬৮%
১৯৫১৮,০৬,৩৯৪+১.৩৭%
১৯৬১৯,৬৩,৬১৯+১.৮%
১৯৭১১২,০৮,০০৭+২.২৯%
১৯৮১১৪,৪২,২৫৮+১.৭৯%
১৯৯১১৭,৮৬,১৩৮+২.১৬%
২০০১২১,৭৪,৭৪২+১.৯৯%
২০১১২৫,৬৬,৩২৬+১.৬৭%
উৎস:[১২]

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: প্রধান পাতাবিশেষ:অনুসন্ধানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপকাজী নজরুল ইসলামবাংলাদেশ ডাক বিভাগশেখ মুজিবুর রহমানএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশছয় দফা আন্দোলনক্লিওপেট্রাবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪আবহাওয়ামুহাম্মাদব্লু হোয়েল (খেলা)বাংলা ভাষাইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাভারতভূমি পরিমাপবাংলা ভাষা আন্দোলনমহাত্মা গান্ধীমিয়া খলিফামৌলিক পদার্থের তালিকাবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলপহেলা বৈশাখপদ্মা সেতুলোকসভা কেন্দ্রের তালিকামাইকেল মধুসূদন দত্তসুনীল ছেত্রীবাংলাদেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তালিকাবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহআসসালামু আলাইকুমপশ্চিমবঙ্গবাংলাদেশে পালিত দিবসসমূহশেখ হাসিনাবাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রীজয়নুল আবেদিন