কাঞ্চনজঙ্ঘা জাতীয় উদ্যান
কাঞ্চনজঙ্ঘা জাতীয় উদ্যান বা কাঞ্চনজঙ্ঘা জীবমণ্ডল সংরক্ষণ ভারতের সিক্কিমে অবস্থিত জাতীয় উদ্যান এবং জীবমণ্ডল সংরক্ষণ উদ্যান। ২০১৬ সালের জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হওয়া ৪০তম অধিবেশনে একে ইউনেস্কো দ্বারা বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সাথে এটি ভারতের প্রথম মিশ্রিত ঐতিহ্যবাহী স্থান[১] এই জাতীয় উদ্যানের নাম কাঞ্চনজঙ্ঘা শৃঙ্গের নামে রাখা হয়েছে। কাঞ্চনজঙ্ঘা ভারতের অন্যতম উচ্চতম ও পৃথিবীর তৃতীয় উচ্চতম শৃঙ্গ এবং এর উচ্চতা ৮,৫৮৬ মিটার।উদ্যানটির ক্ষেত্রফল ১,৭৮৪ বর্গ কি.মি.।
কাঞ্চনজঙ্ঘা জাতীয় উদ্যান | |
---|---|
আইইউসিএন বিষয়শ্রেণী II (জাতীয় উদ্যান) | |
অবস্থান | উত্তর সিক্কিম, সিক্কিম |
নিকটবর্তী শহর | চুংথাং |
স্থানাঙ্ক | ২৭°৪২′ উত্তর ৮৮°০৮′ পূর্ব / ২৭.৭০০° উত্তর ৮৮.১৩৩° পূর্ব |
আয়তন | ১,৭৮৪ বর্গকিলোমিটার (৬৮৯ বর্গমাইল) |
স্থাপিত | ১৯৭৭ |
কর্তৃপক্ষ | পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও বন মন্ত্রণালয়, ভারত সরকার |
ধরন | মিশ্রিত |
মানক | iii, vi, vii, x |
অন্তর্ভুক্তির তারিখ | ২০১৬ (৪০তম অধিবেশন) |
রেফারেন্স নং | 1513 |
State Party | ভারত |
মানব ইতিহাস
জাতীয় উদ্যানটির ভিতর কিছু লেপচা জনজাতির লোকের বসতি আছে।
উদ্যানটির ভিতর থলুং মনেস্ট্রি অবস্থিত। এই গুম্ফা জাতীয় উদ্যানটির বাফার জোনে অবস্থিত। এটি সিক্কিমের অন্যতম পবিত্র বৌদ্ধ মনেস্ট্রি।[২][৩][৪]
ভূগোল
কাঞ্চনজঙ্ঘা জাতীয় উদ্যান সিক্কিমের উত্তর সিক্কিম জেলা ও পশ্চিম সিক্কিম জেলায় অবস্থিত। এর উচ্চতা ১,৮২৯ মিটার থেকে ৮,৫৫০ মিটার এবং মোট ক্ষেত্রফল ৮৪৯.৫ বর্গ কি.মি.।[৫]
এর উত্তরে তিব্বতের কমোলাংমা জাতীয় প্রকৃতি সংরক্ষণ এবং পশ্চিমে নেপালের কাঞ্চনজঙ্ঘা সংরক্ষিত অঞ্চল অবস্থিত।[৬]