জার্মানিতে উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার
জার্মানিতে পাণ্ডিত্যপূর্ণ যোগাযোগের উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার ২০০০ এর দশকের প্রথম থেকেই দ্রুত বিকশিত হয়েছে। [১] প্রকাশক বেলস্টেইন-ইনস্টিটিউট, কোপার্নিকাস পাবলিকেশনস, ডি গ্রুইটার, নলেজ আনল্যাচড, লাইবনিজ ইনস্টিটিউট ফর সাইকোলজি ইনফরমেশন, সায়েন্সঅপেন, স্প্রিঞ্জার নেচার এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনা গ্যাটিনজেন আন্তর্জাতিক ওপেন অ্যাক্সেস স্কলারলি পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর অন্তর্ভুক্ত।
নীতি
উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার প্রকাশনা লেখকদের আইনি ভিত্তি জার্মান কপিরাইট আইন-এর সেকশন ১২-এ রয়েছে, যা উরহেবারেচট (লেখকদের অধিকার) রক্ষা করে।[২]
সমস্ত বড় বড় জার্মান গবেষণা প্রতিষ্ঠান যেমনঃ বার্লিন-ব্র্যান্ডেনবার্গে একাডেমি অফ সায়েন্সেস অ্যান্ড হিউম্যানিটিস, ডয়চে ফোরসচংসেমেইনচ্যাফট, নেটওয়ার্ক তথ্যের জন্য জার্মান উদ্যোগবার্লিন ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছে, ফ্রেউনহোফার সোসাইটি, জার্মান রেকটার্স সম্মেলন এবং ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক সোসাইটি ।
সহ বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগের জ্ঞান সম্পর্কে উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার সম্পর্কিত ২০০৩ এরফেডারেল শিক্ষা ও গবেষণা মন্ত্রণালয় ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সালে "জার্মানিতে উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার" শিরোনামে তার উন্মুক্ত প্রবেশাধিকারের কৌশল পত্রটি প্রকাশ করেছে যাতে মুক্ত প্রবেশাধিকার এবং মুক্ত বিজ্ঞানের নীতিগুলির প্রতি সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি রয়েছে। [১]
খতিয়ান
উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার জার্নালগুলি ডিজিটাল প্লাটফর্মে পাওয়া যায় যেমনঃ কোপার্নিকাস পাবলিকেশনস (গ্যাটিনজেন সদর দপ্তর), ডিজিটাল পিয়ার পাবলিকেশনস , জার্মান মেডিক্যাল সাইন্স , এবং লিভিং রিভিউস । [১]
সংগ্রহস্থল
জার্মানি ডিজিটাল উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার সংগ্রহস্থল গুলি বেশ কয়েকটি বৃত্তি পেয়েছে। এগুলিতে আছে জার্নাল নিবন্ধ, বইয়ের অধ্যায়, তথ্য এবং অন্যান্য গবেষণা আউটপুট যা পড়া মুক্ত । যুক্তরাজ্য ভিত্তিক উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার সংগ্রহস্থল গুলির ডিরেক্টরী অনুসারে, মার্চ ২০১৮ পর্যন্ত জার্মানির ১৬১টি সংগ্রহস্থল তালিকাবদ্ধ করা হয়েছিল। [৩]
জার্মানীর সংগ্রহস্থলগুলি পাওয়া যাবে জার্মান-ভিত্তিক রেজিস্ট্রির মধ্যে যেমনঃ বিলেফেল্ড একাডেমিক সার্চ ইঞ্জিন (বিএএসই-বেইস) এবং ডাচ ইনিশিয়েটিভ ফার নেটজার্ক ইনফরমেশন (ডিআইএনআই) এবং আন্তর্জাতিক রেজিস্ট্রিগুলি যেমনঃ ডিরেক্টরি অফওপেন অ্যাক্সেস রিপোজিটরিস (ওপেনডিওএআর), রেজিস্ট্রি অফ ওপেন অ্যাক্সেস রিপোজিটরিস (আরওআর), এবং ওপেন আর্কাইভ ইনিশিয়েটিভ ওএআই-পিএমএইচ নিবন্ধিত তথ্য সরবরাহকারী -তে পাওয়া যায়। [৪] বিশেষজ্ঞরা বিএএসই(বেইস)-কে জার্মানির সর্বাধিক বিস্তৃত রেজিস্ট্রি হিসাবে বিবেচনা করে।
২০১২ সালে, জার্মান সংস্থাগুলি সর্বাধিক সংখ্যক ডিজিটাল সম্পদ যুক্ত ছিল জার্মান এরো-স্পেস সেন্টারের (৪৬,১৩৬ আইটেম); জার্মান ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব ইকনোমিক্স এর ইকনস্টার-এর (৪৫,২৬৮টি আইটেম); জার্মান মেডিকেল সায়েন্স (৪১,৭৫৩টি আইটেম); ইউনিভার্সিটি বিলেটফিল্ডের পুব (৩২,৬৯৫টি আইটেম); এবং আলফ্রেড- ওয়েজনার -ইনস্টিটিউট এর (২৯,৪৮০ টি আইটেম)। [৪] "জার্মানির সর্বাধিক ব্যবহৃত উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার সংগ্রহস্থল গুলোর মধ্যে ভীষন জনবহুল হচ্ছেঃ ল্যান্ডার: নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়া (২৭), বাডেন-ওয়ার্টেমবার্গ (২৮) এবং বেভারিয়া (২২)।"
আসন্ন ২০১৯ সালে "হ্যামবার্গে উন্মুক্ত প্রবাশাধিকার সংগ্রহস্থল সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক সম্মেলন" অনুষ্ঠিত হবে। [৫]
সম্মেলন এবং প্রচার
২০০৩ সালে বার্লিনে ''ইনিশিয়াল বার্লিন কনফারেন্স-২০০৩'' আদলে প্রতিবছর কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এটা জার্মানিতে হয় প্রায়শই। [৬]
"ওপেন-অ্যাক্সেস-ট্যাগ" (উন্মুক্ত প্রবেশাধিকারের দিনগুলি) বার্লিন, ড্রেসডেন, গ্যাটিনজেন, হামবুর্গ, ক্যালন, কনস্তানজ, মিউনিখ, রেজেনসবার্গ সহ বিভিন্ন স্থানীয় জার্মান-ভাষাভাষীদের মধ্যে ২০০৭ সাল থেকে প্রতিবছর পালন করা হয়। [৭] ২০১৮ সালের ইভেন্টটি অস্ট্রিয়ার গ্রেজে অনুষ্ঠিত হয়।
২০০৭ সালে বেশ কয়েকটি জার্মান প্রতিষ্ঠান "উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার.নেট" নামে সাধারণ তথ্য সংবলিত ওয়েবসাইট চালু করে। ২০০৮ সালে সালে অ্যালিয়েনজ ডার উইজেন্সচ্যাফ্টস অর্গানাইজেশনেন [ডি] "ডিজিটাল প্রকাশের সম্ভাবনা নিঃশেষিত করার জন্য" উন্মুক্ত প্রবেশাধিকারকে প্রসারিত করার প্রচেষ্টা শুরু করেছিলেন।[৮]
বিলিফেল্ড বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারটি "নিবন্ধের চার্জগুলির জন্য স্বচ্ছ অবকাঠামো" প্রকল্পের উপস্থাপন করে, যা জার্মানি এবং অন্য কোথাও প্রকাশনাগুলির জন্য নিবন্ধ প্রক্রিয়াকরণ চার্জগুলি ধারণ করে। প্রকল্পটি ২০১৪ সালের দিকে শুরু হয়েছিল।
সময়রেখা
জার্মানিতে উন্মুক্ত প্রবেশাধিকারের বিকাশের মূল ইভেন্টগুলির মধ্যে রয়েছে:
- ২০০১
- ১৬ মার্চ: জার্মান উইকিপিডিয়া, একটি জার্মান ভাষার উন্মুক্ত শিক্ষামূলক সংস্থান, প্রকাশনা শুরু করে।
- ২০০৩
- বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগের জ্ঞানের উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার সম্পর্কিত বার্লিন ঘোষণা জারি করা হয়েছে।
- ২০০৪
- বিলেফেল্ড একাডেমিক সার্চ ইঞ্জিন চালু হয়েছে।
- অ্যাকশন জোট "কপিরাইট ফর এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ" গঠিত হয়েছিল। [৯]
- ২০০৫
- বিলেফেল্ড বিশ্ববিদ্যালয় তার প্রাতিষ্ঠানিক সংগ্রহস্থলগুলিতে আমানত উৎসাহিত করে তার উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার নীতি শুরু করে। [১০][১১]
- ২০০৬
- ডয়চে ফোরসচংসমেমেনশ্যাফ্ট তার গ্র্যান্টদের জন্য উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার নীতি গ্রহণ করে। [১২]
- ২০০৭
- ওপেন-অ্যাকসেস.নেট চালু হয়েছে।
- "ওপেন-প্রবেশাধিকার-ট্যাগ" (ওপেন অ্যাক্সেস দিন) শুরু হয়।
- ২০০৮
- "ডিজিটাল ইনফরমেশন" (অগ্রাধিকার উদ্যোগ "ডিজিটাল তথ্য") শুরু হয়। [১৩]
- ২০১০
- কনফেডারেশন অফ ওপেন অ্যাক্সেস রিপোজিটরিগুলির সদর দপ্তর গ্যাটিনজেনে স্থানান্তর। [১৪]
- ২০১১
- 'ওপেন-অ্যাক্সেস পাবলিশিং' প্রোগ্রামের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে অর্থায়িত প্রকাশনা ফি ধার্য শুরু হয়" [১৫]
- ২০১২
- ডয়চে ইনিশিয়েটিভ ফর নেটজওয়ার্কি ইনফরমেশন (ডিআইএনআই) শুরু হয়। [১৬]
- ২০১৩
- রেজিস্ট্রি অফ রিসার্চ ডেটা রিপোজিটরিস এর সদর দপ্তর জার্মানিতে স্থানান্তর করা হয়।
- ২০১৪
- "নিবন্ধের চার্জের জন্য স্বচ্ছ অবকাঠামো" প্রকল্প শুরু হয় (তারিখ আনুমানিক)।
- ২০১৫
আরো দেখুন
- জার্মানির ইন্টারনেট
- জার্মানির শিক্ষা
- জার্মানির মিডিয়া
- জার্মানির কপিরাইট আইন
- জার্মানির গ্রন্থাগারের তালিকা
- জার্মানির বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি
- অন্যান্য দেশে উন্মুক্ত অ্যাক্সেস
তথ্যসূত্র
- এই নিবন্ধটি জার্মান উইকিপিডিয়া থেকে তথ্য অন্তর্ভুক্ত করেছে।
আরও পড়া
- Thomas Eger (২০১৫)। "Determinants of Open Access Publishing: Survey Evidence from Germany"। (2013 version )
- Walt Crawford (২০১৮)। "Germany"। Gold Open Access by Country 2012-2017। Cites & Insights Books।
বহিঃসংযোগ
- "Germany"। Global Open Access Portal। UNESCO।
- "Across the border: Germany"। Openaccess.nl।
- "Browse by Country: Europe: Germany"। Registry of Open Access Repositories।
- "(Search: Country of Publisher: Germany)"। Directory of Open Access Journals। Infrastructure Services for Open Access।
- "(Germany)"। Open Access Tracking Project। Harvard University। ওসিএলসি 1040261573।
News and comment from the worldwide movement for open access to research
- "Our members: Germany"। Scholarly Publishing and Academic Resources Coalition। SPARC Europe। ১০ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৯।